| ২৩ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় নি’হত ২০২ শিশুরা সবচেয়ে বিপদে

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় নি’হত ২০২ শিশুরা সবচেয়ে বিপদে

পাকিস্তানে চলতি বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৬ জনই শিশু। জুনের শেষ থেকে শুরু হওয়া এই মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে — জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি পাঞ্জাবে — সেখানে মারা গেছেন ১২৩ জন। খাইবার পাখতুনখাওয়ায় প্রাণ গেছে ৪০ জনের, সিন্ধুতে ২১ জন, বেলুচিস্তানে ১৬ জন এবং ইসলামাবাদ ও আজাদ কাশ্মীরে একজন করে মারা গেছেন।

মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই বাড়ি ধসে, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন। এ পর্যন্ত অন্তত ১১৮ জন মারা গেছেন বাড়ি ধসে, ৩০ জন আকস্মিক বন্যায় এবং বাকিরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, বজ্রপাত ও ডুবে গিয়ে মারা গেছেন।

প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৫৬০ জনের বেশি মানুষ, যাদের মধ্যে ১৮২ জন শিশু। রাওয়ালপিন্ডি, ধামিয়াল, হাতিচক ও মর্গাহ এলাকায় আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাজার তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় পানি ছাদ পর্যন্ত পৌঁছানোয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হয়েছে।

ফয়সালাবাদে দুই দিনে ১১ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল অবকাঠামো ধসে পড়ায় এ প্রাণহানি আরও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অনেকেই বলছে, তাদের কাছে পুনর্গঠনের অর্থ নেই।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ ও মেরামত কার্যক্রম চলমান। ঝিলাম, পিণ্ড দাদন খান, কাল্লার কাহারসহ আশেপাশের এলাকায় বন্ধ রাস্তাগুলো সচল করতে কাজ চলছে।

কোরআনের দেখানো পথ ধরেই বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হবে :- আমীরে জামায়াত ডাক্তার শফিকুর রহমান ‎

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় নি’হত ২০২ শিশুরা সবচেয়ে বিপদে

আমীরে জামায়াত ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেন, আল কোরআন মানবজাতির শ্রেষ্ঠ গন্থ। কোরআনের দেখানো পথ ধরেই বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হবে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করা হবে। দুর্নীতির জাল ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হবে। দুর্নীতবাজের অস্তিত্বও দেশে থাকতে দেব না।

‎‎মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে ঈশ্বরদীর টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে ঢাকায় যাওয়ার পথে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণকারী জামায়াত কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান কলমের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যর তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন যেখানে দুর্নীতি সেখানেই প্রতিবাদ করা হবে। যতদিন দেশের মানুষের মুক্তি না মিলবে ততদিন লড়াই চলবে। পিছনের জালিম ও সামনের জালিম যতই শক্তিশালী হোক জামায়াত তারচেয়েও বেশি শক্তিশালী হবে। এই সংগঠন কোন জালিমের ভয় করেনা।

‎‎অনিয়ম- দুর্নীতি ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়তে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলে তিনি বলেন, লড়াই করতে আপনারা তৈরি আছেন তো। এটা চলমান থাকবে। আমি সেদিন মঞ্চ থেকে পরে গিয়েছিলাম। আপনারা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। আমি যেন দৌড়ের থেকে দুনিয়ার জীবন শেষ করে শহীদ হিসেবে কবুল করেন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। জাতির কল্যাণ চিন্তা করার তৌফিক দান করুন।

‎‎ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে নিহতদের স্বরণ করে তিনি বলেন, একটি মেসেজ নিয়ে আসছি সেটা হলো ২৭ জন নিহত, এটা বিশ্বাস করি না। এর চেয়ে বেশি সংখ্যা হবে। আমরা দোয়া করি তারা যেন জান্নাতবাসী করুক। নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে আমরা সংগঠন হিসেবে সর্বাত্মক সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। অর্থ রক্ত যা যা লাগবে আমাদের সহকর্মীরা দিবে।

‎ঢাকায় যাওয়ার পথে আমাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান কলম অদেখা কলম আমাদের হাতে দিয়ে গেছেন। তাদের সন্তানরা যেন আগের চেয়ে ভালো থাকে। জামায়াত তার পরিবারের সব দায়িত্ব নিয়েছে। পরিশেষে এই আগামী নির্বাচনে আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আবু (তালেব মন্ডল) কে সব দিক দিয়েই আপনারা সহযোগীতা করবেন।

‎এর আগে সকালে খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু সাঈদের কবর যিয়ারত করে হেলিকপ্টার যোগে পাবনার ঈশ্বরদীর স্টেডিয়াম মাঠে অবতরণ করেন। এরপর চর মিরকামারীর কবরস্থানের কবর জিয়ারত করেন। এরপর মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এছাড়াও গতকাল মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

‎এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, সাবেক মাওলানা আব্দুর রহিম, নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, সেক্রেটারি আব্দুল গাফ্ফার খান, সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ আব্দুল্লাহ, এসএম সোহেল, জেলা সুরা কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা জুবায়ের হোসেন, বেড়া উপজেলা জামায়াতে আমীর মাওলানা আতাউর রহমান, পাবনা পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

শিক্ষার্থীর আইডি কার্ডে অভিভাবকের ফোন ও রক্তের গ্রুপ সংযোজনের নির্দেশ হাইকোর্টের

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় নি’হত ২০২ শিশুরা সবচেয়ে বিপদে

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর আইডি কার্ডে বাবা-মা বা অভিভাবকের মোবাইল নম্বর এবং রক্তের গ্রুপ বাধ্যতামূলকভাবে সংযোজনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষাসচিবকে এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এছাড়া রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হওয়ার ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৭ দিনের মধ্যে সরকারকে এই কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পুড়ে নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ কোটি টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করা হয়েছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের সব জনবহুল এলাকায় ত্রুটিপূর্ণ বিমান ও যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের ওপর রুল জারি করেছেন আদালত।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল এবং অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, তানিম খান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির ও মো. ঈসা।

প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, ত্রুটিপূর্ণ যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন রোধ এবং রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস।

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনা আহতদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বিমান বাহিনী প্রধান

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় নি’হত ২০২ শিশুরা সবচেয়ে বিপদে

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। আহতদের সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাহিনীর সহযোগিতা চলবে বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “তথ্য লুকানোর কোনো সুযোগ নেই। কার কাছ থেকে লুকাব? সবাই আমাদের দেশের মানুষ। দুর্ঘটনার সব আপডেট আমরা আইএসপিআরের মাধ্যমে জনগণকে জানিয়ে দিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “বিমান বাহিনী ইঞ্জিন বা প্রযুক্তি নিয়ে কোনো আপস করে না। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। গুজবে কান না দিয়ে সত্যিকারের তথ্যের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানাই।”

প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-সেভেন বিজেআই মডেলের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। নিহতদের মধ্যে পাইলট ও এক শিক্ষিকা ছাড়া বাকিরা সবাই স্কুলের শিক্ষার্থী। আহত অবস্থায় অনেকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

×