| ২০ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

অ্যান্টার্কটিকার গভীর বরফস্তর থেকে ১৫ লাখ বছরেরও বেশি পুরনো বরফ সংগ্রহ করে নতুন ইতিহাস গড়েছে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। এই বরফ গলিয়ে পৃথিবীর অতীত জলবায়ুর অজানা তথ্য জানার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, কাচের মতো দেখতে এই প্রাচীন বরফ অ্যান্টার্কটিকার কনকর্ডিয়া ঘাঁটির কাছে প্রায় ২.৮ কিলোমিটার গভীর থেকে বিশেষ ড্রিলের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। এই বরফের ধূলিকণা ও রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন, কিভাবে প্রাচীনকালে বরফ গলতে শুরু করেছিল এবং তা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায় কী প্রভাব ফেলেছিল— যা আজকের জলবায়ু সংকটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের (BAS) গবেষক ড. লিজ থমাস জানান, “এই বরফ আমাদের পৃথিবীর ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায়ের দরজা খুলে দেবে। সবচেয়ে পুরনো অংশগুলোর বয়স হতে পারে ১৫ লাখ বছর।”

এই বরফ বিশেষ হিমঘরে মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। গবেষকেরা বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পরে মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য সেখানে কাজ করতে পারেন।

আগামী সাত সপ্তাহ ধরে বরফ ধীরে ধীরে গলিয়ে ধূলিকণা, আগ্নেয়গিরির ছাই ও সামুদ্রিক শৈবাল (ডায়াটম) আলাদা করা হবে। এরপর সেগুলো ইন্ডাক্টিভলি কাপলড প্লাজমা মাস স্পেকট্রোমিটার (ICP-MS) দিয়ে বিশ্লেষণ করা হবে। এতে ২০টিরও বেশি মৌলিক উপাদান, বিরল ধাতু ও সামুদ্রিক লবণের উপস্থিতি শনাক্ত হবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গবেষণা ৮ থেকে ১২ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বরফযুগের চক্রে ঘটে যাওয়া ‘মাইল্ড-প্লাইস্টোসিন ট্রানজিশন’ রহস্য উন্মোচন করতে সহায়তা করবে। আগে পৃথিবীর বরফযুগের চক্র ছিল ৪১ হাজার বছর পরপর, যা তখন বদলে ১ লাখ বছর পরপর হতে শুরু করে। কেন এই পরিবর্তন ঘটেছিল, সেটি এখনও জলবায়ুবিজ্ঞানের এক বড় প্রশ্ন।

যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, ৮ লাখ বছরের বেশি আগে প্রকৃতিতেই কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব আজকের মতোই বেশি ছিল, তবে বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের প্রভাব নিয়ে ধারণা নতুনভাবে সাজাতে হবে। পার্থক্য শুধু একটাই—তখন প্রকৃতি নিজেই এই পরিবর্তন ঘটিয়েছিল, আর আজকের পরিবর্তন মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে দ্রুত গতিতে ঘটছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বরফ গবেষণা আমাদের ভবিষ্যৎ জলবায়ু নীতি ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মেসি

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তেও থামছে না লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড লড়াই। এবার নন-পেনাল্টি গোলে পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে পেছনে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর মেসি।

একুশ শতকের ফুটবলারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ ৭৬৪টি নন-পেনাল্টি গোল নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন মেসি। পুরো ক্যারিয়ারে মেসির গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭৪টিতে, যেখানে রোনালদোর গোল সংখ্যা ৮৩৮টি। তবে নন-পেনাল্টি গোলে রোনালদোর সংখ্যা ৭৬৩টি।

বিশ্ব ফুটবলে মেসির এই রেকর্ড আরও বড় হয়ে উঠেছে কারণ রোনালদোর চেয়ে ১৬৭ ম্যাচ কম খেলে তিনি এই রেকর্ড গড়েছেন। মেসি-রোনালদোর পর একুশ শতকের শীর্ষ পাঁচের বাকি তিন তারকা হলেন — রবার্ট লেভানডফস্কি (৬১৫), লুইস সুয়ারেজ (৫৩৭) এবং জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (৪৮৮)।

রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে মেজর লিগ সকারে রেড বুলসের বিপক্ষে দুর্দান্ত জোড়া গোল করেন মেসি। তার জোড়া গোলের সুবাদে ইন্টার মায়ামি ৫-১ ব্যবধানে বড় জয় তুলে নেয়। মেসি শেষ সাত ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই জোড়া গোল করেছেন। কেবল ষষ্ঠ ম্যাচে কোনো গোল পাননি ৩৮ বছর বয়সী এই প্লে-মেকার।

ফুটবলপ্রেমীদের কাছে মেসি-রোনালদোর এই চিরন্তন লড়াই যেন এখনও শেষ হয়নি। নতুন নতুন রেকর্ডে ভক্তদের মাতিয়ে যাচ্ছেন দুজনেই।

সমালোচনা হোক গণতান্ত্রিকভাবে বিভাজন নয়: রাঙামাটিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিকভাবে সমালোচনা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

রোববার (২০ জুলাই) রাঙামাটিতে এনসিপির জুলাই মাসব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশই আমাদের প্রত্যাশা, যেখানে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ সমান মর্যাদায় বসবাস করবে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশকে নানা বিভাজনের মাধ্যমে জিম্মি করে রাখা হয়েছে, যার বড় শিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখানে বারবার অশান্তি তৈরি করে সুবিধা নিয়েছে একটি গোষ্ঠী।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় কোনও পক্ষকে আর এই সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যদি কোনও সমস্যা থাকে, তা আমরা নিজেরাই সমাধান করবো। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

এনসিপির আহ্বায়ক অভিযোগ করে বলেন, ‘৭২ সালের সংবিধান মুজিববাদী সংবিধান, যেখানে সকল জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে অবাঙালি জনগোষ্ঠীকে বিভাজিত করে রাখা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সকল বিভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে সকল জনগোষ্ঠীকে সমমর্যাদা দিয়ে একটি নতুন জাতীয় সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানাই। বাংলাদেশকে যেকোনো আধিপত্যবাদ থেকে রক্ষা করতে হলে সকলকে একসাথে লড়াই করতে হবে।’

শেষে তিনি বলেন, ‘সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যেমন সম্প্রীতি চাই, তেমনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা চাই। আমাদের পুরোনো সংঘাত ও বিরোধীতার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

ফিটনেসবিহীন বাস সরাতে বিশেষ ঋণ সুবিধা ঘোষণা চালু হলো ‘র‌্যাপিড পাস

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

রাজধানীর সড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সরাতে বিশেষ রেয়াতি ঋণ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সেতু ও যোগাযোগ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

রবিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে চক্রাকার বাসে ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ড কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন বন্ধ করতে বিশেষ ঋণ ও অনুদান সুবিধা দেবে সরকার। পর্যায়ক্রমে সব গণপরিবহনেই যুক্ত হবে র‌্যাপিড পাস কার্ড।’

এদিন গুলিস্তান-শিববাড়ী-মতিঝিল রুটে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে বিআরটিসির ১০টি বাসে র‌্যাপিড পাস চালু করা হয়। উদ্বোধনের সময় ৫টি বাস প্রদর্শন করে বিআরটিসি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে ডিজিটাল ও নিরাপদ করতে ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ড ব্যবহারের পরিধি ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে।

×