| ২৩ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি দগ্ধ শিশুদের নিয়ে শারমিন আঁখির পরামর্শে কাঁপছে শোবিজ

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি দগ্ধ শিশুদের নিয়ে শারমিন আঁখির পরামর্শে কাঁপছে শোবিজ

মুহূর্তটি ছিল স্কুল ছুটির, কিন্তু সেই ছুটিই যেন চিরতরে জীবন থেকে ছুটি নিয়ে নিলো একঝাঁক কোমলমতি শিশু। সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় বহু প্রাণহানি ও দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে, যা পুরো দেশকে শোক আর স্তব্ধতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

এই ট্র্যাজেডিতে দেশের সাধারণ মানুষের মতো শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও শোকাহত। কেউ শোকবার্তা দিচ্ছেন, কেউ আবার দগ্ধদের জন্য সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ শেয়ার করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী শারমিন আঁখি, যিনি নিজেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুটিং স্পটে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। সেবার তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি, তবে এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন আগুনের ক্ষত আর মানসিক যন্ত্রণা।

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে অগ্নিদগ্ধ শিশুদের কথা ভেবে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন আঁখি। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ দগ্ধ শিশুদের কাছে যত কম ভিজিটর যাবে, ততই ভালো। পোড়ার পর সবচেয়ে বড় শত্রু ইনফেকশন। মানুষের চামড়া জার্ম প্রতিরোধ করে, কিন্তু পোড়া স্থানে সেই প্রটেকশন থাকে না। বেশিরভাগ দগ্ধ রোগী পোড়ায় নয়, ইনফেকশনে মারা যায়।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘চামড়া পোড়ার ব্যথার সঙ্গে কোনো ব্যথার তুলনা চলে না। নতুন চামড়া তৈরি হলে সেই জায়গার ড্রেসিং হয়, যা অসহনীয় যন্ত্রণা দেয়। তাই শিশুদের দেখতে গিয়ে অযথা ভিড় না করে চিকিৎসকদের নির্দেশনা মেনে চলাই ভালো।’

শারমিন আঁখি বলেন, ‘দগ্ধ শিশুরা এখন শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে আছে, কিছুদিন পর শুরু হবে মানসিক ট্রমা। এজন্য হাসপাতাল থেকে ফিরে প্রতিটি শিশুর মনঃসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’

শোবিজ অঙ্গনের তারকারা ও সাধারণ মানুষ শারমিন আঁখির এই বাস্তব অভিজ্ঞতাপূর্ণ পরামর্শকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিচ্ছেন। দগ্ধ শিশুদের বাঁচাতে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকে।

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃ’ত্যুহা সপাতালে ভর্তি আরও ৩১৯

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি দগ্ধ শিশুদের নিয়ে শারমিন আঁখির পরামর্শে কাঁপছে শোবিজ

দেশজুড়ে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন করে ৩১৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।

বুধবার (২৩ জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মারা যাওয়া শিশুদের একজন ছেলে (৩) ও একজন মেয়ে (৯)। এছাড়া মৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ (৫২) ও একজন নারী (৪০) রয়েছেন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০ জন, বরিশালে ৮৯, ঢাকার বাইরে বিভাগে ৫৯, চট্টগ্রামে ৩৮, রাজশাহীতে ৩০, ময়মনসিংহে ৯ এবং রংপুরে ৪ জন।

চলতি বছর এ পর্যন্ত দেশে ১৮ হাজার ৩৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মারা গেছেন ৬৯ জন, এর মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৩২ জন নারী।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে স্বজনপ্রীতির বড় উদাহরণ বললেন হাসনাত

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি দগ্ধ শিশুদের নিয়ে শারমিন আঁখির পরামর্শে কাঁপছে শোবিজ

হাসনাত আবদুল্লাহ : ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনা ও হতাহতদের স্বাস্থ্যসেবা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৩ জুলাই) চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে এনসিপির এক পথসভায় হাসনাত বলেন, ‘‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ। উনি ‘ভাই-ব্রাদার কোটায়’ আসছেন।’’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘‘এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোনো কার্যক্রম জনগণ দেখেনি। সরকারি বেতন আর গাড়ি ভোগ করলেও দেশের স্বাস্থ্য খাতে তার কোনো অবদান নেই।’’ হাসনাত দাবি করেন, ‘‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজে চিকিৎসা করাতে সিঙ্গাপুরে যান, অথচ দেশের মানুষের জন্য কোনো মানসম্মত ব্যবস্থা করেন না।’’

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে হাসনাত বলেন, ‘‘আমরা কথা বললে বিড়াল বেজার হয়। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেন না।’’

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের তিন ধাপ অগ্রগতি

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি দগ্ধ শিশুদের নিয়ে শারমিন আঁখির পরামর্শে কাঁপছে শোবিজ

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের ৯৭তম অবস্থান থেকে উন্নতি পেয়ে এবার ৯৪তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের নাগরিকরা বিশ্বের ৩৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বছরে এই উন্নতি বাংলাদেশের ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধার ইতিবাচক অগ্রগতি নির্দেশ করে।

তালিকার শীর্ষে এবারও রয়েছে এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর, যাদের পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
তৃতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপের সাত দেশ— ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন।
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন আছে চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড, গ্রিস ও সুইজারল্যান্ড। এছাড়া, যুক্তরাজ্য আছে ষষ্ঠ আর যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান করছে ১০ম স্থানে।

×