| ১২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

স্পেনের আদালত ইসরায়েলের নেতাদের বিরুদ্ধে গাজা হা’মলার অভিযোগে যু’দ্ধাপরাধ তদন্ত শুরু

স্পেনের আদালত ইসরায়েলের নেতাদের বিরুদ্ধে গাজা হা’মলার অভিযোগে যু’দ্ধাপরাধ তদন্ত শুরু

স্পেনের একটি স্থানীয় আদালত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাজায় গত মাসে সংঘটিত ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলি হামলার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।

এই তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো ১ জুন আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকা এমভি মাদলিন নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান। ওই জাহাজে ছিলেন ১২ জন আন্তর্জাতিক কর্মী ও মানবিক সহায়তা সামগ্রী। স্প্যানিশ এমইপি জাউমে আসেনস এক্সে এই তথ্য জানান।

হামলার সময় জাহাজে ছিলেন সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং ফিলিস্তিনি-ফরাসি মানবাধিকারকর্মী রিমা হাসানসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক কর্মী।

এই মামলাটি দায়ের করেন স্পেনের নাগরিক সের্হিও তোরিবিও ও কমিটি ফর সলিডারিটি উইথ দ্য অ্যারাব কজ। তারা অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোন ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে বেসামরিক নাগরিকদের অবৈধভাবে আটক করেছে, যা গাজায় চলমান সংঘাতের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিক অংশ।

স্প্যানিশ আদালত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) এর সহযোগিতা চেয়ে এই হামলাকে গাজায় গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বিচারাধীন রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গাজা সংঘাতের বিষয়ে ইসরায়েলি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্পেনে এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক তদন্ত।

জাউমে আসেনস মন্তব্য করেন, “দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। যখন রাষ্ট্রগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়, তখন নাগরিক সমাজ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসে—এটি নৈতিক, আইনি ও রাজনৈতিক একটি হাতিয়ার।”

এই তদন্ত এগিয়ে গেলে নেতানিয়াহু ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ইউরোপ সফরে বাধা আসতে পারে, কারণ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। ইসরায়েল সরকার এই বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

‘ডিসেম্বরে নির্বাচন ঠেকাতে ষড়যন্ত্র চলছে’—অভিযোগ বিএনপি নেতার

স্পেনের আদালত ইসরায়েলের নেতাদের বিরুদ্ধে গাজা হা’মলার অভিযোগে যু’দ্ধাপরাধ তদন্ত শুরু

দেশে চলমান হত্যাকাণ্ড ও নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফারুক বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডসহ নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এতে কান না দিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে তার কথা রাখার আহ্বান জানাই।’’

সম্প্রতি মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘ছাত্রদল ও যুবদল এই ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছে, দায়ীদের বহিষ্কার করেছে। অথচ হারুন, বিপ্লবদের বিরুদ্ধে আমি যে মামলা করেছিলাম, তা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তারা কোথায়, কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না—এটা জনগণকে জানাতে হবে।’’

ফারুক আরও বলেন, ‘‘মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। আওয়ামী লীগের সময়ে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হলেও তখন আওয়ামী লীগ কাউকে বহিষ্কার করেনি। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন তারেক রহমান এই ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জড়িতদের আজীবন বহিষ্কার করেছেন।’’

তিনি দাবি করেন, তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে লন্ডনে হওয়া বৈঠক এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচনী প্রস্তুতিকে বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। ‘‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার যখন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন, তখনই এই হত্যাকাণ্ড ও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করা হলো,’’—বলেন ফারুক।

সবশেষে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘যে কোনো ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ও সংসদীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন।’’

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর হাতে ফিলিস্তিনি-মার্কিন যুবক নি’হত

স্পেনের আদালত ইসরায়েলের নেতাদের বিরুদ্ধে গাজা হা’মলার অভিযোগে যু’দ্ধাপরাধ তদন্ত শুরু

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় এক ফিলিস্তিনি-মার্কিন যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। নিহত ওই যুবকের নাম সাইফ আল-দিন কামেল আবদুল করিম মুসাল্লাত। তার বয়স বিশের কোঠায়।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় রামাল্লার উত্তরের সিনজিল শহরে বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হামলায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত মুসাল্লাত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের টাম্পার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কিছুদিনের জন্য ফিলিস্তিনে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তার কাজিন ফাতমা মোহাম্মদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘তিনি একেবারেই নিরস্ত্র ছিলেন, অথচ নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’

ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, নিহতের পরিবারের উদ্ধৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরাই তাকে হত্যা করেছে।

ফিলিস্তিনি এক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, একই এলাকায় আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেয়নি।

এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়াও এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘পশ্চিম তীরে এক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তবে নিহতের পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার্থে বিস্তারিত কিছু বলা হবে না।’’

এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সিনজিল শহরে ইসরায়েলি নাগরিকদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পর বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কয়েকজন ইসরায়েলিও আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ‘অপ্রাণঘাতী অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের হামলা ও সহিংসতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

এর আগেও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি-মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ, কিশোর ওমর মোহাম্মদ রাবেয়া এবং মানবাধিকারকর্মী আয়সেনুর ইজগি আয়গিও পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ২০২৩ সালে জানিয়েছিল, পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারি ও অবৈধ বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাহার করা উচিত। তবে ইসরায়েল নিজেদের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অধিকার দেখিয়ে সেই অবস্থান মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।

এই হত্যাকাণ্ড পশ্চিম তীরের দখল, দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্রকে আরও একবার বিশ্বমঞ্চে সামনে এনেছে।

জোতার মৃ’ত্যুতে শোক লিভারপুলের ২০ নম্বর জার্সি অবসরে

স্পেনের আদালত ইসরায়েলের নেতাদের বিরুদ্ধে গাজা হা’মলার অভিযোগে যু’দ্ধাপরাধ তদন্ত শুরু

স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় লিভারপুল তারকা দিয়োগো জোতা এবং তার ভাই আন্দ্রে সিলভার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব। গত ৩ জুলাই ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর থেকেই লিভারপুল সমর্থকরা প্রিয় তারকার ২০ নম্বর জার্সিটি চিরতরে অবসরে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

সমর্থকদের আবেগের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিভারপুল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জোতার স্ত্রী রুতে কার্দোসো এবং পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর জোতার জার্সি নম্বরটি অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ক্লাব জানিয়েছে, ‘‘এই সিদ্ধান্ত দিয়োগো জোতার কেবল মাঠের পারফরম্যান্স নয়, ক্লাবের সবার জীবনে তার ব্যক্তিগত প্রভাবকেও স্মরণ করিয়ে দেবে।’’

লিভারপুলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল এডওয়ার্ডস এই সিদ্ধান্তকে ‘একজন অনন্য অসাধারণ ব্যক্তির প্রতি একটি অনন্য শ্রদ্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘২০ নম্বর জার্সি অবসরে পাঠানোর মাধ্যমে আমরা এটিকে চিরকালীন করে রাখছি—তাকে কখনো ভোলা যাবে না।’’

জোতার মৃত্যুর পর লিভারপুলের প্রথম ম্যাচ হবে রোববার, যেখানে তারা প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়নশিপ দল প্রেস্টন নর্থ এন্ডের বিপক্ষে।

×