| ১৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

নর্থ সাউথ গ্রুপের হাত ধরে স্বপ্নের ঠিকানা, পরিকল্পিত নগরায়ণের নতুন দিগন্ত

নর্থ সাউথ গ্রুপের হাত ধরে স্বপ্নের ঠিকানা, পরিকল্পিত নগরায়ণের নতুন দিগন্ত

রাজধানী ও আশপাশের মানুষের মাথার ওপর ছাদের স্বপ্নকে আরও কাছাকাছি আনতে এগিয়ে এসেছে নর্থ সাউথ গ্রুপ। ক্রমবর্ধমান আবাসন সংকট আর অপরিকল্পিত নগরায়ণের চাপে যখন মানুষের স্বপ্নগুলো ধূলিসাৎ হতে বসেছিল, তখনই একের পর এক সমন্বিত আবাসন ও শিল্প প্রকল্প নিয়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

 

দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আর মানুষের আস্থা নিয়ে “নর্থ সাউথ গ্রুপের” সবচেয়ে বড় প্রকল্প ‘নর্থ সাউথ গ্রিন সিটি’। রাজধানীর উত্তরের প্রাণকেন্দ্রে ছয়শ একরের বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে উঠছে এই সবুজ নগরী। এখানে থাকবে প্রশস্ত রাস্তা, সুপরিকল্পিত ড্রেনেজ, শিশুদের খেলার মাঠ, হাঁটার পথ, সিনিয়র সিটিজেন কর্নার, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। চারপাশে গাছের সারি আর পর্যাপ্ত খোলা জায়গা মানুষকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে রাখবে। সর্বক্ষণিক সিসিটিভি আর আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে নির্ভার জীবনযাপন।

 

নর্থ সাউথ স্কয়ার সিটি’ হচ্ছে আরেকটি স্বপ্নের প্রকল্প। Planned Urbanization এর অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে গড়ে উঠছে এটি। এখানে একই পরিসরে থাকবে অ্যাপার্টমেন্ট, শপিং মল, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও বিনোদন কেন্দ্র। শিশু ও বৃদ্ধবান্ধব নকশা, পর্যাপ্ত সবুজ জায়গা আর নিরাপত্তা — সবকিছুতেই থাকছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব।

 

শুধু আবাসন নয়, দেশের অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থানের দিগন্ত খুলতেও নর্থ সাউথ গ্রুপ কাজ করছে। এ লক্ষ্যেই তিনশ একর এলাকাজুড়ে ‘নর্থ সাউথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি’ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, গুদামঘর, পরিবহন সুবিধা ও অত্যাধুনিক অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে — যা দেশের শিল্পখাতকে নতুন গতি দেবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

নিরাপদ ভ্যালি’ প্রকল্পটিও আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। এটি একটি আধুনিক কনডোমিনিয়াম প্রকল্প, যেখানে থাকবে সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্ট, টাউনহাউজ, স্বাস্থ্যসেবা, জিম, কমিউনিটি হল ও সর্বক্ষণিক নিরাপত্তা। বিশেষ করে নবদম্পতি, প্রবাসী পরিবার ও নিরাপদ পরিবেশে থাকতে চাওয়া মানুষদের কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

সবশেষে, সমাজের পিছিয়ে থাকা ও অসহায় মানুষের জন্য ‘মানবিক আশ্রয়’ প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে। নর্থ সাউথ গ্রুপের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান (সাজু) আবাসন নিউজ২৪- কে বলেন,

“আবাসন খাত শুধু ধনীদের বিলাসিতা নয়, মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই প্রতিটি প্রকল্প আমরা এমনভাবে গড়ে তুলি যাতে গ্রাহকরা নিরাপদ, আরামদায়ক ও আধুনিক জীবনযাপন করতে পারেন। সাশ্রয়ী মূল্যে সঠিক নথিপত্রসহ হস্তান্তর করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আর সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্যও আমরা বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছি, যাতে উন্নয়নের সুফল সবাই পায়। ব্যবসার পাশাপাশি মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টিই আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা।”

 

প্রতিটি প্রকল্পের গুণগত মান ও সময়মতো হস্তান্তর নিয়ে কোনও আপোষ নেই বলে জানালেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএম ইউসুফ আলী। তিনি বলেন,

 “আমরা শুধু জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রি করি না, মানুষের স্বপ্নপূরণের সঙ্গী হতে চাই। প্রতিটি প্রকল্পেই শতভাগ আইনি স্বচ্ছতা ও নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর নিশ্চিত করা হচ্ছে। Planned Urbanization ও পরিবেশবান্ধব নকশার কারণে গ্রীন পার্ক, খোলা জায়গা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও সোলার লাইটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”

নর্থ সাউথ গ্রুপের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন আরও পাঁচটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আবাসন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দেওয়া।

রাজধানীর সীমাহীন চাপের মধ্যে নর্থ সাউথ গ্রুপের গ্রিন সিটি, স্কয়ার সিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি, নিরাপদ ভ্যালি ও মানবিক আশ্রয় প্রকল্প শুধু বসতি নয়, মানুষের স্বপ্নের সমাজ গড়ে তুলছে। সময়মতো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বসতির নতুন ঠিকানা হবে এগুলোই — এমন প্রত্যাশায় স্বপ্ন বুনছে হাজারো পরিবার।

শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়

নর্থ সাউথ গ্রুপের হাত ধরে স্বপ্নের ঠিকানা, পরিকল্পিত নগরায়ণের নতুন দিগন্ত

প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান আর ওপেনার তানজিদ হাসানের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

বল হাতে বাংলাদেশের জয়ে নেতৃত্ব দেন শেখ মেহেদী। মাত্র ১১ রান খরচায় ৪ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে গড়েছেন নিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। ব্যাট হাতে জয়ের ভিত গড়েন তানজিদ হাসান তামিম। ৪৭ বলে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছয়টি বিশাল ছক্কা হাঁকান এই তরুণ ওপেনার।

বুধবার (১৬ জুলাই) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। শুরুতেই কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। এরপর শেখ মেহেদীর স্পিন তোপে একে একে সাজঘরে ফেরেন পেরেরা, চান্দিমাল, আসালাঙ্কা ও নিশাঙ্কা। শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ১৩২ রান করতে সক্ষম হয়, শানাকার ২৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংসে।

জবাবে সহজ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারালেও ভাঙেনি টাইগারদের মনোবল। লিটন দাসের ২৬ বলে ৩২ ও তানজিদ হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তামিম ৪৭ বলে ৭৩* রানে অপরাজিত থাকেন, তাকে সঙ্গ দেন হৃদয় (২৫ বলে ২৭)।

ম্যাচসেরা হন শেখ মেহেদী হাসান। আর সিরিজসেরা টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস, যিনি ব্যাট হাতে ১১৪ রান করেন তিন ম্যাচে।

এ জয়ের মাধ্যমে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে ইতিহাস গড়লো টাইগাররা। আগামী ২০ জুলাই মিরপুরে শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

চীনে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে জাপানি নাগরিকের সাড়ে তিন বছরের কা’রাদণ্ড

নর্থ সাউথ গ্রুপের হাত ধরে স্বপ্নের ঠিকানা, পরিকল্পিত নগরায়ণের নতুন দিগন্ত

চীনের একটি আদালত গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক জাপানি নাগরিককে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। বেইজিংয়ে জাপানি দূতাবাসের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে জাপানি সংবাদমাধ্যম কিয়োদো নিউজ।

বুধবার (১৬ জুলাই) স্থানীয় সময় বেইজিংয়ের ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্ট অ্যাস্টেলাস ফার্মা ইনক. নামের জাপানি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানায়।

চীনে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কেনজি কানাসুগি সাংবাদিকদের বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। জাপান সরকার দ্রুত তার মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা ও কূটনৈতিক সহায়তা চালিয়ে যাবে।”

জানা গেছে, ওই জাপানি নাগরিককে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে চীন ছাড়ার আগে আটক করা হয়। পরবর্তীতে একই বছরের অক্টোবরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয় এবং ২০২৪ সালের আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা গঠন করা হয়।

চীন ও জাপানের মধ্যে এমন স্পর্শকাতর ইস্যু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন করে চাপে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

১৭ জুলাই থেকে দেশজুড়ে গণআন্দোলনে রূপ নেয় কোটা বিরোধী আন্দোলন

নর্থ সাউথ গ্রুপের হাত ধরে স্বপ্নের ঠিকানা, পরিকল্পিত নগরায়ণের নতুন দিগন্ত

কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৫ সালে নতুন মাত্রা পায় ১৭ জুলাই থেকে। রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর পরই আন্দোলন রূপ নেয় গণআন্দোলনে। ১৬ জুলাই পুলিশের হামলায় সাঈদের মৃত্যু বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজকে ক্ষিপ্ত করে তোলে, যা আন্দোলনের বাঁক ঘুরিয়ে দেয়।

পরদিন ১৭ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ছাত্রলীগমুক্ত করতে মাঠে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হল থেকে বের করে দিয়ে হলগুলো ‘ছাত্রলীগমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘‘নারী হলগুলো মুক্ত হওয়ার পর মহসীন হলসহ একের পর এক হল ছাত্রলীগের দখলমুক্ত করা হয়।’’

একই দিনে সারাদেশে নিহত হন আবু সাঈদ, ওয়াসিমসহ অন্তত ছয়জন শিক্ষার্থী। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হলেও পুলিশি হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জে তা ব্যাহত হয়। বিকেলে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জানাজা পড়েন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, স্নাইপার ও সোয়াট টিম মোতায়েন করে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা চলে। এছাড়া সারাদেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সশস্ত্র হামলায় আহত হন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

১৭ জুলাই রাতেই ঢাকার যাত্রাবাড়ি, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ শুরু হয়। যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা, যা ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। আন্দোলনকারীরা একে ‘জুলাই আন্দোলনের লেলিনগ্রাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সন্ধ্যার মধ্যে ক্যাম্পাস ও হল ফাঁকা করতে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয় পুলিশ। সেই রাতেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার, কিন্তু এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালো শাড়ি পরে শোক প্রকাশ করলেও, সেটি জনগণের ক্ষোভ আরও উসকে দেয়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সমালোচনা ও ট্রল।

সবশেষে ১৮ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা করে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির হামলা সত্ত্বেও সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে গণআন্দোলন।

×