| ২০ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মেসি

নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মেসি

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তেও থামছে না লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড লড়াই। এবার নন-পেনাল্টি গোলে পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে পেছনে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর মেসি।

একুশ শতকের ফুটবলারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ ৭৬৪টি নন-পেনাল্টি গোল নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন মেসি। পুরো ক্যারিয়ারে মেসির গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭৪টিতে, যেখানে রোনালদোর গোল সংখ্যা ৮৩৮টি। তবে নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোর সংখ্যা ৭৬৩টি।

বিশ্ব ফুটবলে মেসির এই রেকর্ড আরও বড় হয়ে উঠেছে কারণ রোনালদোর চেয়ে ১৬৭ ম্যাচ কম খেলে তিনি এই রেকর্ড গড়েছেন। মেসি-রোনালদোর পর একুশ শতকের শীর্ষ পাঁচের বাকি তিন তারকা হলেন — রবার্ট লেভানডফস্কি (৬১৫), লুইস সুয়ারেজ (৫৩৭) এবং জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (৪৮৮)।

রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে মেজর লিগ সকারে রেড বুলসের বিপক্ষে দুর্দান্ত জোড়া গোল করেন মেসি। তার জোড়া গোলের সুবাদে ইন্টার মায়ামি ৫-১ ব্যবধানে বড় জয় তুলে নেয়। মেসি শেষ সাত ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই জোড়া গোল করেছেন। কেবল ষষ্ঠ ম্যাচে কোনো গোল পাননি ৩৮ বছর বয়সী এই প্লে-মেকার।

ফুটবলপ্রেমীদের কাছে মেসি-রোনালদোর এই চিরন্তন লড়াই যেন এখনও শেষ হয়নি। নতুন নতুন রেকর্ডে ভক্তদের মাতিয়ে যাচ্ছেন দুজনেই।

সমালোচনা হোক গণতান্ত্রিকভাবে বিভাজন নয়: রাঙামাটিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মেসি

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিকভাবে সমালোচনা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

রোববার (২০ জুলাই) রাঙামাটিতে এনসিপির জুলাই মাসব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশই আমাদের প্রত্যাশা, যেখানে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ সমান মর্যাদায় বসবাস করবে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশকে নানা বিভাজনের মাধ্যমে জিম্মি করে রাখা হয়েছে, যার বড় শিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখানে বারবার অশান্তি তৈরি করে সুবিধা নিয়েছে একটি গোষ্ঠী।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় কোনও পক্ষকে আর এই সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যদি কোনও সমস্যা থাকে, তা আমরা নিজেরাই সমাধান করবো। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

এনসিপির আহ্বায়ক অভিযোগ করে বলেন, ‘৭২ সালের সংবিধান মুজিববাদী সংবিধান, যেখানে সকল জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে অবাঙালি জনগোষ্ঠীকে বিভাজিত করে রাখা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সকল বিভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে সকল জনগোষ্ঠীকে সমমর্যাদা দিয়ে একটি নতুন জাতীয় সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানাই। বাংলাদেশকে যেকোনো আধিপত্যবাদ থেকে রক্ষা করতে হলে সকলকে একসাথে লড়াই করতে হবে।’

শেষে তিনি বলেন, ‘সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যেমন সম্প্রীতি চাই, তেমনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা চাই। আমাদের পুরোনো সংঘাত ও বিরোধীতার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

ফিটনেসবিহীন বাস সরাতে বিশেষ ঋণ সুবিধা ঘোষণা চালু হলো ‘র‌্যাপিড পাস

নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মেসি

রাজধানীর সড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সরাতে বিশেষ রেয়াতি ঋণ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সেতু ও যোগাযোগ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

রবিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে চক্রাকার বাসে ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ড কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন বন্ধ করতে বিশেষ ঋণ ও অনুদান সুবিধা দেবে সরকার। পর্যায়ক্রমে সব গণপরিবহনেই যুক্ত হবে র‌্যাপিড পাস কার্ড।’

এদিন গুলিস্তান-শিববাড়ী-মতিঝিল রুটে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে বিআরটিসির ১০টি বাসে র‌্যাপিড পাস চালু করা হয়। উদ্বোধনের সময় ৫টি বাস প্রদর্শন করে বিআরটিসি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে ডিজিটাল ও নিরাপদ করতে ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ড ব্যবহারের পরিধি ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে।

কক্সবাজার ও গোপালগঞ্জের সহিংসতা: দায় কার? বিশ্লেষণ করলেন মঞ্জুরুল আলম পান্না

নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মেসি

মঞ্জুরুল আলম পান্না : ছবি-সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার ও গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না। তিনি বলেছেন, কোনো সহিংস ঘটনার দায় এককভাবে কোনো পক্ষের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে রাজনৈতিক বাস্তবতা, প্রতিক্রিয়ার কারণ ও পরিস্থিতির গভীরে নজর দিতে হবে।

পান্না বলেন, ‘কক্সবাজারে যে সমাবেশে ভাঙচুর হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের কেউ করেননি। বিএনপির নেতাকর্মীরাই মূলত এই হামলায় জড়িত ছিলেন, কারণ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘একজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে এমন মন্তব্যে যদি এত বড় প্রতিক্রিয়া হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সেটাও ভাবা উচিত।’

ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সভায় এনসিপি নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে ‘নব্য গডফাদার’ আখ্যা দিয়ে জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন। এরপরই সভাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, বিএনপির নেতাকর্মীরা মঞ্চ ভাঙচুর করেন।

গোপালগঞ্জ প্রসঙ্গে মঞ্জুরুল আলম পান্না বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার পর বিএনপি শেখ হাসিনাকে দায়ী করছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা বাকস্বাধীনতা চান না, রাজত্ব কায়েম করতে চান। কিন্তু যারা নিহত বা আহত হলেন, সেই মানবিক দিকটা নিয়ে বিএনপির কোনো কথা নেই কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জে এখন ১৪৪ ধারা জারি, কারফিউ চলছে, এলাকা ফাঁকা হয়ে গেছে। অথচ বিএনপি এসব নিয়ে কোনো বক্তব্য দিচ্ছে না।’

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যে নির্বাচন চায় না, তা সবারই জানা। সাধারণ মানুষও বুঝে গেছে। অথচ বিএনপি সেটা বুঝেও না বোঝার ভান করছে। কখনো সরকারপন্থী, কখনো সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়ে তারা নিজেরাই নিজেদের দুর্বল করছে। ফলে দলটি বারবার রাজনৈতিক ট্র্যাপে পা দিচ্ছে।’

তার মন্তব্য, ‘বিএনপি চাইলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ১৮ বছর তো দূরের কথা, তারা আর কত বছর পর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে, তা বলা মুশকিল।’

×