| ১২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

বাংলাদেশে বিনিয়োগে চ্যালেঞ্জ থাকলেও আগ্রহী চীনা কোম্পানিগুলো: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

বাংলাদেশে বিনিয়োগে চ্যালেঞ্জ থাকলেও আগ্রহী চীনা কোম্পানিগুলো: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবকাঠামো, এনার্জি ও বন্দর খাতে নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও চীনা কোম্পানিগুলো এখানেই বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ‘চায়না-বাংলাদেশ শিল্প ও সরবরাহ চেইন সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারের আয়োজন করে চায়নিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিএইবি)।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও অনুকূল হলে চীনা কোম্পানিগুলো বড় পরিসরে কাজ করতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্য, শিল্প, পরিবেশ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংস্কৃতি সহযোগিতা সহ ১২টি খাতে একযোগে কাজের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বৈঠক অন্য কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নয়, বরং পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে এগোচ্ছে তিন দেশের সম্পর্ক।

সেমিনারের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে যেকোনো দেশ বিনিয়োগ করতে পারে, বিডা সব ধরনের সহযোগিতা করবে। চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে শিগগিরই চীনে বিডার একটি অফিস খোলা হবে। এছাড়া ঢাকায় একটি চায়না টাউন স্থাপনের কথাও ভাবা হচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, সিএইবি সভাপতি হান কুন, আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাহেলা আক্তার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোকছেদ আলী এবং ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সালাম বেপারী।

‘ডিসেম্বরে নির্বাচন ঠেকাতে ষড়যন্ত্র চলছে’—অভিযোগ বিএনপি নেতার

বাংলাদেশে বিনিয়োগে চ্যালেঞ্জ থাকলেও আগ্রহী চীনা কোম্পানিগুলো: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

দেশে চলমান হত্যাকাণ্ড ও নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফারুক বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডসহ নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এতে কান না দিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে তার কথা রাখার আহ্বান জানাই।’’

সম্প্রতি মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘ছাত্রদল ও যুবদল এই ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছে, দায়ীদের বহিষ্কার করেছে। অথচ হারুন, বিপ্লবদের বিরুদ্ধে আমি যে মামলা করেছিলাম, তা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তারা কোথায়, কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না—এটা জনগণকে জানাতে হবে।’’

ফারুক আরও বলেন, ‘‘মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। আওয়ামী লীগের সময়ে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হলেও তখন আওয়ামী লীগ কাউকে বহিষ্কার করেনি। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন তারেক রহমান এই ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জড়িতদের আজীবন বহিষ্কার করেছেন।’’

তিনি দাবি করেন, তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে লন্ডনে হওয়া বৈঠক এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচনী প্রস্তুতিকে বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। ‘‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার যখন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন, তখনই এই হত্যাকাণ্ড ও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করা হলো,’’—বলেন ফারুক।

সবশেষে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘যে কোনো ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ও সংসদীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন।’’

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর হাতে ফিলিস্তিনি-মার্কিন যুবক নি’হত

বাংলাদেশে বিনিয়োগে চ্যালেঞ্জ থাকলেও আগ্রহী চীনা কোম্পানিগুলো: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় এক ফিলিস্তিনি-মার্কিন যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। নিহত ওই যুবকের নাম সাইফ আল-দিন কামেল আবদুল করিম মুসাল্লাত। তার বয়স বিশের কোঠায়।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় রামাল্লার উত্তরের সিনজিল শহরে বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হামলায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত মুসাল্লাত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের টাম্পার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কিছুদিনের জন্য ফিলিস্তিনে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তার কাজিন ফাতমা মোহাম্মদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘তিনি একেবারেই নিরস্ত্র ছিলেন, অথচ নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’

ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, নিহতের পরিবারের উদ্ধৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরাই তাকে হত্যা করেছে।

ফিলিস্তিনি এক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, একই এলাকায় আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেয়নি।

এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়াও এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘পশ্চিম তীরে এক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তবে নিহতের পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার্থে বিস্তারিত কিছু বলা হবে না।’’

এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সিনজিল শহরে ইসরায়েলি নাগরিকদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পর বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কয়েকজন ইসরায়েলিও আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ‘অপ্রাণঘাতী অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের হামলা ও সহিংসতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

এর আগেও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি-মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ, কিশোর ওমর মোহাম্মদ রাবেয়া এবং মানবাধিকারকর্মী আয়সেনুর ইজগি আয়গিও পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ২০২৩ সালে জানিয়েছিল, পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারি ও অবৈধ বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাহার করা উচিত। তবে ইসরায়েল নিজেদের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অধিকার দেখিয়ে সেই অবস্থান মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।

এই হত্যাকাণ্ড পশ্চিম তীরের দখল, দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্রকে আরও একবার বিশ্বমঞ্চে সামনে এনেছে।

জোতার মৃ’ত্যুতে শোক লিভারপুলের ২০ নম্বর জার্সি অবসরে

বাংলাদেশে বিনিয়োগে চ্যালেঞ্জ থাকলেও আগ্রহী চীনা কোম্পানিগুলো: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় লিভারপুল তারকা দিয়োগো জোতা এবং তার ভাই আন্দ্রে সিলভার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব। গত ৩ জুলাই ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর থেকেই লিভারপুল সমর্থকরা প্রিয় তারকার ২০ নম্বর জার্সিটি চিরতরে অবসরে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

সমর্থকদের আবেগের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিভারপুল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জোতার স্ত্রী রুতে কার্দোসো এবং পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর জোতার জার্সি নম্বরটি অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ক্লাব জানিয়েছে, ‘‘এই সিদ্ধান্ত দিয়োগো জোতার কেবল মাঠের পারফরম্যান্স নয়, ক্লাবের সবার জীবনে তার ব্যক্তিগত প্রভাবকেও স্মরণ করিয়ে দেবে।’’

লিভারপুলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল এডওয়ার্ডস এই সিদ্ধান্তকে ‘একজন অনন্য অসাধারণ ব্যক্তির প্রতি একটি অনন্য শ্রদ্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘২০ নম্বর জার্সি অবসরে পাঠানোর মাধ্যমে আমরা এটিকে চিরকালীন করে রাখছি—তাকে কখনো ভোলা যাবে না।’’

জোতার মৃত্যুর পর লিভারপুলের প্রথম ম্যাচ হবে রোববার, যেখানে তারা প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়নশিপ দল প্রেস্টন নর্থ এন্ডের বিপক্ষে।

×