| ৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

রাফাল বিতর্কে চীনের ভূমিকা নিয়ে ফ্রান্সের ক্ষোভ

রাফাল বিতর্কে চীনের ভূমিকা নিয়ে ফ্রান্সের ক্ষোভ

ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতকে ঘিরে ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। ফরাসি সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, নিজেদের জে-১০সি যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে এবং বিশ্ববাজারে রাফালের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বিভিন্ন দেশে চীনা দূতাবাসগুলো গুজব ছড়াচ্ছে।

বার্তাসংস্থা এপি-কে দেয়া এক বিবৃতিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরাসি সামরিক কর্মকর্তা জানান, ফ্রান্স থেকে রাফাল কিনতে আগ্রহী দেশগুলোর কাছে চীনা দূতাবাসগুলো অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে বেইজিং এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

পাকিস্তানের সাথে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষে ভারতের তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাফালের নির্মাতা দাসো এভিয়েশনের শেয়ারে বড় ধস নামে। এর বিপরীতে চীনা জে-১০সি যুদ্ধবিমানের শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

এখন পর্যন্ত দাসো এভিয়েশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫৩৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে ভারত, মিসর, কাতার, গ্রীস, ক্রোয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের কাছে ৩২৩টি রাফাল বিক্রি হয়েছে। মাল্টি-টার্গেটিং সুবিধাসহ উন্নত প্রযুক্তির কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে রাফালের সুখ্যাতি বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করছে ফ্রান্স।

সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় বিএফইউজে-ডিইউজের নিন্দা ও প্রতিবাদ

রাফাল বিতর্কে চীনের ভূমিকা নিয়ে ফ্রান্সের ক্ষোভ

মিডিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ ও সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

সোমবার (৭ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ডিইউজের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম উদ্দেশ্য। অথচ আজ সেই অভ্যুত্থানের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছেন, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য স্পষ্ট প্রতিবন্ধক।’

তারা বলেন, রবিবার রাজশাহীতে এনসিপির এক শীর্ষ নেতা যে হুমকি দিয়েছেন, তা এক ধরনের ফ্যাসিবাদী পদধ্বনি। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে এই ধরনের হুমকিতে দমন করা যাবে না। সাংবাদিক সমাজ অতীতেও অন্যায় হস্তক্ষেপ মেনে নেয়নি, এখনও নেবে না।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষাই ছিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম লক্ষ্য। সেই চেতনার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার আহ্বান জানাই। মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে আদালত ও প্রেস কাউন্সিলে যাওয়া উচিত, হুমকি নয়।’

৮ ঘণ্টা কেন সিনেমার স্বার্থে ১২ ঘণ্টাও কাজ করব দীপিকাকে ঘিরে মন্তব্য রাশমিকার

রাফাল বিতর্কে চীনের ভূমিকা নিয়ে ফ্রান্সের ক্ষোভ

সম্প্রতি ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং না করার শর্তে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বলিউড তারকা দীপিকা পাডুকোন। তবে এবার তার বিপরীতে ভিন্ন সুর শোনা গেল দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার মুখে।

সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল দীপিকার, তবে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না করার শর্তে তাকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয় তৃপ্তি দিমরিকে। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে রাশমিকা বলেন, “আট ঘণ্টা নয়, সিনেমার স্বার্থে প্রয়োজনে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে পারি।”

রাশমিকা আরও বলেন, “আমি তেলুগু, কন্নড়, তামিল — সব ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। সেসব জায়গায় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করেছি। কিন্তু বলিউডে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শুটিং করতে হয়েছে। কখনও কখনও টানা ৩৬ ঘণ্টাও শুটিং করতে হয়েছে।”

তার মতে, কাজের সময় ঠিক করা উচিত সিনেমা ও টিমের প্রয়োজন অনুযায়ী। রাশমিকার বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি দীপিকার মতো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার পক্ষে নন। বরং কাজের প্রয়োজনে সবটুকু উজাড় করে দিতে রাজি।

১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায় বিসিসিটি হবে আধুনিক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ

রাফাল বিতর্কে চীনের ভূমিকা নিয়ে ফ্রান্সের ক্ষোভ

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান : ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্টকে (বিসিসিটি) দক্ষ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ১০ বছর মেয়াদি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান প্রণয়নসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে বিসিসিটি কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০ সময়োপযোগী করে সংশোধন ও নির্দেশিকা হালনাগাদ করা হবে। সরকারি জমি বরাদ্দ পেলে বিসিসিটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমকে আরও স্থায়ী ও গতিশীল করবে।’

রিজওয়ানা হাসান জানান, ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পগুলোর পেটেন্ট অধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, প্রকল্প তদারকিতে রিয়েল টাইম ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাস্টের জনবলকে আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ ও কার্যকর করে তুলতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, বিসিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী মো. ওয়ালি উল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

×