| ২৩ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মৃ’তের সংখ্যা ২২১

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মৃ’তের সংখ্যা ২২১

পাকিস্তানে টানা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২১ জনে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক বিবৃতিতে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, নতুন করে বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও বজ্রপাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি আরও বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দুইজন পুরুষ ও তিনজন শিশুসহ আরও পাঁচজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এনডিএমএ-র তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৫৯২ জন আহত হয়েছেন — যাদের মধ্যে ৭৭ জন পুরুষ, ৪০ জন নারী ও ১০৪ জন শিশু।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশ, যেখানে এখন পর্যন্ত ১৩৫ জন মারা গেছে এবং ৪৭০ জন আহত হয়েছেন। খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন, সিন্ধে ২২ জন, বেলুচিস্তানে ১৬ জন এবং ইসলামাবাদে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজাদ কাশ্মীরে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন, গিলগিট-বালতিস্তানে তিনজন আহত হয়েছেন।

এনডিএমএ জানিয়েছে, অধিকাংশ প্রাণহানি হয়েছে ভবনধস, নদীতে ডুবে যাওয়া, ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা, বজ্রপাত ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কারণে। মৌসুমের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮০৪টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং ২০০টিরও বেশি গবাদি পশু মারা গেছে।

টানা বৃষ্টিতে বাবুসর এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে এনডিএমএ। সেখানে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে, অন্তত ১৪ থেকে ১৫টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ রাস্তাগুলো থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদে চিলাস শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ (পিএসডি) জানিয়েছে, কাশ্মীর, খাইবার পাখতুনখোয়া, ইসলামাবাদ, পাঞ্জাব ও গিলগিট-বালতিস্তানের কিছু অংশে আরও ভারি বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ুর স্বাভাবিক অংশ হিসেবে মৌসুমি বৃষ্টি কৃষি ও পানির উৎস পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হলেও নগরায়ণ, দুর্বল নিষ্কাশনব্যবস্থা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই বৃষ্টি দিন দিন প্রাণঘাতী দুর্যোগে রূপ নিচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের, বিশেষ করে বন্যাপ্রবণ ও নিচু এলাকার মানুষদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য আরও দৃশ্যমান করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইউনূসের আহ্বান

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মৃ’তের সংখ্যা ২২১

ড. মুহাম্মদ ইউনূস : ছবি-সংগৃহীত

দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্যকে আরও সুসংগঠিত ও দৃশ্যমান করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য আছে, সেটা যদি আরও বেশি দৃশ্যমান হয়, তাহলে দেশের মানুষ স্বস্তি পাবে, সাহস পাবে। একসঙ্গে থাকলে মানুষ খুশি হবে, দেশের মানুষও তাই চায়।’

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে রাজধানীর যমুনা সরকারি বাসভবনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে চারটি বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দলগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে কোনো মতপার্থক্য বা ফাটল নেই। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মাঝেমধ্যে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বলতেই পারে, তবে সেটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য করে নয়, বরং গঠনমূলক রাজনীতিরই অংশ।’

আইন উপদেষ্টা জানান, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।’

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি দগ্ধ শিশুদের নিয়ে শারমিন আঁখির পরামর্শে কাঁপছে শোবিজ

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মৃ’তের সংখ্যা ২২১

মুহূর্তটি ছিল স্কুল ছুটির, কিন্তু সেই ছুটিই যেন চিরতরে জীবন থেকে ছুটি নিয়ে নিলো একঝাঁক কোমলমতি শিশু। সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় বহু প্রাণহানি ও দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে, যা পুরো দেশকে শোক আর স্তব্ধতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

এই ট্র্যাজেডিতে দেশের সাধারণ মানুষের মতো শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও শোকাহত। কেউ শোকবার্তা দিচ্ছেন, কেউ আবার দগ্ধদের জন্য সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ শেয়ার করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী শারমিন আঁখি, যিনি নিজেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুটিং স্পটে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। সেবার তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি, তবে এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন আগুনের ক্ষত আর মানসিক যন্ত্রণা।

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে অগ্নিদগ্ধ শিশুদের কথা ভেবে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন আঁখি। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ দগ্ধ শিশুদের কাছে যত কম ভিজিটর যাবে, ততই ভালো। পোড়ার পর সবচেয়ে বড় শত্রু ইনফেকশন। মানুষের চামড়া জার্ম প্রতিরোধ করে, কিন্তু পোড়া স্থানে সেই প্রটেকশন থাকে না। বেশিরভাগ দগ্ধ রোগী পোড়ায় নয়, ইনফেকশনে মারা যায়।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘চামড়া পোড়ার ব্যথার সঙ্গে কোনো ব্যথার তুলনা চলে না। নতুন চামড়া তৈরি হলে সেই জায়গার ড্রেসিং হয়, যা অসহনীয় যন্ত্রণা দেয়। তাই শিশুদের দেখতে গিয়ে অযথা ভিড় না করে চিকিৎসকদের নির্দেশনা মেনে চলাই ভালো।’

শারমিন আঁখি বলেন, ‘দগ্ধ শিশুরা এখন শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে আছে, কিছুদিন পর শুরু হবে মানসিক ট্রমা। এজন্য হাসপাতাল থেকে ফিরে প্রতিটি শিশুর মনঃসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’

শোবিজ অঙ্গনের তারকারা ও সাধারণ মানুষ শারমিন আঁখির এই বাস্তব অভিজ্ঞতাপূর্ণ পরামর্শকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিচ্ছেন। দগ্ধ শিশুদের বাঁচাতে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকে।

মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় বাংলাদেশে আসছে ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মৃ’তের সংখ্যা ২২১

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, দক্ষ নার্স এবং অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে ভারত। নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে এবং অগ্নিদগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে, মোদির ঘোষণা অনুযায়ী চিকিৎসক ও নার্সদের একটি বিশেষ দল শিগগিরই বাংলাদেশে পৌঁছাবে। বুধবার (২৩ জুলাই) হাই কমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়েছে, গত ২১ জুলাই ঢাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণহানিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গভীর শোক জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

ভারত থেকে আগত এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আহতদের চিকিৎসা মূল্যায়ন করবেন এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেয়ার সুপারিশও করতে পারেন। আহতদের অবস্থা বিবেচনা করে প্রয়োজনে আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সের দল পাঠানো হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন। চিঠিতে আহতদের দ্রুত ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে ভারতের সম্ভাব্য সবধরনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়।

×