| ৬ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

রাজনৈতিক চাপে লোকসানি ট্রেনে জর্জরিত রেলওয়ে সমীক্ষা ছাড়াই কোটি কোটি টাকার ব্যয়

রাজনৈতিক চাপে লোকসানি ট্রেনে জর্জরিত রেলওয়ে সমীক্ষা ছাড়াই কোটি কোটি টাকার ব্যয়

বাংলাদেশে নতুন আন্তনগর ট্রেন চালুর পেছনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের রাজনৈতিক চাপ এবং ব্যক্তিগত আগ্রহ দীর্ঘদিন ধরেই রেলওয়ের জন্য বিরাট বোঝায় পরিণত হয়েছে। প্রকৃত যাত্রীচাহিদা যাচাই না করেই একের পর এক ট্রেন চালু হওয়ায় এখন বেশিরভাগ রুটেই লোকসান গুনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিছু ট্রেনে যাত্রী এতটাই কম যে, খরচের সামান্য অংশও উঠে আসছে না।

এমনই এক উদাহরণ ‘বিজয় এক্সপ্রেস’। ২০১৪ সালে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে চালু হয়ে পরবর্তীতে জামালপুরে স্থানান্তরিত হওয়া এই ট্রেনটিতে এখন যাত্রী নেই বললেই চলে। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অভিযোগ, স্থানীয় নেতাদের দাবিতেই অর্থনৈতিক সমীক্ষা ছাড়াই এই রুটে ট্রেনটি চালু রাখা হয়েছে।

সরকারি শাসনামলে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের চাপে একের পর এক নতুন ট্রেন চালু হয়েছে। সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন তার নিজ জেলা পঞ্চগড়ের জন্য একাধিক নতুন আন্তনগর ট্রেন চালু করেন এবং একটি স্টেশনের নামকরণ করেন পরিবারের সদস্যের নামে। সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢালারচর এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেনেও একই ধরনের রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ আছে।

যেমন সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চালুর পেছনে সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের চাপই মুখ্য ছিল। তবে সিরাজগঞ্জে ট্রেন রাখার স্থান না থাকায় প্রতিদিন ঈশ্বরদী থেকে নিয়ে আসা হয়, ফলে জ্বালানি ও সময় অপচয় হয়। তবুও মাসিক আয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না।

এদিকে ঢাকা-নোয়াখালী রুটের উপকূল এক্সপ্রেসেও যাত্রীর সংখ্যা কমছে। বাস সার্ভিস ও সড়ক যোগাযোগের উন্নতির ফলে ট্রেনের প্রতি আগ্রহ কমছে যাত্রীদের। এর মধ্যেও ২০২৩ সালে নতুন আরেকটি ট্রেন ‘সুবর্ণচর এক্সপ্রেস’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়, যদিও কোচ সংকটে তা থমকে আছে।

উত্তরাঞ্চলে বিপরীত চিত্র — কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট এক্সপ্রেস বা একতা এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলো গড়ে শতকরা ১১৪ ভাগ আসন পূরণ করে এবং কোটি টাকার বেশি আয় আনে। কিন্তু পর্যাপ্ত কোচ বা বিকল্প রেকের অভাবে সেবা ব্যাহত হয়।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অলাভজনক ট্রেন বন্ধ করে লাভজনক রুটে ট্রেন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে অতিরিক্ত সচিব রূপম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে, তবে এখনো কার্যকর কোনো সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি।

বুয়েটের পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হক মনে করেন, ‘সমীক্ষা ছাড়া নতুন ট্রেন চালু করা বা নতুন স্টেশনে থামানো এক ধরনের অপেশাদারিত্ব। রেল কখনোই লাভের জন্য চলে না — এ কথার আড়ালে যে অপচয় হয়, তার বোঝা পড়ে রাষ্ট্রের ঘাড়ে।’

সকালের নাশতায় কী করবেন ভুল না: পুষ্টি ও সময়মতো খাবারের গুরুত্ব

রাজনৈতিক চাপে লোকসানি ট্রেনে জর্জরিত রেলওয়ে সমীক্ষা ছাড়াই কোটি কোটি টাকার ব্যয়

