| ৫ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

আগে বিচার তারপর নির্বাচন নাহিদ ইসলাম

আগে বিচার তারপর নির্বাচন নাহিদ ইসলাম

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ যারা সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে, তাদের বিচার একদিন অবশ্যই হবে। তিনি বলেন, ‘আগে বিচার, সংস্কার, তারপর নির্বাচন।’

শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বগুড়া শহরের পর্যটন মোটেলের সভাকক্ষে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘এই শহীদ পরিবারগুলোকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে হবে। শুধু বর্তমান সরকার নয়, যে কোনো সরকারকেই এটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্যই আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রের কথা বলছি। এই ঘোষণাপত্রে শহীদ ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা সংবিধানে যুক্ত করতে হবে। এর সঙ্গে দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার বিষয়গুলোও থাকবে।’

তিনি জানান, এসব দাবি নিয়ে সারা দেশে পদযাত্রা করছে এনসিপি। শহীদ পরিবারের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা হয়তো আপনাদের প্রতি দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। এজন্য ক্ষমা চাইছি। তবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমাদের সম্পর্ক আজীবনের।’ এ সময় এনসিপির দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।

ভোট ছাড়া গণতন্ত্র নেই নির্বাচন নিয়ে চলছে ষড়যন্ত্র: রিজভী

আগে বিচার তারপর নির্বাচন নাহিদ ইসলাম

রিজভী : ছবি-সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় সুষ্ঠু ভোটের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে নানা মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। পৃথিবীর খুব কম আন্দোলনেই তরুণদের এমন আত্মত্যাগের নজির আছে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও দমন-পীড়নের কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই শাসনের যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়— এটাই জাতির প্রত্যাশা।

রিজভী বলেন, যৌক্তিক সময়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এর মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রও চলছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ হাসিনা দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে কলুষিত করেছেন। জনগণ বিএনপিকে সুযোগ দিলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন থেকে অশুভ প্রভাব দূর করে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো হবে।

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মিথিলা: কঠিন সময়ের গল্প

আগে বিচার তারপর নির্বাচন নাহিদ ইসলাম

রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা : ছবি-সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার দীর্ঘ ১১ বছরের সংসার ভেঙে যায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। তাদের সংসারে একমাত্র কন্যা সন্তান আইরা তেহরীম খান।

সম্প্রতি এক পডকাস্টে ব্যক্তিজীবনের অজানা গল্প শেয়ার করেছেন মিথিলা। তিনি বলেন, বিচ্ছেদ কোনোভাবেই সহজ ছিল না। বিশেষ করে যখন তিনি এক বছরের মেয়েকে নিয়ে নতুন করে পথচলা শুরু করেছিলেন।

মিথিলা বলেন, ‘যেকোনো বিচ্ছেদই কঠিন। তখন আমি খুবই তরুণী, সঙ্গে এক বছরের শিশু। কীভাবে সামলাব, কীভাবে সিদ্ধান্ত নেব—তখনো বুঝে উঠতে পারিনি। হঠাৎ করেই জীবন বদলে গেল। শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি, যাকে ভবিষ্যৎ ভেবেছিলাম, পরে বুঝলাম সেই জায়গা আমার নয়।’

সিংগেল মাদার হিসেবে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘মাতৃত্ব এমনিতেই সহজ কিছু নয়, আর এর সঙ্গে ফুলটাইম চাকরি সামলানো আরও কঠিন। আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম যে আমার কর্মস্থলে ডে কেয়ার ছিল। একটি শিশু সন্তানকে ব্রেস্টফিড করানো আর অফিস সামলানো—একইসাথে বিচ্ছেদের মতো জীবনের বড় সিদ্ধান্ত সামলানো—সব মিলিয়ে সেটা ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।’

তিনি জানান, তখন মেয়ে আইরার বয়স ছিল মাত্র এক-দেড় বছর। চারপাশের পাবলিসিটি, সমাজের চাপ, পরিবারের জটিলতা—সব মিলিয়ে সময়টা সহজ ছিল না।

তবে একেবারে একা ছিলেন না মিথিলা। তার পরিবারের পাশাপাশি আইরার বাবার সঙ্গেও মেয়ের সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি। ‘আমার পরিবার সবসময় পাশে ছিল। মেয়ের বাবার সাথেও ওর সম্পর্ক ভালো, আর আমি বড় পরিবারে মেয়েকে মানুষ করেছি,’ বলেন মিথিলা।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে ট্রাম্প-জেলেনস্কির নতুন উদ্যোগ

আগে বিচার তারপর নির্বাচন নাহিদ ইসলাম

রাশিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ও যৌথভাবে ড্রোন উৎপাদন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলেনস্কির দফতরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই আলোচনায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা চাহিদা এবং পশ্চিমা সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে।

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য ট্রাম্প একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। দুই নেতা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শিল্পের সক্ষমতা ও যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

সম্প্রতি রাশিয়ার টানা হামলা মোকাবিলায় প্যাট্রিয়টসহ উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দ্রুত সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে এসেছে এই বৈঠকে।

বৈঠকে পারস্পরিক সরঞ্জাম ক্রয়-বিনিয়োগ, কূটনৈতিক পরিস্থিতি ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে ইউক্রেনের সহযোগিতা নিয়ে কথাও বলেছেন জেলেনস্কি।

এর আগে, ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, কিয়েভের জন্য নির্ধারিত কিছু সামরিক সহায়তা মজুদ পরিস্থিতি যাচাই করে স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। তবে ইউক্রেনের জরুরি নিরাপত্তা চাহিদা মেটাতে পশ্চিমা দেশের সমন্বিত উদ্যোগই এখন প্রধান সমাধান বলে মনে করছেন তারা।

×