| ১৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হা’মলা ১৪৪ ধারা জারি

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হা’মলা ১৪৪ ধারা জারি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় পুরো শহরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সমাবেশ শেষে ফেরার সময় লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে তাদের গাড়িবহর আটকে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুর আড়াইটার দিকে এনসিপির গাড়িবহর কলেজ এলাকা অতিক্রমের চেষ্টা করলে হঠাৎ হামলা শুরু হয়। ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বহরে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। তবে পুরোপুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের।

এখনও শহরের লঞ্চঘাট ও পৌর পার্ক এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সংঘর্ষের মধ্যে সমাবেশস্থলের মঞ্চ ও চেয়ার রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে, যান চলাচলও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সহিংসতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হা’মলা ১৪৪ ধারা জারি

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক শূন্য দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) বিপিএম-৬ (BPM6) পদ্ধতিতে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩০,০২৬.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিপরীতে, IMF এর হিসাব অনুযায়ী BPM6 পদ্ধতিতে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪,৯৯৫.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

এর আগে, গত মে-জুন মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (ACU) ২০১ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে।

গত ৭ জুলাই নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪.৪৫ বিলিয়ন ডলার এবং মোট রিজার্ভ ছিল ২৯.৫২ বিলিয়ন ডলার। এরপরে ২ জুলাই নিট রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৬.৬৮ বিলিয়ন ডলার এবং মোট রিজার্ভ ছিল ৩১.৭১ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক দায় বাদ দিলে নিট রিজার্ভের পরিমাণ হিসাব করা হয়, যা BPM6 পদ্ধতিতে নির্ধারিত।

২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিবির সাবেক এসি সাজ্জাদুর রহমান সাময়িক বরখাস্ত

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হা’মলা ১৪৪ ধারা জারি

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার (এসি) মো. সাজ্জাদুর রহমানকে ২৭ লাখ টাকা নিজের হেফাজতে রাখার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৬ জুলাই) জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সই করা প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

 

সূত্রে জানা যায়, সাজ্জাদুর রহমান বর্তমানে ডিএমপি সদরদপ্তরে সংযুক্ত আছেন। এর আগে তিনি গোয়েন্দা রমনা বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেরেবাংলা নগর থানার এক মামলার আসামিকে ধরতে এবং আলামত উদ্ধারের নামে গত ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নড়াইলের ভাওয়া এলাকায় যান।

 

অভিযোগ রয়েছে, ডিজিটাল প্রতারণার মামলায় আসামি মো. আলিমুজ্জামান সৈকতের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তিনি ২৭ লাখ টাকা পান, যা বিধি অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত না করে নিজের কাছে রেখে দেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মাত্র ২২ লাখ টাকার কথা স্বীকার করেন।

 

এছাড়া ঘটনাস্থলে থাকা প্রযুক্তিগত আলামতের সঠিক জব্দ তালিকাও তৈরি করেননি তিনি। এমনকি আসামি আলিমুজ্জামান সৈকতকে আটক করেও গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপে আসামির সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়েও তিনি মিথ্যা তথ্য দেন। এসব কর্মকাণ্ডকে প্রজ্ঞাপনে অসদাচরণ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুসারে সাজ্জাদুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী ১৩ জুলাই থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি নিয়ম অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

কুড়িগ্রামের সাত উপজেলায় হচ্ছে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হা’মলা ১৪৪ ধারা জারি

দেশে ও বিদেশে ক্রমবর্ধমান দক্ষ জনশক্তির চাহিদার প্রেক্ষিতে এবং কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার দেশের ৩২৯টি উপজেলায় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (TSC) স্থাপনের বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ১৯৬০ সালে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম এত বড় পরিসরে সরকারি অর্থায়নে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

 

কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমদ খান জানিয়েছেন, প্রতিটি উপজেলায় বাছাই করে উন্নত অবকাঠামো ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিদেশে প্রশিক্ষিত শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দক্ষতা না থাকায় বর্তমানে দেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ বিদেশে স্বল্প মজুরিতে শ্রম দিচ্ছেন। ফলে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক বিদেশে গেলেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সরকারের এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

এই প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম জেলায় সাতটি উপজেলায় স্থাপিত হচ্ছে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—ভুরুঙ্গামারী, চর রাজিবপুর, চিলমারী, ফুলবাড়ী, রাজারহাট, রৌমারী ও উলিপুর উপজেলায়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা আধুনিক কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে, যা জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

 

সরকারি এই উদ্যোগকে ঘিরে কুড়িগ্রামে ইতোমধ্যেই ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের আশায় তাকিয়ে আছেন এই টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর কার্যক্রম শুরু হওয়ার দিকে।

×