| ১ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

লন্ডন থেকে ফিরছেন তারেক রহমান: ঢাকাকে জনসমুদ্র করার প্রস্তুতি, ২০ লাখ নেতাকর্মীর টার্গেট!

লন্ডন থেকে ফিরছেন তারেক রহমান: ঢাকাকে জনসমুদ্র করার প্রস্তুতি, ২০ লাখ নেতাকর্মীর টার্গেট!

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় ফেলে আগামী দেড় মাসের মধ্যেই যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীতে এক ঐতিহাসিক জনসমাগমের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, যেখানে প্রায় ২০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত এই খবর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার জন্ম দিয়েছে।

বিএনপি এবং লন্ডনস্থ ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, তারেক রহমান দেশে ফিরেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সরাসরি নেতৃত্ব দেবেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক অভূতপূর্ব প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে

নেতৃত্বের প্রত্যাবর্তনে দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অতি স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন। সমগ্র বাংলাদেশ এখন তার আগমনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে নিজে মাঠে থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন এবং তার নেতৃত্বে আজ সমগ্র দেশ ঐক্যবদ্ধ।

লন্ডন সফররত দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই। তিনি যখন খুশি দেশে ফিরতে পারেন। সময়মতো তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং অবশ্যই দেশে ফিরে আসবেন।

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বাড়তি উদ্দীপনা

বিভিন্ন সূত্রে খবর, লন্ডনে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠকের পর সারাদেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিশেষভাবে উচ্ছ্বসিত। এই বৈঠকের পর থেকেই তাদের মধ্যে নতুন করে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, তিনি আগামী ৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরতে পারেন। কোনো কারণে বিলম্ব হলেও, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনি ডামাডোলের এই উত্তাল সময়েই তিনি প্রিয় মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করবেন। সেদিন তাকে স্বাগত জানাতে ঢাকা এক জনসমুদ্রে পরিণত হতে পারে, যেখানে সারা দেশ থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে সমবেত হবেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পর বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তারেক রহমানের আগমন সারাদেশে এক বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক দূরদর্শিতার স্বাক্ষর ও ষড়যন্ত্রের অবসান

১৩ জুন লন্ডন বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন সহ দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব, দেশের একমাত্র নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যথাযথভাবে বোঝানোর মাধ্যমে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই সাফল্যের জন্য তিনি দেশে-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় সিক্ত হচ্ছেন। লন্ডন বৈঠক সফল হওয়ায় গণ অভ্যুত্থানবিরোধী সব অপশক্তি এবং নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল, তাদের চরম পরাজয় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে, ডিএসসিসির মেয়র পদে শপথ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সেটির অবসান হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, এই বৈঠকের পর রাজনৈতিক সংকট অনেকটাই কেটে গেছে এবং সমগ্র দেশ যেন নির্বাচনি ট্রেনের দিকে এগিয়ে চলেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, হাতে সময় মাত্র পৌনে আট মাস। জনগণের ভোটে এক স্মরণকালের ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফেরায় নেই কোনো বাধা, স্বস্তিতে জনগণ

‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা সহজ হবে কি না’—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, তাঁর (তারেক রহমান) তো দেশে ফিরতে কোনো অসুবিধা নেই। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, যে কোনো সময় ইচ্ছা করলেই দেশে ফিরতে পারেন। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে সব অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। এই লন্ডন বৈঠক যেন ষড়যন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মেরেছে, ফলে জনমনে স্বস্তি এসেছে। অন্যদিকে, ষড়যন্ত্রকারীরা চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। বিশেষ করে, নির্বাচনের মনোনয়ন, দল গোছানোসহ অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়নে তারেক রহমানের কোনো বিকল্প নেই বলে তারা মনে করেন। তাদের প্রত্যাশা, তারেক রহমান ৫ আগস্টের আগেই ফিরছেন।

এর আগে, তারেক রহমানের দ্রুত দেশে ফেরার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছিলেন, “তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন। তিনি শিগগিরই ফিরছেন।তবে বিএনপি মহাসচিব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানাননি।

একই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, উনি (তারেক রহমান) শিগগিরই ফিরবেন, ইনশাল্লাহ। তবে দিন-তারিখ এখনো বলতে পারব না।

