স্পেনের আদালত ইসরায়েলের নেতাদের বিরুদ্ধে গাজা হা’মলার অভিযোগে যু’দ্ধাপরাধ তদন্ত শুরু

স্পেনের একটি স্থানীয় আদালত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাজায় গত মাসে সংঘটিত ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলি হামলার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
এই তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো ১ জুন আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকা এমভি মাদলিন নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান। ওই জাহাজে ছিলেন ১২ জন আন্তর্জাতিক কর্মী ও মানবিক সহায়তা সামগ্রী। স্প্যানিশ এমইপি জাউমে আসেনস এক্সে এই তথ্য জানান।
হামলার সময় জাহাজে ছিলেন সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং ফিলিস্তিনি-ফরাসি মানবাধিকারকর্মী রিমা হাসানসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক কর্মী।
এই মামলাটি দায়ের করেন স্পেনের নাগরিক সের্হিও তোরিবিও ও কমিটি ফর সলিডারিটি উইথ দ্য অ্যারাব কজ। তারা অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোন ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে বেসামরিক নাগরিকদের অবৈধভাবে আটক করেছে, যা গাজায় চলমান সংঘাতের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিক অংশ।
স্প্যানিশ আদালত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) এর সহযোগিতা চেয়ে এই হামলাকে গাজায় গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বিচারাধীন রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গাজা সংঘাতের বিষয়ে ইসরায়েলি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্পেনে এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক তদন্ত।
জাউমে আসেনস মন্তব্য করেন, “দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। যখন রাষ্ট্রগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়, তখন নাগরিক সমাজ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসে—এটি নৈতিক, আইনি ও রাজনৈতিক একটি হাতিয়ার।”
এই তদন্ত এগিয়ে গেলে নেতানিয়াহু ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ইউরোপ সফরে বাধা আসতে পারে, কারণ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। ইসরায়েল সরকার এই বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।