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়েদের প্রথম চিন্তা থাকে, নাশতায় কী রান্না করবেন। কিন্তু ব্যস্ততায় অনেক সময়ই সকালের নাশতার দিকে যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হয় না। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনের শুরুতে কী খাচ্ছেন তা শুধু শরীরের জন্য নয়, পুরো দিনের কর্মক্ষমতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শুধু পেট ভরে খাওয়া যথেষ্ট নয়, বরং সকালের খাবারে কিছু ভুল এড়িয়ে চলাও জরুরি। নাহলে হজমে সমস্যা, ওজন বাড়া, শক্তির অভাবসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রোটিনের অভাব হলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে, কারণ প্রোটিন পেট ভরে রাখে দীর্ঘ সময়। ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম ও দই সকালের খাবারে রাখা উচিত।

অনেকে তাড়াহুড়ো করে নাশতা না খেয়ে বা অল্প খেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান, যা শরীরের পুষ্টি গ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং বিপাক প্রক্রিয়া ধীর করে।

সকালের নাশতার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ; দেরিতে খেলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। তাই সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে খাবার খাওয়া উচিত।

সারাদিনের কর্মক্ষমতা ভালো রাখতে সকালের নাশতা পরিমিত, পুষ্টিকর ও সময়মতো হওয়া আবশ্যক।

ওজন কমানো থেকে ত্বকের যত্ন— চালকুমড়ার যত গুণ

রাজনৈতিক চাপে লোকসানি ট্রেনে জর্জরিত রেলওয়ে সমীক্ষা ছাড়াই কোটি কোটি টাকার ব্যয়

চালকুমড়া আমাদের আশপাশে খুব সহজেই পাওয়া গেলেও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই তেমন জানেন না। এই স্বল্পক্যালরির সবজি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, শরীর-সৌন্দর্যের যত্নেও সমানভাবে উপকারী।

চালকুমড়াতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও সামান্য শর্করা থাকে। এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং রক্তনালিতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।

ওজন কমাতে দারুণ সহায়ক
যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য চালকুমড়া দারুণ একটি খাবার। এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমে যায়।

ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর
চালকুমড়ার রস নিয়মিত ত্বক ও চুলে ব্যবহার করলে ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল, চুল হয় শক্ত ও চকচকে। বয়সের ছাপও কমায় এটি।

গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে চালকুমড়া খেলে আরাম মেলে। বিশেষ করে এর বীজ হজমে সাহায্য করে।

মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর যত্নে ‘ব্রেইন ফুড’
এটি স্নায়ুকে শান্ত রাখে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়— এজন্য চালকুমড়াকে ‘ব্রেইন ফুড’ বলা হয়। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস চালকুমড়ার রস খেলে উপকার পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
চালকুমড়া যক্ষ্মা, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে।

স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় চালকুমড়া রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।

রক্তচাপ বাড়ায় যে খাবার নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন?

রাজনৈতিক চাপে লোকসানি ট্রেনে জর্জরিত রেলওয়ে সমীক্ষা ছাড়াই কোটি কোটি টাকার ব্যয়

অনেকে রক্তচাপ ঠিক রাখতে খাবারে লবণ কমিয়ে দেন বা ওষুধ খান, তবুও রক্তচাপ স্বাভাবিক হয় না—এর বড় কারণ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু গোপন সোডিয়াম বোমা থেকে যাওয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শুধু লবণ নয়, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়াতে হবে। যেমন—সসেজ, নাগেট বা প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়ামের মাত্রা খুবই বেশি। ৮৫ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংসেই থাকে প্রায় ৭৫০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম।

তাছাড়া সয়া সস, কেচাপ, রেডিমেড মশলা ও বারবিকিউ সসের মতো সসেও লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। চিজও বিপজ্জনক—১০০ গ্রাম চিজে প্রায় ৬০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে।

চিনিযুক্ত কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক ও অতিরিক্ত চা-কফি রক্তচাপকে আরও অনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে পারে।

কী খাবেন:
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা, বিটের রস, তরমুজ ও ফার্মেন্টেড খাবার (দই, কিমচি, অ্যাপল সিডার ভিনেগার) খেলে রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সঠিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণও জরুরি।

×