| ২৫ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের তিন ধাপ অগ্রগতি

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের তিন ধাপ অগ্রগতি

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের ৯৭তম অবস্থান থেকে উন্নতি পেয়ে এবার ৯৪তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের নাগরিকরা বিশ্বের ৩৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বছরে এই উন্নতি বাংলাদেশের ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধার ইতিবাচক অগ্রগতি নির্দেশ করে।

তালিকার শীর্ষে এবারও রয়েছে এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর, যাদের পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
তৃতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপের সাত দেশ— ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন।
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন আছে চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড, গ্রিস ও সুইজারল্যান্ড। এছাড়া, যুক্তরাজ্য আছে ষষ্ঠ আর যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান করছে ১০ম স্থানে।

বীজ বৈচিত্র্য ও নতুন প্রজন্মের সেতুবন্ধনে গ্রামীণ বীজ মেলা অনুষ্ঠিত

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের তিন ধাপ অগ্রগতি

ছবি- শ্যামনগরে ত্রিপানি বিদ্যাপীঠে বীজবৈচিত্র্য মেলা।

২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ত্রিপাণী বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সবুজ সংহতি ও এসএসএসটির আয়োজনে বারসিকের সহযোগিতায় এক অভিনব ও ব্যতিক্রমী বীজ বৈচিত্র্য ও নতুন প্রজন্মের সেতুবন্ধনে গ্রামীণ বীজ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

ত্রিপাণী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম মল্লিকের সভাপতিত্বে বিদ্যাপীঠের প্রায় ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী, সবুজ সংহতির সদস্য ও বারসিক কর্মকর্তাবৃন্দের অংশগ্রহনে বীজ বৈচিত্র্য মেলা উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরী হয়।

বীজ মেলায় এলাকা উপযোগী ১৬২ ধরনের স্থানীয় ধান, ২২ ধরনের শিম, ৬ ধরনের বেগুন, ৮ ধরনের মরিচ, ৮ ধরনের ডাটা শাকসহ অন্যান্য ফসলের স্থানীয় গ্রামীণ বীজ প্রদর্শনী করা হয়।
বীজ মেলার প্রারম্ভে ৬ষ্ট থেকে দশম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন, জলবায়ু ন্যায্যতা, পরিবেশ, প্রতিবেশ, ম্যানগ্রোভ বন, স্থানীয় বীজ এবং কৃষকের গুরুত্বসহ উপকূলীয় এলাকার সমস্যা সম্পর্কে তাদের ধারনাগত স্পষ্টতা কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

মেলার আলোচনাসভায় শিক্ষার্থী দীপ্ত বলেন, আমরা আমাদের এলাকায় যে অনেক ধরনের দেশীয় বীজ আছে তা জানতে ও দেখতে পেলাম, এলাকায় যে এত ধরনের ধানের জাত আছে বা ধান হত সে সম্পর্কে আগে আমাদের ধারনা ছিল না।

অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ছেলেমেয়েদের স্থানীয় বীজ সম্পর্কে তেমন ধারনা কম, এলাকায় লবনাক্ততা ও প্রাকৃতিক দূযোর্গের কারণে অনেক স্থানীয় বীজ হারিয়ে গিয়েছে এবং আগের দিনে আমাদের বাবা-দাদাদের আমলে যে ধরনের স্থানীয় জাতের ফসল চাষ হত এখন আর হয় না। আমরা বীজের কথা বলতে গেলে আগে দোকানের হাইব্রীড বীজের কথা আমাদের মাথায় আসে। ভুলে যাচ্ছি আমাদের নিজস্ব স্থানীয় বীজের কথা। বীজ ব্যবসায়ীদের প্রলোভনে পড়ে অধিক ফলন ও মুনাফার আসায় অনেক কৃষক প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মেলার সমাপনীতে বক্তব্য রাখেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার,সবুজ সংহতির সদস্য ভূধর চন্দ্র, শিক্ষক নির্মল মন্ডল, শিক্ষক হরিপদ বিশ্বাস, শিক্ষক বিশ্বজীত মন্ডল প্রমুখ।

বক্তারা বক্তব্যে বলেন বীজ কৃষকের নিজস্ব সম্পদ। কিন্ত সে সম্পদ এখন ব্যবসায়ীর ব্যবসার উপাদানে পরিনত হয়েছে।বীজ সংরক্ষনের ধারনা ও গুরুত্বে সচেতনতার উপর আগামীতে বীজের বাজার নিয়ন্ত্রনের কর্পোরেট সেন্ডিকেট থেকে সাধারন চাষীরা বাঁচবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হবে।

তারা আরও বলেন স্থানীয় জাতের বীজকে অবজ্ঞা করে অন্য কোনো অধিক ফলনশীল বীজ উৎপাদন করা কোনো ভাবেই সম্ভব না।নতুন প্রজন্মকে এই বীজ সম্পর্কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পারিবারিকভাবে সঠিক ধারনা দিতে হবে। তবেই আগামীতে সুন্দর ও সুষ্টু পরিবেশের পাশাপাশি খাদ্য সার্বভৌমত্ব অর্জনে সফলতা আসবে।

শিক্ষার্থীরা আগামীতে এ ধরনের আরো উপকূলীয় অঞ্চলের বৈচিত্র্য নির্ভর এবং ছাত্রছাত্রীদের নিজের এলাকা সম্পর্কে সঠিক ধারনা ও অভিযোজন দক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী কর্মসূচির আয়োজনের আহবান জানান।

 

বৃত্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মানববন্ধন ।

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের তিন ধাপ অগ্রগতি

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনসহ সব বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে রাণীশংকৈল উপজেলা বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সোসাইটি। এতে উপজেলার প্রায় ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-পরিচালকরা অংশ নেন।

জুলাই বিপ্লবের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, বৃত্তির অধিকার হয়ে যাক সবার,

শিক্ষা হোক সার্বজনীন অধিকার, প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বৈষম্য নয় সাম্য চাই লেখা ফেস্টুন ব্যানারসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সোসাইটি সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, মতিউর রহমান, সহ-সভাপতি আজাদ আলী,‌ সাংগঠনিক সম্পাদক, জয়নুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক, সোহেল রানা, সদস্য আবু সাঈদ প্রমুখ

এসময় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক পরিপত্রে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। তারা অবিলম্বে এ পরিপত্র প্রত্যাহারের দাবি জানান।

 

পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমানের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষকরা ।

“নতুন নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাব বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের তিন ধাপ অগ্রগতি

বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নানা দুর্বলতা চিহ্নিত করে নতুন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। দলটির প্রস্তাবিত পদ্ধতির নাম মিক্সড মেম্বার পিআর (MMP)।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘জনমতের প্রতিফলনে কার্যকর নির্বাচনব্যবস্থা মিক্সড মেম্বার পিআর (MMP)’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে নতুন এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, “বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন ও প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন সম্ভব নয়। নতুন এই এমএমপি পদ্ধতি দেশে কার্যকর নির্বাচন ব্যবস্থা গড়তে সহায়ক হবে।”

তিনি আরও বলেন, সরকার যেন নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে, সেজন্য পর্যাপ্ত সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান এমএমপি পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “সংসদে উচ্চকক্ষে প্রথমে পিআর পদ্ধতি সংযোজন করা যেতে পারে, পরে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হবে।”

গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন এজহারসহ অন্যান্যরা।

বক্তারা জানান, “দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নতুন ও সময়োপযোগী নির্বাচন ব্যবস্থা প্রয়োজন। এমএমপি পদ্ধতি সেই পথে একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প হতে পারে।”

×