মামলার জট শেষ, পথ সুগম

গত বুধবার (১২ জুন) সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সারের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। তিনি এক পোস্টে ইঙ্গিত দেন যে, ‘৩৬ জুলাই-এর আগেই তিনি লন্ডন থেকে ফিরছেন।’ বিগত ওয়ান ইলেভেন ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৮৭টি মামলার মধ্যে অনেক মামলাই বাতিল ও খারিজ হয়েছে। বাকিগুলো থেকেও তিনি খালাস ও জামিন লাভ করেছেন। তার আইনজীবীরা আগেই জানিয়েছিলেন, এর ফলে তার দেশে ফেরায় আর কোনো বাধা নেই।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

লন্ডন থেকে ফিরছেন তারেক রহমান: ঢাকাকে জনসমুদ্র করার প্রস্তুতি, ২০ লাখ নেতাকর্মীর টার্গেট!

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আসর “প্রয়াস”। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) আয়োজিত এই পাঠচক্রে আলোচনার মূল বিষয় ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনের সদস্যদের মাঝে জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি তুলে ধরা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা জানান, বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন ছিল দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

আলোচনায় মুক্তচিন্তা ও ইতিহাসের স্পর্শ

পাঠচক্রের আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের দুই সদস্য আইরিন আক্তার এবং বন্যা আক্তার। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান, তৎকালীন গণহত্যা ও নির্মম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য মানুষের আত্মত্যাগের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

আলোচনা পর্বে অনেক সদস্য নিজেদের মতামত শেয়ার করেন, যা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পাঠচক্র শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি কুইজ প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সর্বাধিক সঠিক উত্তর দেন, তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রীন ভয়েসের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিতি ও উৎসাহ

এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্নসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের আলোচনার মুহূর্ত।
গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস”-এ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করছেন সদস্যরা।

আয়োজন শেষে সবার মধ্যে গ্রীন ভয়েসের সামাজিক ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। উপস্থিত সদস্যরা জানান, এই ধরনের আয়োজন তাদের জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি করছে।

গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতে আরও বিভিন্ন সমসাময়িক ও ইতিহাসভিত্তিক বিষয়ে পাঠচক্র আয়োজন করা হবে।

পবিপ্রবিতে পশুপালন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি, দাবির পক্ষে একাত্মতা জানালেন ভিসি

লন্ডন থেকে ফিরছেন তারেক রহমান: ঢাকাকে জনসমুদ্র করার প্রস্তুতি, ২০ লাখ নেতাকর্মীর টার্গেট!

প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিতের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পশুপালন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামের হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিবরণ তুলে ধরেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে বর্তমানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী চিকিৎসা (ভেটেরিনারি সায়েন্স) ও প্রাণী উৎপাদন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) একীভূত করে সমন্বিত বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতের প্রায় সব পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু পবিপ্রবিতে এখনও পৃথক ডিগ্রি থাকায় পশুপালন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

 

তাদের দাবি, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, যুগোপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে শুধু প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত উন্নয়নই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ভিসির একাত্মতাঃ

স্মারকলিপি গ্রহণের পর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,

“তোমাদের এই দাবিটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনকে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তোমাদের স্মারকলিপিটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।”

 

তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

 

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যঃ

শিক্ষার্থী তাহসিন হোসাইন বলেন,

“একজন খামারির যেমন দক্ষ প্রাণীচিকিৎসকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উন্নত ব্যবস্থাপনার। এই দুই দিক একসঙ্গে শিখে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা সময়ের দাবি।”

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন, বেসিক সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মামুন অর রশীদ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান সবুজ।

শ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি একনলা ব’ন্দু’ক ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার

লন্ডন থেকে ফিরছেন তারেক রহমান: ঢাকাকে জনসমুদ্র করার প্রস্তুতি, ২০ লাখ নেতাকর্মীর টার্গেট!

 সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক।

তিনি জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার(৩০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে কোস্টগার্ড পশ্চিমজোন কৈখালীর একটি আভিযানিক দল শ্যামনগর উপজেলার মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় একজন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে থামার সংকেত দিলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আভিযানিক দল আত্নসমপর্ণের আহব্বানে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পালানো সময় ঐ ব্যক্তি সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় সুন্দরবনের মধ্যে।

পরবর্তীতে ব্যাগটি তল্লাসি করে একটি একনলা ব্যক্তি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক আরও জানান দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ছবি- বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কৈখালীর অভিযানে উদ্ধারকৃত বন্ধুক ও তাজা কার্তুজ।

×