| ১৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

আবু সাঈদের মৃ’ত্যুবার্ষিকী: বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবার

আবু সাঈদের মৃ’ত্যুবার্ষিকী: বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবার

আজ (১৬ জুলাই) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ঠিক এক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।

বিচারের কোনো অগ্রগতি নেই বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন তার বড় ভাই রমজান আলী। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকজন বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলেও এক বছরেও কিছুই হয়নি। আমার ভাই যে কারণে জীবন দিলো, তার কোনো বাস্তবায়ন চোখে পড়ে না।”

রমজান আলী আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারি কর্মকর্তারা আমাদের বাসায় এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু বিচার থেমে আছে। বিচারব্যবস্থা এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে।”

আবু সাঈদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুরের বাবুনপুরে তার কবর জিয়ারত করবেন সরকারের উপদেষ্টা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও শোকযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

আবারও গোপালগঞ্জ যাওয়ার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

আবু সাঈদের মৃ’ত্যুবার্ষিকী: বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবার

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

ছাত্রলীগের হামলার পর আবারও গোপালগঞ্জে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, “আমরা জীবিত থাকলে গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায়, প্রতিটি গ্রামে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে।”

নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, গোপালগঞ্জ মুজিববাদীদের হবে না, বাংলাদেশপন্থীদের হবে। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের জনগণকে যুগের পর যুগ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে। “আমরা গোপালগঞ্জ ও পুরো বাংলাদেশকে মুজিববাদী সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করব,” যোগ করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থাকলেও পরিকল্পিতভাবে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধের আহ্বান নিয়ে যাইনি, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল পথসভা ও পদযাত্রা।”

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন দাবি করে তিনি বলেন, হামলার পর প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেছেন। পথে আবারও হামলার শিকার হন নেতাকর্মীরা।

চারজনের মৃত্যুর খবরের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। সন্ত্রাসীদের আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, গোপালগঞ্জের শহীদ বাবু মোল্লা, শহীদ রথীন বিশ্বাসের রক্ত বৃথা যেতে দেবেন না। তিনি বলেন, “আমরা মুজিববাদকে গোপালগঞ্জের মাটি থেকে উচ্ছেদ করব। শহীদদের রক্তের শপথ নিয়ে আবারও গোপালগঞ্জে যাব। ফরিদপুরের পদযাত্রায় দেখা হবে।”

ছাত্রলীগের হা’মলার পর খুলনা ছাড়লেন এনসিপি নেতারা

আবু সাঈদের মৃ’ত্যুবার্ষিকী: বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবার

গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পর খুলনায় রাত্রীযাপন শেষে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় নেতারা। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টার দিকে খুলনা সার্কিট হাউস ও হোটেল সিটি ইন থেকে যশোর হয়ে ফরিদপুরের পথে রওনা হন তারা।

এনসিপি নেতাদের বহরে রয়েছেন পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চল সমন্বয়ক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চল সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের অনেকে।

খুলনা ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির খুলনার মুখ্য সমন্বয়ক আহম্মদ হামিম রাহাত। তিনি জানান, যশোর হয়ে ফরিদপুর গিয়ে পদযাত্রা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন নেতারা।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পর নেতারা খুলনায় পৌঁছে সার্কিট হাউস ও হোটেল সিটি ইন-এ রাত্রীযাপন করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরে পদযাত্রার অংশ হিসেবে গ্রাসরুট সমাবেশ, জনসংযোগ ও নতুন সাংগঠনিক কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

ইরাকের আল কুত শহরের শপিং মলে ভয়াবহ আ’গুন নি’হত অন্তত ৫০

আবু সাঈদের মৃ’ত্যুবার্ষিকী: বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবার

ইরাকের পূর্বাঞ্চলীয় শহর আল কুত-এ একটি শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইএনএ ও আল আরাবিয়া’র খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

ওয়াসিত প্রদেশের গভর্নর মোহাম্মদ আল-মিয়াহি জানান, বুধবার রাতে আল কুত শহরের একটি বড় শপিং সেন্টারে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। গভর্নরের বরাত দিয়ে আইএনএ জানিয়েছে, “ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শহরের একটি পাঁচতলা শপিং মলে রাতভর আগুন নেভাতে ব্যস্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। যদিও রয়টার্স এসব ভিডিও স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

এখনো অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে গভর্নর মোহাম্মদ আল-মিয়াহি জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং শপিং মল ও ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ইরাকে শপিং মল বা জনসমাগমস্থলে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

×