| ২৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

গভীর রাতে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

গভীর রাতে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া : ছবি-সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বুধবার (২৩ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন। রাত ২টা ৫২ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান।

এর আগে রাত সোয়া ১টার পর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানকার লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে ২৫ জানুয়ারি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যান তিনি। এরপর দীর্ঘ চার মাস পর গত ৬ মে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকার ৪৪ থানায় নেই ন্যূনতম জলাধার, কমেছে ৬০% জলাধার: গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র

গভীর রাতে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

ঢাকার ৪৪ থানায় নেই ন্যূনতম জলাধার, কমেছে ৬০% জলাধার: গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র

১৯৮০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার পরিমাণ বেড়েছে সাত গুণ, হারিয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ জলাধার। একই সময়ে ভূমির গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এমনই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ পরিচালিত এক গবেষণায়।

রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার হলিডে ইন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষক সাবরিন সুলতানা ও মো. ফুয়াদ হাসান। ‘প্রকৃতিবিহীন ঢাকা? প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক টেকসই নগর ভাবনার পুনর্বিচার’ শীর্ষক এ গবেষণা ৪৪ বছরের স্যাটেলাইট চিত্র ও তাপমাত্রার তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮০ সালের তুলনায় বর্তমানে ঢাকায় সবুজ আচ্ছাদন কমে এসেছে ২১.৬% থেকে মাত্র ১১.৬%-এ। শহরের অধিকাংশ এলাকাই আন্তর্জাতিক মান অনুসারে মাথাপিছু ৯ বর্গমিটার সবুজ জায়গা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। আদাবর, রামপুরা, কাফরুল, বংশাল ও ওয়ারী এলাকা ‘ট্রি-ডেজার্ট’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যেখানে গাছপালা প্রায় অনুপস্থিত।

জলাধার সংকটও ভয়াবহ। ঢাকায় ৫০টি থানার মধ্যে ৪৪টিতে নেই ন্যূনতম জলাধার মান। শহরের মোট জলাধার এখন মাত্র ৪.৮% এলাকাজুড়ে। সূত্রাপুর, মিরপুর, গেন্ডারিয়া ও কাফরুল এলাকাগুলো প্রায় জলশূন্য হয়ে পড়েছে।

তাপমাত্রার দিক থেকেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ঢাকার কোনো এলাকাতেই এখন আর তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে থাকে না। শ্যামপুর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, রামপুরা ও দারুসসালাম—এই এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে শহরের ৩৭টি থানা ইতোমধ্যেই নিরাপদ নির্মাণসীমা অতিক্রম করেছে।

কংক্রিটের দখলে এখন ঢাকার প্রায় অর্ধেক অঞ্চল। বংশাল, সূত্রাপুর, কলাবাগান, হাজারীবাগ, মিরপুর ও রামপুরা এলাকাগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি জায়গা এখন কংক্রিটে ঘেরা।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, উত্তরখান ও তুরাগ তুলনামূলক প্রান্তিক অঞ্চল হওয়ায় এখনো কিছুটা সবুজ ও জলাধার ধরে রেখেছে। তবে কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ওয়ারী, বংশাল, কোতোয়ালীর মতো এলাকাগুলো প্রায় পুরোপুরি প্রকৃতি-বিচ্ছিন্ন।

গবেষণার পরিচালক ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসাইন খান বলেন, “উন্নয়নের নামে আমরা ঢাকার প্রকৃতি ধ্বংস করে ফেলেছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঢাকা করাচির মতো বসবাসের অযোগ্য শহরে পরিণত হবে।”

তিনি বলেন, “দিল্লি ও জাকার্তা আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। আমরা এখন করাচির পথে হাঁটছি। এ অবস্থায় সিঙ্গাপুরের মতো প্রকৃতি-ভিত্তিক মডেল অনুসরণ করতে হবে, তবে সেটা হতে হবে স্থানীয় জ্ঞান, সাম্যতা ও জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে। পরিবেশের সঙ্গে শহরের সম্পর্কের মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “প্রকৃতির অধিকারকে শহর পরিকল্পনার কেন্দ্রে না আনলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঢাকায় কোনো বাসযোগ্যতা অবশিষ্ট থাকবে না। আমাদের এখনই রাষ্ট্র ও নাগরিক হিসেবে প্রকৃতির অভিভাবক হয়ে উঠতে হবে।”

হেদায়াত লাভের জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া

গভীর রাতে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

হেদায়াত লাভের জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া

আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ ও দয়া ছাড়া কেউই হেদায়াত বা সঠিক পথ লাভ করতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে—আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়াত দেন এবং যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন। তাই সঠিক পথে থাকার জন্য সর্বদা তাঁর কাছে দোয়া করা উচিত। নিচে হেদায়াত লাভের জন্য কোরআন ও হাদিসভিত্তিক ৬টি দোয়া উল্লেখ করা হলো:

এখানে আমরা কোরআন ও হাদিস থেকে হেদায়াত লাভ করার ৬টি দোয়া উল্লেখ করছি:

১.

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ

উচ্চারণ: ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম।

অর্থ: (হে আল্লাহ!) আমাদেরকে সঠিক পথ দেখান। (সুরা ফাতেহা: ৬)

২.

