| ১৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

আবারও গোপালগঞ্জ যাওয়ার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

আবারও গোপালগঞ্জ যাওয়ার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

ছাত্রলীগের হামলার পর আবারও গোপালগঞ্জে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, “আমরা জীবিত থাকলে গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায়, প্রতিটি গ্রামে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে।”

নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, গোপালগঞ্জ মুজিববাদীদের হবে না, বাংলাদেশপন্থীদের হবে। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের জনগণকে যুগের পর যুগ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে। “আমরা গোপালগঞ্জ ও পুরো বাংলাদেশকে মুজিববাদী সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করব,” যোগ করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থাকলেও পরিকল্পিতভাবে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধের আহ্বান নিয়ে যাইনি, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল পথসভা ও পদযাত্রা।”

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন দাবি করে তিনি বলেন, হামলার পর প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেছেন। পথে আবারও হামলার শিকার হন নেতাকর্মীরা।

চারজনের মৃত্যুর খবরের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। সন্ত্রাসীদের আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, গোপালগঞ্জের শহীদ বাবু মোল্লা, শহীদ রথীন বিশ্বাসের রক্ত বৃথা যেতে দেবেন না। তিনি বলেন, “আমরা মুজিববাদকে গোপালগঞ্জের মাটি থেকে উচ্ছেদ করব। শহীদদের রক্তের শপথ নিয়ে আবারও গোপালগঞ্জে যাব। ফরিদপুরের পদযাত্রায় দেখা হবে।”

“জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ দেওয়া হয়নি”

আবারও গোপালগঞ্জ যাওয়ার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে কোনো আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে দলটির মিডিয়া সেল।

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বিএন‌পির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জামায়াতের এই সমাবেশে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকা হয়নি।

তবে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, জাতীয় সমাবেশে কেবলমাত্র সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির পক্ষে থাকা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের একজন নেতা জানান, তাদের দল সমাবেশে অংশ নিচ্ছে না। তবে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি সমাবেশে যাচ্ছি। আমাদের দলের তিনজন প্রতিনিধি জামায়াতের সমাবেশে অংশ নেবেন।”

সমাবেশের মূল পর্ব শনিবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে জামায়াতের সাংস্কৃতিক শাখা বিশেষ প্রচারণামূলক গান তৈরি করেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রেন ও বাস ভাড়া করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসছেন বলে জানা গেছে।

মিষ্টি মেয়ে কবরীর ৭৫তম জন্মদিন: কিংবদন্তি নায়িকার স্মৃতির ঝরাপাতা

আবারও গোপালগঞ্জ যাওয়ার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

মিষ্টি মেয়ে কবরীর ৭৫তম জন্মদিন: কিংবদন্তি নায়িকার স্মৃতির ঝরাপাতা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মেয়ে মিনা পাল, যিনি সবার কাছে বাংলা সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ সারাহ বেগম কবরী নামে পরিচিত। নাচের প্রতি অদম্য ভালোবাসা থেকেই মাত্র ১৩ বছর বয়সে মঞ্চে নৃত্যশিল্পী হিসেবে অভিষেক। এক বছর পর, মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে ‘সুতরাং’ সিনেমার নায়িকা হয়ে প্রথমবারের মতো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান।

প্রথম ছবিতেই দর্শক হৃদয় জয় করে নেন কবরী। এরপর শুরু হয় সোনালি অধ্যায়। মিনা পাল থেকে হয়ে যান সারাহ বেগম কবরী— বাংলা চলচ্চিত্রে এক অনন্য নাম। আজ কিংবদন্তি এই নায়িকার ৭৫তম জন্মদিন।

১৯৭৫ সালে ফারুকের সঙ্গে ‘সুজন সখী’ সিনেমায় অভিনয় করে হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার চিরসবুজ ‘মিষ্টি মেয়ে’। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কবরী। বাংলা চলচ্চিত্রে একমাত্র অভিনেত্রী হিসেবে পাঁচজন শীর্ষ নায়কের বিপরীতে অভিষেক ঘটেছে তাঁর— ফারুক, জাফর ইকবাল, আলমগীর, উজ্জ্বল ও সোহেল রানা।

কবরীর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো: ‘সুতরাং’, ‘হীরামন’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘সারেং বউ’, ‘দেবদাস’, ‘সুজন সখী’, ‘পারুলের সংসার’, ‘রংবাজ’, ‘বধূ বিদায়’, ‘আগন্তুক’, ‘বাহানা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।

অভিনয়ের বাইরে তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী অধিকারকর্মী ও সমাজসেবী। একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশে-বিদেশের নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননাও।

২০০৬ সালে ‘আয়না’ সিনেমা পরিচালনা করে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কবরী। তাঁর আত্মজীবনী ‘স্মৃতিটুকু থাক’ ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়, আর একই নামে সিনেমাও নির্মাণ করেছিলেন তিনি। তবে শেষ জীবনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

কবরী নেই, তবুও তাঁর শত সিনেমা, লেখা আর অমর স্মৃতি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে। মিষ্টি মেয়ে নেই, তবে ‘স্মৃতিটুকু’ রয়ে গেছে— প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

“বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্য মানা হবে না: সোহরাওয়ার্দীতে জাগপার রাশেদ প্রধানের হুঁশিয়ারি”

আবারও গোপালগঞ্জ যাওয়ার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন কখনোই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় মহাসমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, “গত বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ‘রাজাকার’ শব্দটি আবারও রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনেছিলেন। ইতিহাসের শিক্ষা মনে রাখুন— একবার এই রাজাকার তত্ত্ব দিয়ে দিল্লির তিলক মালি মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলা ছেড়ে দিল্লি পালাতে হয়েছিল। সেই একই ভুল আবারও করলে ইতিহাস কাউকে ছাড়বে না।”

জামায়াতের আয়োজিত এই জাতীয় সমাবেশে সকাল থেকে সারা দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হন। প্রথম পর্বে ইসলামী সংগীত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পর দুপুর ২টায় মূল সমাবেশ শুরু হয়। এতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, আলেম-উলামারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশের মূল দাবি ছিল সাত দফা— এর মধ্যে রয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার এবং প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।

×