| ২২ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

ভাঙনের মুখে ৬৭ কোটি টাকার সড়ক, ধসে পড়ছে ব্লক

ভাঙনের মুখে ৬৭ কোটি টাকার সড়ক, ধসে পড়ছে ব্লক

সংস্কারের পরও ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজারের টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ব্লক ধসে পড়ছে। এছাড়া সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। বর্ষায় ব্লক ধসে আবার ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। তারা বলছেন, সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিগত সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সড়কটি নির্মাণ হয়েছিল। এর আগে টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপের মানুষ নৌকায় আসা-যাওয়া করতেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের মধ্যে ৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার সংস্কারে ৬৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। একনেকের অনুমোদন পেয়ে ২০২০ সালে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে কে এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। সড়কের দুই পাশঘেরা খাল থাকায় নিরাপত্তার জন্য সড়কের পাশে মাটি ঠেকিয়ে রাখার সুরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে ‘প্যালাসাইডিং ব্লক’ বসানো হয়। কিন্তু এখন সেই ব্লক ধসে পড়ায় টেকসই নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের জুলাইয়ে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। জোয়ার-ভাটার ধাক্কায় ওই বছরের জুনে হারিয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ এক দশক সড়কটির ভাঙা অংশে হেঁটে বা নৌকায় যাতায়াত করতে হয়েছে এলাকাবাসীকে। পরে ২০১৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্প অনুমোদন দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়কের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারে পূর্ব পাশে ১৫টি স্থানে এবং পশ্চিম পাশে ৫টি স্থানে ব্লক ধসে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ভরাখালের ওপর নির্মিত সেতুর দক্ষিণ পাশে সড়কটি তিন-চার ইঞ্চির মতো ধসে গেছে। বর্ষার টানা বৃষ্টিতে সড়কটিতে আরও নতুন নতুন স্থানে ব্লক ধসে পড়ছে।

শাহপরীর দ্বীপ বশির আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, বিগত সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘ আন্দোলনে সড়কটি নির্মাণের পর সড়কের সুরক্ষাব্যবস্থা ব্লক সরে যাচ্ছে। এভাবে ব্লক সরে গেলে এক সময় সড়কটিও ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
সাবরাংয়ের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়কের পাশের একাংশের ব্লক মাটি থেকে সরে যাচ্ছে। সড়কটি নির্মাণের সংস্কারের দুই বছরের মাথায় ব্লক সরে গেলে তাহলে এটি বেশি দিন টিকবে কি না সন্দেহ।

তিনি আরও বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হয়তো কাজে অনিয়ম করেছে। তা না হলে এমন হওয়ার কথা না। বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে কে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবদুল জব্বার বলেন, আমাদের জামানতের ৫ শতাংশ টাকা এখনো কর্তৃপক্ষের কাছে আছে। ক্ষয়ক্ষতি হলে অবশ্যই মেরামত করব।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার বিশ্বাস বলেন, টেকনাফ-শাহ পরীর দ্বীপ সড়কের সুরক্ষা ব্লক ধসে পড়েছে বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। অনিয়ম থাকলে সেটিও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্যামনগর আটুলিয়ায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

ভাঙনের মুখে ৬৭ কোটি টাকার সড়ক, ধসে পড়ছে ব্লক

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভার আয়োজন করা হয়।

রবিবার(২২ জুন) আটুলিয়া ইউপির নওয়াবেঁকী বাজারে বিট পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন নওয়াবেঁকী বাজারে রাত ১০টার পর কেরাম খেলা চলবে না। মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স ভূমিকা পালন করবে। একই সাথে অনলাইন জুয়াড়ীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন।

আটুলিয়া ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কমিটির আয়োজনে নওয়াবেঁকী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির অফিসে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর মোল্যা।

আটুলিয়া ইউনিয়ন বিট পুলিশ বিপ্লব হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, নওয়াবেঁকী কাদেরিয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ওহিদুজ্জামান, আটুলিয়া ইউপি জামায়াতের আমির মাওলানা মাহবুবুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, বিড়ালক্ষ্মী মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একরামুল কবীর, নওয়াবেঁকী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, ইউপি সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্টান প্রধানগণ প্রমুখ।

শিমুলিয়া ঘাটে পাঁচ উপদেষ্টার বৈঠক, আসছে ৭৫০ কোটি টাকার আধুনিক পোর্ট প্রকল্প

ভাঙনের মুখে ৬৭ কোটি টাকার সড়ক, ধসে পড়ছে ব্লক

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা একযোগে বৈঠক করেছেন। রোববার (২১ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর সম্মেলন কক্ষে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিমুলিয়া ঘাটে আন্তর্জাতিক মানের একটি আধুনিক পোর্ট নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যার সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা।

 

বৈঠক শেষে উপদেষ্টারা সাংবাদিকদের জানান, পদ্মা সেতুর সংযোগস্থলে অবস্থিত শিমুলিয়া ঘাটে একটি পূর্ণাঙ্গ পোর্ট নির্মাণ হলে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে বিপ্লব ঘটবে। এই প্রকল্প দেশের নৌ-পরিবহন খাতের পাশাপাশি শিল্প, পর্যটন এবং কর্মসংস্থানেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—

 

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

 

নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

 

শিল্প ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

 

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. শেখ বশিরউদ্দিন

 

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—

বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল করিম মল্লিক, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, নৌ-পুলিশের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান এবং লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন প্রমুখ।

 

এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শিমুলিয়া ঘাট শুধু নদীপথ নয়, সারাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ হাব হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উত্তরায় জনতার হাতে আটক সাবেক সিইসি নুরুল হুদা, পরে পুলিশের হেফাজতে হস্তান্তর

ভাঙনের মুখে ৬৭ কোটি টাকার সড়ক, ধসে পড়ছে ব্লক

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা — ফাইল ছবি

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে স্থানীয় জনতা তাকে ঘেরাও করে, পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) মহিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,

“স্থানীয়রা উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে তাকে ঘিরে ফেলেন। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় এবং পরে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।”

তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে ডিসি মহিবুল বলেন,

“তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার বলা যায়।”

এ কে এম নুরুল হুদা ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আমলে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়েছিল।

এই ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এবং মামলার প্রকৃতি এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও আসেনি।

×