اللَّهُمَّ إِنِي أَسْأَلُكَ الهُدَى وَالتُّقَى وَالعفَافَ والغنَى‎

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।

বিজ্ঞাপন

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হেদায়াত, তাকওয়া, নির্মল চরিত্র ও অভাবহীনতা চাই। (সুনানে তিরমিজি)

৩.

اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي

বিজ্ঞাপন

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আলহিমনি রুশদি, ওয়া আয়িজনি মিন শাররি নাফসি।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়েত দান করুন এবং নফসের অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করুন। (সুনানে তিরমিজি)

আরও পড়ুন: চোখে সুরমা ব্যবহার সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে

৪.

বিজ্ঞাপন

اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ القُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ

উচ্চারণ: ইয়া মুসাররিফাল কুলুব সাররিফ কুলুবানা আলা তয়াতিকা।

অর্থ: হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের অন্তরগুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন। (সহিহ মুসলিম)

বিজ্ঞাপন

৫.

رَبَّنَا لَا تُزِغۡ قُلُوۡبَنَا بَعۡدَ اِذۡ هَدَیۡتَنَا وَ هَبۡ لَنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ

উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিন লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।

অর্থ: হে আমাদের রব, আপনি হেদায়াত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা আলে ইমরান: ৮)

৬.

اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِعِزَّتِكَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَنْ تُضِلَّنِي أَنْتَ الْحَيُّ الَّذِي لَا يَمُوتُ وَالْجِنُّ وَالْإِنْسُ يموتون

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা আস্‌লাম্‌তু ওয়া বিকা আমান্‌তু, ওয়া আলায়কা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলায়কা আনাবতু ওয়া বিকা খাসামতু আল্লহুম্মা ইন্নী আঊযু বিইয্যাতিকা লা ইলাহা ইল্লা আন্‌তা আন্ তুযিল্লানী। আন্‌তাল হাইয়্যুল্লাযী লা ইয়ামূতু ওয়াল জিন্‌নু ওয়াল ইন্‌সু ইয়ামূতূন।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে নিজেকে সমর্পণ করলাম, আপনার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম, ভরসা করলাম এবং আপনারই দিকে নিজেকে ফেরালাম এবং আপনারই সাহায্যে লড়াই করলাম। হে আল্লাহ! আমি পথভ্রষ্টতা থেকে আপনার মর্যাদার আশ্রয় গ্রহণ করছি। আপনি ছাড়া সত্য আর কোনো মাবুদ নেই, আপনি চিরঞ্জীব, আপনি মৃত্যুবরণ করবেন না, মৃত্যুবরণ করবে মানুষ ও জিন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

শহীদদের জন্য গৃহায়ন প্রকল্পে ৪৫ গুণ ব্যয়ের অভিযোগ, উঠেছে অনিয়মের প্রশ্ন

গভীর রাতে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

শহীদদের জন্য গৃহায়ন প্রকল্পে ৪৫ গুণ ব্যয়ের অভিযোগ, উঠেছে অনিয়মের প্রশ্ন

শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য প্রস্তাবিত ‘৩৬ জুলাই’ নামক একটি গৃহায়ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয়ের তথ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। বিভিন্ন উপাদানে প্রকৃত মূল্যের তুলনায় ৩ থেকে ৪৫ গুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে, যা দুর্নীতির আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, যেখানে একটি আরসিসি পিলারের প্রকৃত বাজারমূল্য ৯০০ টাকা, সেখানে প্রকল্পে সেটির মূল্য দেখানো হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ২৫ লাখ টাকার লিফটের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯২ লাখ টাকা, ১২ লাখ টাকার সাবস্টেশনের খরচ দেখানো হয়েছে ৬৩ লাখ টাকা এবং ৯৫ হাজার টাকার পানির পাম্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা।

প্রকল্পের প্রতিটি স্তরে অস্বাভাবিক ব্যয়ের এমন ছড়াছড়িতে আজ একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হচ্ছে। ৭৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ প্রকল্পে ৮ শতাধিক ফ্ল্যাট বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের জন্য কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা, মাস্টারপ্ল্যান বা স্থাপত্য নকশা তৈরি করা হয়নি। গত ১৬ জুন পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। সভায় উপস্থিত এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, “প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে স্পষ্ট নির্দেশিকা, পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষণ এবং উপকারভোগীদের তালিকা থাকা বাধ্যতামূলক, কিন্তু এখানে সেসবের অভাব রয়েছে।”

কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ দাবি করেছেন, প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের চাপেই এ ভুলগুলো হয়েছে। তবে প্রকল্প অনুমোদনের আগে ব্যয়ের যৌক্তিকতা যাচাই না করেই কীভাবে এই ব্যয় অনুমোদিত হলো—সে বিষয়ে কেউই নির্দিষ্ট করে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের খসড়া প্রোফাইল (ডিপিপি) এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং এটি দ্রুত চূড়ান্ত হতে পারে। আজ দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই দুর্নীতির অভিযোগ ও প্রকল্পের নানা অনিয়মের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

×