| ২৩ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

সকালের ৭টি সহজ অভ্যাস: লিভার ও অন্ত্র থাকবে সুস্থ শরীর হবে সতেজ

সকালের ৭টি সহজ অভ্যাস: লিভার ও অন্ত্র থাকবে সুস্থ শরীর হবে সতেজ

সকালের সময়টাই শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে লিভার (যকৃত) এবং অন্ত্রের (গাট) সুস্থতার জন্য এই সময়ে কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুললে সারাদিন শরীর থাকবে চনমনে ও রোগমুক্ত। লিভার শরীর থেকে টক্সিন বের করে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে আর অন্ত্র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও পুষ্টি শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

দেখে নিন সকালের ৭টি সহজ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস—

১️⃣ গরম পানি ও লেবুর রস:
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে লিভার সক্রিয় হয়, হজমশক্তি বাড়ে ও শরীর প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্স হয়। লেবুর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

২️⃣ প্রোবায়োটিক বা ফার্মেন্টেড খাবার:
এক কাপ দই, কেফির বা প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়। এতে হজম ভালো হয়, পেট ফাঁপা কমে আর পুষ্টি সহজে শোষিত হয়।

৩️⃣ হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং:
সকালে হালকা হাঁটা, যোগা বা স্ট্রেচিং করলে লিভারে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, হজম সহজ হয় আর অলসতা দূর হয়।

৪️⃣ ফাইবার সমৃদ্ধ প্রাতরাশ:
ওটস, চিয়া সিড, পেঁপে, আপেল বা সবুজ শাকসবজি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে, ফলে লিভারের ওপর চাপ কমে।

৫️⃣ লিভার-বান্ধব হার্বস:
হলুদ, আদা, লেবু ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান চা বা স্মুদিতে মিশিয়ে খেলে লিভার ডিটক্স হয়। হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে খুবই কার্যকর।

৬️⃣ ভারী ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন:
সকালে ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত চিনি বা রিফাইন্ড কার্ব খাবার এড়িয়ে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান। এতে লিভার ও অন্ত্র সুস্থ থাকে।

৭️⃣ মানসিক চাপ কমান:
সকালের কিছুটা সময় মেডিটেশন করুন। এতে কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা লিভার ও অন্ত্রের সুস্থতায় সহায়ক।

এই অভ্যাসগুলো নিয়মিত পালন করলে আপনার লিভার, অন্ত্র ও হজমব্যবস্থা থাকবে ফিট, শরীর হবে সতেজ ও কর্মক্ষম।

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য আরও দৃশ্যমান করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইউনূসের আহ্বান

সকালের ৭টি সহজ অভ্যাস: লিভার ও অন্ত্র থাকবে সুস্থ শরীর হবে সতেজ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস : ছবি-সংগৃহীত

দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্যকে আরও সুসংগঠিত ও দৃশ্যমান করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য আছে, সেটা যদি আরও বেশি দৃশ্যমান হয়, তাহলে দেশের মানুষ স্বস্তি পাবে, সাহস পাবে। একসঙ্গে থাকলে মানুষ খুশি হবে, দেশের মানুষও তাই চায়।’

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে রাজধানীর যমুনা সরকারি বাসভবনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে চারটি বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দলগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে কোনো মতপার্থক্য বা ফাটল নেই। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মাঝেমধ্যে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বলতেই পারে, তবে সেটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য করে নয়, বরং গঠনমূলক রাজনীতিরই অংশ।’

আইন উপদেষ্টা জানান, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।’

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি দগ্ধ শিশুদের নিয়ে শারমিন আঁখির পরামর্শে কাঁপছে শোবিজ

সকালের ৭টি সহজ অভ্যাস: লিভার ও অন্ত্র থাকবে সুস্থ শরীর হবে সতেজ

মুহূর্তটি ছিল স্কুল ছুটির, কিন্তু সেই ছুটিই যেন চিরতরে জীবন থেকে ছুটি নিয়ে নিলো একঝাঁক কোমলমতি শিশু। সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় বহু প্রাণহানি ও দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে, যা পুরো দেশকে শোক আর স্তব্ধতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

এই ট্র্যাজেডিতে দেশের সাধারণ মানুষের মতো শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও শোকাহত। কেউ শোকবার্তা দিচ্ছেন, কেউ আবার দগ্ধদের জন্য সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ শেয়ার করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী শারমিন আঁখি, যিনি নিজেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুটিং স্পটে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। সেবার তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি, তবে এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন আগুনের ক্ষত আর মানসিক যন্ত্রণা।

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে অগ্নিদগ্ধ শিশুদের কথা ভেবে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন আঁখি। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ দগ্ধ শিশুদের কাছে যত কম ভিজিটর যাবে, ততই ভালো। পোড়ার পর সবচেয়ে বড় শত্রু ইনফেকশন। মানুষের চামড়া জার্ম প্রতিরোধ করে, কিন্তু পোড়া স্থানে সেই প্রটেকশন থাকে না। বেশিরভাগ দগ্ধ রোগী পোড়ায় নয়, ইনফেকশনে মারা যায়।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘চামড়া পোড়ার ব্যথার সঙ্গে কোনো ব্যথার তুলনা চলে না। নতুন চামড়া তৈরি হলে সেই জায়গার ড্রেসিং হয়, যা অসহনীয় যন্ত্রণা দেয়। তাই শিশুদের দেখতে গিয়ে অযথা ভিড় না করে চিকিৎসকদের নির্দেশনা মেনে চলাই ভালো।’

শারমিন আঁখি বলেন, ‘দগ্ধ শিশুরা এখন শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে আছে, কিছুদিন পর শুরু হবে মানসিক ট্রমা। এজন্য হাসপাতাল থেকে ফিরে প্রতিটি শিশুর মনঃসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’

শোবিজ অঙ্গনের তারকারা ও সাধারণ মানুষ শারমিন আঁখির এই বাস্তব অভিজ্ঞতাপূর্ণ পরামর্শকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিচ্ছেন। দগ্ধ শিশুদের বাঁচাতে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকে।

মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় বাংলাদেশে আসছে ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

সকালের ৭টি সহজ অভ্যাস: লিভার ও অন্ত্র থাকবে সুস্থ শরীর হবে সতেজ

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, দক্ষ নার্স এবং অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে ভারত। নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে এবং অগ্নিদগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে, মোদির ঘোষণা অনুযায়ী চিকিৎসক ও নার্সদের একটি বিশেষ দল শিগগিরই বাংলাদেশে পৌঁছাবে। বুধবার (২৩ জুলাই) হাই কমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়েছে, গত ২১ জুলাই ঢাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণহানিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গভীর শোক জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

ভারত থেকে আগত এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আহতদের চিকিৎসা মূল্যায়ন করবেন এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেয়ার সুপারিশও করতে পারেন। আহতদের অবস্থা বিবেচনা করে প্রয়োজনে আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সের দল পাঠানো হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন। চিঠিতে আহতদের দ্রুত ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে ভারতের সম্ভাব্য সবধরনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়।

×