| ২০ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার আস্থা ফিরছে বিনিয়োগকারীদের

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার আস্থা ফিরছে বিনিয়োগকারীদের

দীর্ঘ ১০ মাসের টানা দরপতন কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। বেড়েছে সূচক, লেনদেন এবং বাজার মূলধন। বিনিয়োগকারীদের তলানিতে ঠেকা আস্থার সংকট কাটতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, এক সময় সূচক নেমে এসেছিল ৪ হাজার ৬০০ পয়েন্টের ঘরে এবং দৈনিক লেনদেন নেমেছিল মাত্র ২৫০ কোটি টাকায়। তবে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে সেই চিত্র বদলাতে শুরু করেছে। দেড় মাসের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ৫১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার পয়েন্টের ওপরে উঠেছে। আর দৈনিক লেনদেন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকায়। বাজার মূলধনও বেড়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় বিনিয়োগকারীরা আবারও শেয়ারবাজারমুখী হচ্ছেন, যার প্রভাব স্পষ্ট লেনদেনে। বাজারের এ গতি স্থায়ী করতে ভালো মানের শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো এবং অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ আলী বলেন, ‘‘পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়া ভালো দিক। তবে এটা স্থায়ী করতে হলে হস্তক্ষেপ কমিয়ে বাজারকে তার নিজস্ব নিয়মে চলতে দিতে হবে। যাতে কেউ কারসাজির সুযোগ নিতে না পারে।’’

বিনিয়োগকারীরাও ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তাদের প্রত্যাশা, পুঁজিবাজার যেন আর অস্থির না হয় এবং ইতিবাচক ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।

এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারে অযাচিত কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। বরং আইপিও, মিউচুয়াল ফান্ড ও মার্জিন ঋণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম বলেন, ‘‘আমরা দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন নীতিতে কাজ করছি। বিনিয়োগকারীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে। বাজারে আস্থা ফিরেছে বলেই বিনিয়োগকারীরা নতুন করে শেয়ারবাজারমুখী হচ্ছেন।’’

তিনি আরও বলেন, কেউ যাতে কারসাজির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে অস্থির করতে না পারে, সেদিকে কড়া নজরদারি রয়েছে।

নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মেসি

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার আস্থা ফিরছে বিনিয়োগকারীদের

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তেও থামছে না লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড লড়াই। এবার নন-পেনাল্টি গোলে পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে পেছনে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর মেসি।

একুশ শতকের ফুটবলারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ ৭৬৪টি নন-পেনাল্টি গোল নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন মেসি। পুরো ক্যারিয়ারে মেসির গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭৪টিতে, যেখানে রোনালদোর গোল সংখ্যা ৮৩৮টি। তবে নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোর সংখ্যা ৭৬৩টি।

বিশ্ব ফুটবলে মেসির এই রেকর্ড আরও বড় হয়ে উঠেছে কারণ রোনালদোর চেয়ে ১৬৭ ম্যাচ কম খেলে তিনি এই রেকর্ড গড়েছেন। মেসি-রোনালদোর পর একুশ শতকের শীর্ষ পাঁচের বাকি তিন তারকা হলেন — রবার্ট লেভানডফস্কি (৬১৫), লুইস সুয়ারেজ (৫৩৭) এবং জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (৪৮৮)।

রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে মেজর লিগ সকারে রেড বুলসের বিপক্ষে দুর্দান্ত জোড়া গোল করেন মেসি। তার জোড়া গোলের সুবাদে ইন্টার মায়ামি ৫-১ ব্যবধানে বড় জয় তুলে নেয়। মেসি শেষ সাত ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই জোড়া গোল করেছেন। কেবল ষষ্ঠ ম্যাচে কোনো গোল পাননি ৩৮ বছর বয়সী এই প্লে-মেকার।

ফুটবলপ্রেমীদের কাছে মেসি-রোনালদোর এই চিরন্তন লড়াই যেন এখনও শেষ হয়নি। নতুন নতুন রেকর্ডে ভক্তদের মাতিয়ে যাচ্ছেন দুজনেই।

সমালোচনা হোক গণতান্ত্রিকভাবে বিভাজন নয়: রাঙামাটিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার আস্থা ফিরছে বিনিয়োগকারীদের

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিকভাবে সমালোচনা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

রোববার (২০ জুলাই) রাঙামাটিতে এনসিপির জুলাই মাসব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশই আমাদের প্রত্যাশা, যেখানে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ সমান মর্যাদায় বসবাস করবে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশকে নানা বিভাজনের মাধ্যমে জিম্মি করে রাখা হয়েছে, যার বড় শিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখানে বারবার অশান্তি তৈরি করে সুবিধা নিয়েছে একটি গোষ্ঠী।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় কোনও পক্ষকে আর এই সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যদি কোনও সমস্যা থাকে, তা আমরা নিজেরাই সমাধান করবো। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

এনসিপির আহ্বায়ক অভিযোগ করে বলেন, ‘৭২ সালের সংবিধান মুজিববাদী সংবিধান, যেখানে সকল জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে অবাঙালি জনগোষ্ঠীকে বিভাজিত করে রাখা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সকল বিভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে সকল জনগোষ্ঠীকে সমমর্যাদা দিয়ে একটি নতুন জাতীয় সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানাই। বাংলাদেশকে যেকোনো আধিপত্যবাদ থেকে রক্ষা করতে হলে সকলকে একসাথে লড়াই করতে হবে।’

শেষে তিনি বলেন, ‘সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যেমন সম্প্রীতি চাই, তেমনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা চাই। আমাদের পুরোনো সংঘাত ও বিরোধীতার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

ফিটনেসবিহীন বাস সরাতে বিশেষ ঋণ সুবিধা ঘোষণা চালু হলো ‘র‌্যাপিড পাস

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার আস্থা ফিরছে বিনিয়োগকারীদের

রাজধানীর সড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সরাতে বিশেষ রেয়াতি ঋণ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সেতু ও যোগাযোগ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

রবিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে চক্রাকার বাসে ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ড কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন বন্ধ করতে বিশেষ ঋণ ও অনুদান সুবিধা দেবে সরকার। পর্যায়ক্রমে সব গণপরিবহনেই যুক্ত হবে র‌্যাপিড পাস কার্ড।’

এদিন গুলিস্তান-শিববাড়ী-মতিঝিল রুটে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে বিআরটিসির ১০টি বাসে র‌্যাপিড পাস চালু করা হয়। উদ্বোধনের সময় ৫টি বাস প্রদর্শন করে বিআরটিসি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে ডিজিটাল ও নিরাপদ করতে ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ড ব্যবহারের পরিধি ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে।

×