| ৬ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

দুদকের আপত্তি সত্ত্বেও ৫জি প্রকল্পে ব্যয় দ্বিগুণ হস্তক্ষেপে বিতর্ক

দুদকের আপত্তি সত্ত্বেও ৫জি প্রকল্পে ব্যয় দ্বিগুণ হস্তক্ষেপে বিতর্ক

বাংলাদেশে ইন্টারনেট অবকাঠামো উন্নয়নের নামে ৫জি উপযোগী করতে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটির অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৬ কোটি টাকা, অথচ বুয়েটের সমীক্ষা অনুযায়ী প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী খরচ হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ১৬৫ কোটি টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত সক্ষমতার সরঞ্জাম কেনা, ক্রয় নীতিমালা উপেক্ষা করে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে কাজ দেওয়া এবং দুদকের আপত্তি সত্ত্বেও সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নিজস্ব প্যাডে চিঠি দিয়ে প্রকল্পটি এগিয়ে নিতে চাপ সৃষ্টি করছেন।

বুয়েটের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ব্যান্ডউইথ চাহিদা ২৬.২ টেরাবাইট হতে পারে। অথচ প্রকল্পে ১২৬ টেরাবাইট সক্ষমতার যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, যা অপ্রয়োজনীয় বলে জানিয়েছে দুদকও।

এ নিয়ে দুদক তদন্ত করে গোপনীয়তা লঙ্ঘন, অতিরিক্ত সক্ষমতার যন্ত্রপাতি কেনা ও ক্রয় নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে। কমিশন স্পষ্ট জানায়, এ প্রকল্পের কার্যক্রম চালালে তা হবে অবৈধ এবং রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব দাবি করেছেন, দেশের ব্যান্ডউইথ চাহিদা ৩৫ টেরাবাইট ছাড়িয়ে গেছে এবং এর বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি ৫০ শতাংশ হওয়ায় ১২৬ টেরাবাইট সক্ষমতার যন্ত্রপাতি যৌক্তিক। তিনি আরও বলেছেন, ইতিমধ্যে ২৯০ কোটি টাকার এলসি খোলা হয়ে গেছে, প্রকল্প বাতিল হলে সেটি রাষ্ট্রীয় ক্ষতি ডেকে আনবে।

তবে দুদক কর্মকর্তারা মনে করছেন, এমন চিঠি তদন্ত প্রক্রিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করে, এ ধরনের চাপ আইনের লঙ্ঘন।’’

প্রকল্পটি ঘিরে মন্ত্রী, সচিব ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বও ছিল। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও সচিবের বিরুদ্ধে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দাবি করেছেন, তারা নিয়ম মেনেই কাজ পেয়েছেন। তবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তদন্তাধীন বিষয়ে সরাসরি পত্র চালাচালি এক ধরনের হস্তক্ষেপ ও অনৈতিক কাজ। এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বিনিয়োগের আগে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে ঝুঁকি ও ব্যয়-সুফল বিশ্লেষণ অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সকালের নাশতায় কী করবেন ভুল না: পুষ্টি ও সময়মতো খাবারের গুরুত্ব

দুদকের আপত্তি সত্ত্বেও ৫জি প্রকল্পে ব্যয় দ্বিগুণ হস্তক্ষেপে বিতর্ক

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়েদের প্রথম চিন্তা থাকে, নাশতায় কী রান্না করবেন। কিন্তু ব্যস্ততায় অনেক সময়ই সকালের নাশতার দিকে যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হয় না। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনের শুরুতে কী খাচ্ছেন তা শুধু শরীরের জন্য নয়, পুরো দিনের কর্মক্ষমতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শুধু পেট ভরে খাওয়া যথেষ্ট নয়, বরং সকালের খাবারে কিছু ভুল এড়িয়ে চলাও জরুরি। নাহলে হজমে সমস্যা, ওজন বাড়া, শক্তির অভাবসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রোটিনের অভাব হলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে, কারণ প্রোটিন পেট ভরে রাখে দীর্ঘ সময়। ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম ও দই সকালের খাবারে রাখা উচিত।

অনেকে তাড়াহুড়ো করে নাশতা না খেয়ে বা অল্প খেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান, যা শরীরের পুষ্টি গ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং বিপাক প্রক্রিয়া ধীর করে।

সকালের নাশতার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ; দেরিতে খেলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। তাই সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে খাবার খাওয়া উচিত।

সারাদিনের কর্মক্ষমতা ভালো রাখতে সকালের নাশতা পরিমিত, পুষ্টিকর ও সময়মতো হওয়া আবশ্যক।

ওজন কমানো থেকে ত্বকের যত্ন— চালকুমড়ার যত গুণ

দুদকের আপত্তি সত্ত্বেও ৫জি প্রকল্পে ব্যয় দ্বিগুণ হস্তক্ষেপে বিতর্ক

চালকুমড়া আমাদের আশপাশে খুব সহজেই পাওয়া গেলেও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই তেমন জানেন না। এই স্বল্পক্যালরির সবজি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, শরীর-সৌন্দর্যের যত্নেও সমানভাবে উপকারী।

চালকুমড়াতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও সামান্য শর্করা থাকে। এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং রক্তনালিতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।

ওজন কমাতে দারুণ সহায়ক
যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য চালকুমড়া দারুণ একটি খাবার। এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমে যায়।

ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর
চালকুমড়ার রস নিয়মিত ত্বক ও চুলে ব্যবহার করলে ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল, চুল হয় শক্ত ও চকচকে। বয়সের ছাপও কমায় এটি।

গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে চালকুমড়া খেলে আরাম মেলে। বিশেষ করে এর বীজ হজমে সাহায্য করে।

মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর যত্নে ‘ব্রেইন ফুড’
এটি স্নায়ুকে শান্ত রাখে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়— এজন্য চালকুমড়াকে ‘ব্রেইন ফুড’ বলা হয়। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস চালকুমড়ার রস খেলে উপকার পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
চালকুমড়া যক্ষ্মা, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে।

স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় চালকুমড়া রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।

রক্তচাপ বাড়ায় যে খাবার নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন?

দুদকের আপত্তি সত্ত্বেও ৫জি প্রকল্পে ব্যয় দ্বিগুণ হস্তক্ষেপে বিতর্ক

অনেকে রক্তচাপ ঠিক রাখতে খাবারে লবণ কমিয়ে দেন বা ওষুধ খান, তবুও রক্তচাপ স্বাভাবিক হয় না—এর বড় কারণ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু গোপন সোডিয়াম বোমা থেকে যাওয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শুধু লবণ নয়, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়াতে হবে। যেমন—সসেজ, নাগেট বা প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়ামের মাত্রা খুবই বেশি। ৮৫ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংসেই থাকে প্রায় ৭৫০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম।

তাছাড়া সয়া সস, কেচাপ, রেডিমেড মশলা ও বারবিকিউ সসের মতো সসেও লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। চিজও বিপজ্জনক—১০০ গ্রাম চিজে প্রায় ৬০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে।

চিনিযুক্ত কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক ও অতিরিক্ত চা-কফি রক্তচাপকে আরও অনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে পারে।

কী খাবেন:
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা, বিটের রস, তরমুজ ও ফার্মেন্টেড খাবার (দই, কিমচি, অ্যাপল সিডার ভিনেগার) খেলে রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সঠিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণও জরুরি।

×