ওজন কমাতে শুধু ডায়েট নয় খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলোও

বর্তমানে সুস্থ জীবনযাপন ও ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কেউ ট্রেডমিলে ঘাম ঝরাচ্ছেন, কেউ খাবারে ক্যালরি মেপে চলছেন। তবে শুধু ডায়েট বা ব্যায়াম করলেই হবে না—বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে গেলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে যেতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সফলভাবে ওজন কমাতে হলে কিছু বৈজ্ঞানিক দিক মাথায় রাখা খুবই জরুরি। চলুন জেনে নিই এমন কয়েকটি বিষয়—
মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া:
সবার বিপাকক্রিয়া বা মেটাবলিজম এক রকম নয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত চর্বি, অনিয়মিত খাওয়া কিংবা শরীরে পেশির ঘাটতিও বিপাকক্রিয়াকে ব্যাহত করে, ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
ঘুমের অভাব:
পর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কম ঘুম হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, মেটাবলিজমের গতি কমায় এবং শরীরে চর্বি জমতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
খাওয়ার পরপরই ঘুম:
রাতের খাবারের পরপরই শুয়ে পড়লে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। হজম ঠিকমতো না হলে ওজনও বেড়ে যেতে পারে। তাই রাতের খাবারের অন্তত ২–৩ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যাওয়া উচিত।
নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা:
কিছু রোগ ওজন কমানোর পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন থাইরয়েড, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), হরমোনের অসামঞ্জস্য, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। এসব সমস্যার চিকিৎসা ছাড়া ওজন কমানো কঠিন।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
কিছু ওষুধ যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক স্বাস্থ্য বা ডায়াবেটিসের ওষুধ শরীরে চর্বি জমাতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন কমাতে শুধু ব্যায়াম বা ডায়েট নয়, জীবনযাত্রার নানা দিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর সঠিক পদ্ধতি বেছে নিন।