| ১৮ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

এনসিপি পদযাত্রা সহিংসতা তদন্তে সরকারি কমিটি দুই সপ্তাহে রিপোর্ট

এনসিপি পদযাত্রা সহিংসতা তদন্তে সরকারি কমিটি দুই সপ্তাহে রিপোর্ট

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর জুলাই পদযাত্রা কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা, সহিংসতা ও প্রাণহানি ঘটনার তদন্তে একটি সরকারি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এই তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে অতিরিক্ত সচিব এই কমিটিতে থাকবেন।

তদন্ত কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার ন্যায়বিচার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সহিংসতায় জড়িত কেউই রেহাই পাবে না। আইনের আওতায় এনে জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।

সারাদেশে যৌথবাহিনীর অভিযানে এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার ৩২৮, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক

এনসিপি পদযাত্রা সহিংসতা তদন্তে সরকারি কমিটি দুই সপ্তাহে রিপোর্ট

দেশজুড়ে চলমান নিরাপত্তা অভিযানে গত এক সপ্তাহে ৩২৮ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। চোরাকারবারি থেকে কিশোর গ্যাং—কারও রেহাই নেই এ সাঁড়াশি অভিযানে। উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক ও চোরাই মালামাল।

 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১০ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে সারা দেশে একাধিক অভিযান চালানো হয়।

 

এ সময় গ্রেপ্তার হওয়া ৩২৮ জনের মধ্যে রয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাং সদস্য, ভূমিদস্যু ও অস্ত্রধারী অপরাধী। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৯ রাউন্ড গুলি, ১৬টি ককটেল বোমা, বিপুল পরিমাণ মাদক, মোবাইলফোন ও নগদ অর্থ।

 

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

এছাড়াও, জননিরাপত্তা ও শিল্পাঞ্চলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনা করছে।

 

সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে যেন নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে দ্রুত তথ্য জানান।

বাংলাদেশ পুলিশে ১১০ জন এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি

এনসিপি পদযাত্রা সহিংসতা তদন্তে সরকারি কমিটি দুই সপ্তাহে রিপোর্ট

বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় ১১০ জন সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই)-কে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের রিক্রুটমেন্ট ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সাব-ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (নিরস্ত্র) পদ থেকে ৬০ জন, সাব-ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (সশস্ত্র) পদ থেকে ৪৫ জন এবং পুলিশ সার্জেন্ট থেকে ৫ জন কর্মকর্তাকে ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (শহর ও যানবাহন) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এই পদোন্নতির ফলে পুলিশ বাহিনীর কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তারা উৎসাহিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ হা’মলাকারীরা ছাড় পাবে না: গ্রে’প্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

এনসিপি পদযাত্রা সহিংসতা তদন্তে সরকারি কমিটি দুই সপ্তাহে রিপোর্ট

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী : ছবি-সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে হামলাকারী ও অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, হামলায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন। তিনি জানান, গোপালগঞ্জের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আছে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল। তবে এমন বড় আকারে ঘটবে, সেটা কেউ প্রত্যাশা করেনি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক জনসভা শেষে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা ফেরার পথে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন। এ সময় গাড়িবহরে ককটেল বিস্ফোরণসহ হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে এবং রাত ৮টা থেকে কারফিউ কার্যকর করে সরকার, যা এখনো বহাল রয়েছে।

×