| ২০ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

খাওয়ার পর পানি খেলে কি ওজন বাড়ে?

খাওয়ার পর পানি খেলে কি ওজন বাড়ে?

আমরা প্রায় সবাই শুনে থাকি যে খাওয়ার পরপরই পানি পান করা উচিত নয়। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান, তারা এ নিয়ে সব সময় দ্বিধায় থাকেন—পানি কি সত্যিই ওজন বাড়িয়ে দেয়?

বিজ্ঞান কী বলে?
মূল কথা হলো, পানি নিজেই কোনো ক্যালরি যোগ করে না। তাই খাওয়ার পর পানি খেলে সরাসরি ওজন বাড়ে না। তবে একসঙ্গে বেশি পানি পান করলে হজমের রস পাতলা হয়ে যায়, এতে খাবার হজমে সমস্যা হতে পারে। এর ফলে পেট ভার লাগে, গ্যাস্ট্রিক বা অস্বস্তি হয়। অনেকে এটাকেই ভুলভাবে ওজন বৃদ্ধির লক্ষণ ভাবেন।

আয়ুর্বেদের মতে কী সঠিক?
আয়ুর্বেদ বলছে, খাওয়ার ঠিক পরপর পানি না খাওয়াই ভালো। এতে হজম শক্তি কমে যায় এবং শরীরে বর্জ্য পদার্থ জমে। তাই খাওয়ার পর মাত্র ১–২ চুমুক পানি খেতে বলা হয়। চাইলে হালকা গরম পানি বা জিরা পানি খেলে হজমে সহায়তা করে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
ডাক্তারেরা মনে করেন, খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করলে খিদে কিছুটা কমে যায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর খাওয়ার পর খুব পিপাসা পেলে অল্প পানি খেতে পারেন, তবে বেশি নয়।

তাই, খাওয়ার পর পানি খেলে সরাসরি ওজন বাড়ে না—তবে কতটুকু ও কখন পানি খাচ্ছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মেসি

খাওয়ার পর পানি খেলে কি ওজন বাড়ে?

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তেও থামছে না লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড লড়াই। এবার নন-পেনাল্টি গোলে পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে পেছনে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর মেসি।

একুশ শতকের ফুটবলারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ ৭৬৪টি নন-পেনাল্টি গোল নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন মেসি। পুরো ক্যারিয়ারে মেসির গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭৪টিতে, যেখানে রোনালদোর গোল সংখ্যা ৮৩৮টি। তবে নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোর সংখ্যা ৭৬৩টি।

বিশ্ব ফুটবলে মেসির এই রেকর্ড আরও বড় হয়ে উঠেছে কারণ রোনালদোর চেয়ে ১৬৭ ম্যাচ কম খেলে তিনি এই রেকর্ড গড়েছেন। মেসি-রোনালদোর পর একুশ শতকের শীর্ষ পাঁচের বাকি তিন তারকা হলেন — রবার্ট লেভানডফস্কি (৬১৫), লুইস সুয়ারেজ (৫৩৭) এবং জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (৪৮৮)।

রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে মেজর লিগ সকারে রেড বুলসের বিপক্ষে দুর্দান্ত জোড়া গোল করেন মেসি। তার জোড়া গোলের সুবাদে ইন্টার মায়ামি ৫-১ ব্যবধানে বড় জয় তুলে নেয়। মেসি শেষ সাত ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই জোড়া গোল করেছেন। কেবল ষষ্ঠ ম্যাচে কোনো গোল পাননি ৩৮ বছর বয়সী এই প্লে-মেকার।

ফুটবলপ্রেমীদের কাছে মেসি-রোনালদোর এই চিরন্তন লড়াই যেন এখনও শেষ হয়নি। নতুন নতুন রেকর্ডে ভক্তদের মাতিয়ে যাচ্ছেন দুজনেই।

সমালোচনা হোক গণতান্ত্রিকভাবে বিভাজন নয়: রাঙামাটিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

খাওয়ার পর পানি খেলে কি ওজন বাড়ে?

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিকভাবে সমালোচনা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

রোববার (২০ জুলাই) রাঙামাটিতে এনসিপির জুলাই মাসব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশই আমাদের প্রত্যাশা, যেখানে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ সমান মর্যাদায় বসবাস করবে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশকে নানা বিভাজনের মাধ্যমে জিম্মি করে রাখা হয়েছে, যার বড় শিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখানে বারবার অশান্তি তৈরি করে সুবিধা নিয়েছে একটি গোষ্ঠী।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় কোনও পক্ষকে আর এই সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যদি কোনও সমস্যা থাকে, তা আমরা নিজেরাই সমাধান করবো। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

এনসিপির আহ্বায়ক অভিযোগ করে বলেন, ‘৭২ সালের সংবিধান মুজিববাদী সংবিধান, যেখানে সকল জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে অবাঙালি জনগোষ্ঠীকে বিভাজিত করে রাখা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সকল বিভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে সকল জনগোষ্ঠীকে সমমর্যাদা দিয়ে একটি নতুন জাতীয় সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানাই। বাংলাদেশকে যেকোনো আধিপত্যবাদ থেকে রক্ষা করতে হলে সকলকে একসাথে লড়াই করতে হবে।’

শেষে তিনি বলেন, ‘সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যেমন সম্প্রীতি চাই, তেমনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা চাই। আমাদের পুরোনো সংঘাত ও বিরোধীতার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

ফিটনেসবিহীন বাস সরাতে বিশেষ ঋণ সুবিধা ঘোষণা চালু হলো ‘র‌্যাপিড পাস

খাওয়ার পর পানি খেলে কি ওজন বাড়ে?

রাজধানীর সড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সরাতে বিশেষ রেয়াতি ঋণ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সেতু ও যোগাযোগ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

রবিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে চক্রাকার বাসে ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ড কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন বন্ধ করতে বিশেষ ঋণ ও অনুদান সুবিধা দেবে সরকার। পর্যায়ক্রমে সব গণপরিবহনেই যুক্ত হবে র‌্যাপিড পাস কার্ড।’

এদিন গুলিস্তান-শিববাড়ী-মতিঝিল রুটে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে বিআরটিসির ১০টি বাসে র‌্যাপিড পাস চালু করা হয়। উদ্বোধনের সময় ৫টি বাস প্রদর্শন করে বিআরটিসি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে ডিজিটাল ও নিরাপদ করতে ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ড ব্যবহারের পরিধি ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে।

×