মিটফোর্ডে সোহাগ হ’ত্যা: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মা’মলার আশ্বাস আসিফ নজরুলের

আসিফ নজরুল : ছবি-সংগৃহীত
রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শনিবার সকাল ১০টা ৯ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘‘মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় দোষীদের দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’’
গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্যস্ত সড়কে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীর থেঁতলে হত্যা করা হয়। পরে তাঁকে বিবস্ত্র করে মরদেহের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ।
পুলিশ ও মামলার তথ্য অনুযায়ী, চাঁদাবাজি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নিহত সোহাগ একসময় যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার পরদিন নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫–২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ওরফে মহিন যুবদল নেতা হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় জাতীয়তাবাদী যুবদল তাদের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কৃতরা হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলও। বহিষ্কৃতরা হলেন চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।