| ৮ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

গাজায় নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ইসরায়েলি সেনার

গাজায় নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ইসরায়েলি সেনার

গাজা উপত্যকায় দায়িত্ব পালন করা এক ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনা স্কাই নিউজকে দেওয়া এক বিরল ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার ইউনিটকে প্রায়ই ‘নো-গো জোন’ বলে চিহ্নিত এলাকায় যে-ই প্রবেশ করুক, সশস্ত্র হোক বা নিরস্ত্র, তাকে গুলি করে হত্যা করতে নির্দেশ দেওয়া হতো।

নিজের নিরাপত্তার জন্য নাম গোপন রেখে ওই সেনা জানান, “যেই নির্ধারিত সীমারেখা পার হবে, সে মরবে — কে সে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।” তিনি অভিযোগ করেন, গাজায় বেসামরিকদের নির্বিচারে গুলি করা হতো এবং প্রায়ই সেনাদের আচরণ নির্ভর করত তাদের কমান্ডারের মর্জির ওপর।

তিনি জানান, তিনি ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) ২৫২তম ডিভিশনের সদস্য হিসেবে গাজার কেন্দ্র দিয়ে গড়ে ওঠা ‘নেটজারিম করিডোরে’ দুই দফায় মোতায়েন ছিলেন — যা গাজা ভূখণ্ডকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়।

তিনি বলেন, “আমরা এমন ঘর দখল করেছি যেখানে একসময় গাজাবাসীরা থাকত। সেই ঘর ঘিরে ‘নো-গো জোন’ তৈরি করা হতো। বলা হতো গাজার সবাই জানে এখানে ঢোকা মানা, কিন্তু তারা কীভাবে জানবে?”

তার ভাষ্যমতে, কিশোররা কখনো সাইকেল চালিয়ে সীমারেখায় চলে এলে তাকেও গুলি করা হয়েছে। অনেক সেনাই মনে করতেন, গাজার কেউই নির্দোষ নয় — ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জন্য পুরো গাজা জনগণকেই দায়ী করা হতো। কেউ কেউ বলতো, “ওরা আমাদের কষ্ট দেখে আনন্দ করছিল, তাই ওদের মরাই উচিত।”

তিনি অভিযোগ করেন, নিয়মিত এমন কথাবার্তা হতো এবং বেশিরভাগ কমান্ডারই তা সমর্থন করতেন। অনিয়মিত আদেশের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কখনো সীমা পার হলে গুলি করতে বলা হতো, কখনো বলা হতো মরদেহ নিতে এলে বন্দি করতে — আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই নতুন আদেশ আসত, সবাইকে গুলি করতে হবে।

সেনাটি বলেন, “সব কিছু যেন ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’-এর মতো হয়ে গেছে। কেউ যা খুশি করছে, কোনো জবাবদিহিতা নেই।” তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, খুব খারাপ কিছুতে অংশ নিয়েছি। তাই এখন সত্যিটা প্রকাশ করতে চাই।”

তিনি স্বীকার করেন, ইসরায়েলি সমাজে সেনাবাহিনীর সমালোচনা করা প্রায় অসম্ভব এবং কেউ তা করলে দেশদ্রোহী হিসেবে দেখা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার বক্তব্য হয়তো সত্যকে সামনে আনতে সাহায্য করবে।

এদিকে আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন ও নিজস্ব নিয়ম মেনেই কাজ করছে এবং বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এ অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য না থাকায় তারা আলাদা করে কোনো তদন্ত শুরু করতে পারছে না। যথাযথ তথ্য পেলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে আইডিএফ।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এমন অভিযোগগুলো যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ে এবং এর সুষ্ঠু আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন।

৫০টি রাজনৈতিক দলের কাছে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন

গাজায় নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ইসরায়েলি সেনার

রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাবের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ৫০টি নিবন্ধিত দলের কাছে নিরীক্ষা প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 

সোমবার (৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, ২০২৪ সালের পঞ্জিকা বছরের হিসাব চেয়ে এবার ৫০টি দলের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসি সচিবালয় থেকে এসব চিঠি দলগুলোর সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

 

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন স্থগিত থাকায় এবার আওয়ামী লীগের কাছে হিসাব চাওয়া হয়নি। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রথা চালুর পর এই প্রথম দলটি বাদ পড়ল। অন্যদিকে প্রায় একযুগ পর জামায়াতে ইসলামী পুনরায় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় এবার দলটিকেও বার্ষিক লেনদেনের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

 

বর্তমানে দেশে ৫০টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে। এর মধ্যে একটির নিবন্ধন স্থগিত এবং চারটি দলের নিবন্ধন বাতিল রয়েছে।

 

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধিত দলগুলোকে প্রতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের বছরের (এই ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) সমস্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। এজন্য স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

 

আইনটি আরও বলছে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি টানা তিন বছর নিরীক্ষা প্রতিবেদন না জমা দেয়, তাহলে তার নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।

সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় বিএফইউজে-ডিইউজের নিন্দা ও প্রতিবাদ

গাজায় নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ইসরায়েলি সেনার

মিডিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ ও সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

সোমবার (৭ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ডিইউজের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম উদ্দেশ্য। অথচ আজ সেই অভ্যুত্থানের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছেন, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য স্পষ্ট প্রতিবন্ধক।’

তারা বলেন, রবিবার রাজশাহীতে এনসিপির এক শীর্ষ নেতা যে হুমকি দিয়েছেন, তা এক ধরনের ফ্যাসিবাদী পদধ্বনি। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে এই ধরনের হুমকিতে দমন করা যাবে না। সাংবাদিক সমাজ অতীতেও অন্যায় হস্তক্ষেপ মেনে নেয়নি, এখনও নেবে না।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষাই ছিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম লক্ষ্য। সেই চেতনার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার আহ্বান জানাই। মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে আদালত ও প্রেস কাউন্সিলে যাওয়া উচিত, হুমকি নয়।’

৮ ঘণ্টা কেন সিনেমার স্বার্থে ১২ ঘণ্টাও কাজ করব দীপিকাকে ঘিরে মন্তব্য রাশমিকার

গাজায় নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ইসরায়েলি সেনার

সম্প্রতি ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং না করার শর্তে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বলিউড তারকা দীপিকা পাডুকোন। তবে এবার তার বিপরীতে ভিন্ন সুর শোনা গেল দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার মুখে।

সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল দীপিকার, তবে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না করার শর্তে তাকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয় তৃপ্তি দিমরিকে। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে রাশমিকা বলেন, “আট ঘণ্টা নয়, সিনেমার স্বার্থে প্রয়োজনে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে পারি।”

রাশমিকা আরও বলেন, “আমি তেলুগু, কন্নড়, তামিল — সব ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। সেসব জায়গায় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করেছি। কিন্তু বলিউডে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শুটিং করতে হয়েছে। কখনও কখনও টানা ৩৬ ঘণ্টাও শুটিং করতে হয়েছে।”

তার মতে, কাজের সময় ঠিক করা উচিত সিনেমা ও টিমের প্রয়োজন অনুযায়ী। রাশমিকার বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি দীপিকার মতো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার পক্ষে নন। বরং কাজের প্রয়োজনে সবটুকু উজাড় করে দিতে রাজি।

×