| ১২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন ফখরুল

ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে  ধন্যবাদ জানালেন ফখরুল

মির্জা ফখরুল : ছবি-সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ নির্দেশনার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ড. ইউনূসের নির্দেশনা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমাদের দাবি আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত।’

আলোচনাসভায় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড গুরুত্ব সহকারে দেখার আহ্বান জানান।

এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক শিল্পে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এতে দেশের পোশাক শিল্পে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে। সরকারকে এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।’

‘বিচার-সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানো চলবে না’ — মঈন খান

ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে  ধন্যবাদ জানালেন ফখরুল

ড. আব্দুল মঈন খান : ছবি-সংগৃহীত

‘আগে বিচার ও সংস্কার, তারপর নির্বাচন’— এই যুক্তি আর শুনতে চায় না বিএনপি। নির্বাচন পেছানোর অজুহাত হিসেবে বিচার ও সংস্কারের কথা বলা আর চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজশাহীর ভুবন-মোহন পার্কে মহানগর বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির একটাই দাবি— জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। বিচার-সংস্কার চলতে থাকবে, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।’

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতো আচরণ নয়, আমাদের আচরণে গণতন্ত্র ও সংযমের ছাপ থাকতে হবে।’

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব মামুন-অর-রশীদ।

অনুষ্ঠানে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনো সদস্যদের নবায়ন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মঈন খান।

জুলাই-আগস্ট গণহ’ত্যা মা’মলায় সাবেক আইজিপি রাজসাক্ষী

ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে  ধন্যবাদ জানালেন ফখরুল

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় নিজের ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি আদালতে রাজসাক্ষী হতে সম্মত হওয়ায় শর্তসাপেক্ষে তাকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শনিবার (১২ জুলাই) এই সংক্রান্ত লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়। আদেশে বলা হয়, মামুনকে সুবিধাজনক সময়ে সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হবে। এ ছাড়া তাকে কারাগারে আলাদা সেলে রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১০ জুলাই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ সংশ্লিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ গঠন শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী মামুনকে প্রশ্ন করেন, তিনি অভিযোগ স্বীকার করছেন কি না। তখন তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে চান বলে আবেদন জানান।

আদালতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে আমাদের বিরুদ্ধে যে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য। আমি এসব অপরাধে নিজেকে দোষী মনে করছি এবং রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতকে সহযোগিতা করতে চাই।’

ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়। আদালত জানিয়েছে, মামুন সত্য তথ্য দিয়ে অপরাধের পূর্ণ বিবরণ দিলে তার ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হ’ত্যায় চাঁদাবাজি নয় ছিল ভাঙারির দখল দ্বন্দ্ব: পুলিশ

ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে  ধন্যবাদ জানালেন ফখরুল

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের পেছনে চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকানের দখল ও লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বই মূল কারণ বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মাহিন নামের একজন মামলার এক নম্বর আসামি হিসেবে চিহ্নিত।

ডিসি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করেই আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তে কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা প্রভাব ফেলবে না।’

গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া ও আলোচনা। এ ঘটনায় নিহতের বোন কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০-১৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাঙারি দোকানের দখলসংক্রান্ত বিরোধই প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

×