| ১২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

এসএসসি পরীক্ষায় ১৩৪টি স্কুলে শতভাগ ফেল গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ

এসএসসি পরীক্ষায় ১৩৪টি স্কুলে শতভাগ ফেল গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান শতভাগ ফেল করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৫১টি, যা এবার ৮৩টি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার মোট পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮.৪৫ শতাংশ। একই দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করে।

এই বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল থেকে এবং শেষ হয় ১৩ মে। মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করে। এর মধ্যে ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন ছাত্রী এবং ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন ছাত্র।

গাজায় ইসরায়েলি হা’মলায় ২৪ ঘণ্টায় নি’হত ৬১

এসএসসি পরীক্ষায় ১৩৪টি স্কুলে শতভাগ ফেল গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় নতুন করে আরও রক্ত ঝরেছে। শুক্রবার শুরু হওয়া এই হামলা শনিবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৩১ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার কেন্দ্রের নুসেইরাত শরণার্থী শিবির, দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকা এবং আরও কয়েকটি স্থানে বিমান হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।

বিশেষ করে আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে চালানো হামলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেইর আল-বালাহ এলাকায় দু’টি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৪ জন।

সবচেয়ে মর্মান্তিক হচ্ছে—ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নিশ্চিত করেছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

রামাল্লাহর উত্তরে সিঞ্জিল শহরেও ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

‘বিচার-সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানো চলবে না’ — মঈন খান

এসএসসি পরীক্ষায় ১৩৪টি স্কুলে শতভাগ ফেল গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ

ড. আব্দুল মঈন খান : ছবি-সংগৃহীত

‘আগে বিচার ও সংস্কার, তারপর নির্বাচন’— এই যুক্তি আর শুনতে চায় না বিএনপি। নির্বাচন পেছানোর অজুহাত হিসেবে বিচার ও সংস্কারের কথা বলা আর চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজশাহীর ভুবন-মোহন পার্কে মহানগর বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির একটাই দাবি— জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। বিচার-সংস্কার চলতে থাকবে, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।’

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতো আচরণ নয়, আমাদের আচরণে গণতন্ত্র ও সংযমের ছাপ থাকতে হবে।’

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব মামুন-অর-রশীদ।

অনুষ্ঠানে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনো সদস্যদের নবায়ন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মঈন খান।

জুলাই-আগস্ট গণহ’ত্যা মা’মলায় সাবেক আইজিপি রাজসাক্ষী

এসএসসি পরীক্ষায় ১৩৪টি স্কুলে শতভাগ ফেল গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় নিজের ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি আদালতে রাজসাক্ষী হতে সম্মত হওয়ায় শর্তসাপেক্ষে তাকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শনিবার (১২ জুলাই) এই সংক্রান্ত লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়। আদেশে বলা হয়, মামুনকে সুবিধাজনক সময়ে সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হবে। এ ছাড়া তাকে কারাগারে আলাদা সেলে রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১০ জুলাই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ সংশ্লিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ গঠন শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী মামুনকে প্রশ্ন করেন, তিনি অভিযোগ স্বীকার করছেন কি না। তখন তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে চান বলে আবেদন জানান।

আদালতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে আমাদের বিরুদ্ধে যে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য। আমি এসব অপরাধে নিজেকে দোষী মনে করছি এবং রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতকে সহযোগিতা করতে চাই।’

ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়। আদালত জানিয়েছে, মামুন সত্য তথ্য দিয়ে অপরাধের পূর্ণ বিবরণ দিলে তার ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

×