| ৯ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

রোমানিয়ায় মাত্র ৩ লাখ টাকায় চাকরি, বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ

রোমানিয়ায় মাত্র ৩ লাখ টাকায় চাকরি, বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ

সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর বা পিরোজপুরের মতো দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তরুণেরা এখন ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন মাত্র ৩ থেকে ৩.৫ লাখ টাকা খরচে। এক সময় যেখানে ইউরোপের দেশ মানেই ছিল দূর স্বপ্ন, এখন সেখানে বৈধ চাকরির মাধ্যমে মাসে ৮০০ থেকে ১০০০ ইউরো আয় করছেন অনেকে। এমনকি কোম্পানি থেকে থাকা-খাওয়া ফ্রি থাকার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।

 

রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হলেও দেশটিতে চরম শ্রমিক সংকট চলছে। বিশেষ করে নির্মাণ, ফ্যাক্টরি, কৃষি ও গুদাম খাতে ব্যাপক শ্রমিকের প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে এসব সেক্টরে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।

 

বাংলাদেশি কর্মীরা বর্তমানে D/AV ও D/EM ক্যাটাগরির ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে রোমানিয়ায় যাচ্ছেন। এই ভিসা একবারে দুই বছর মেয়াদি এবং বৈধভাবে নবায়নযোগ্য। বৈধ জব কনট্রাক্ট থাকলে এই ভিসার প্রক্রিয়া সহজে সম্পন্ন হয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে ভুয়া দালাল ও প্রতারকদের থেকে।

 

সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে গেলে রোমানিয়ায় যেতে যে খরচ হয় তা সাধারণত নিচের মতো:

 

বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মেডিকেল রিপোর্ট, একাডেমিক সার্টিফিকেট, জব কনট্রাক্ট (Sponsor Letter) সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয়। এরপর আবেদনকারীকে ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। এজেন্সির সার্ভিস চার্জ ১.৮০ থেকে ২.৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফ্লাইট ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মোট ৩ থেকে ৩.৫ লাখ টাকার মধ্যেই ইউরোপের রোমানিয়ায় বৈধভাবে যাওয়া সম্ভব।

 

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যারা রোমানিয়ায় গেছেন, তাদের অধিকাংশই ছোট খরচে বড় পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন। সাতক্ষীরার জাহিদ হাসান জানান, তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোমানিয়ায় যান এবং এখন ফ্যাক্টরিতে চাকরি করছেন। মাসিক আয় প্রায় ৮৫০ ইউরো, যা দিয়ে তিনি পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। কোম্পানি থেকে থাকা এবং তিন বেলা খাওয়ার ব্যয়ও বহন করা হয় বলে জানান তিনি।

 

তবে, সতর্ক না থাকলে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ভয়ংকর দুঃস্বপ্নে রূপ নিতে পারে। অনেক দালাল রয়েছে যারা ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে লোক পাঠায়, অথচ সেটা দিয়ে কাজ করা অবৈধ। কেউ কেউ হাতে লেখা চুক্তিপত্র দেখিয়ে টাকা নিয়ে ভিসা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু পরে আর যোগাযোগ পাওয়া যায় না। এসব প্রতারণা এড়াতে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বোইএসইএল (BOESL)-এর অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমেই বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলা কর্মসংস্থান অফিসে যাচাই-বাছাইয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভিসা গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির লেটার অফ গ্যারান্টি, কর্মসংস্থান চুক্তিপত্র ও নিয়োগকর্তার বৈধতা যাচাই করা বাধ্যতামূলক।

 

রোমানিয়ায় এখন শ্রমিক নিয়োগের হার সবচেয়ে বেশি নির্মাণ ও ফ্যাক্টরি খাতে। গুদাম, কৃষি ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট খাতেও বাংলাদেশি কর্মীদের সুযোগ রয়েছে। যারা ইংরেজি বা রোমানিয়ান ভাষা জানেন, তাদের জন্য সুপারভাইজার পদে কাজ পাওয়া সহজ হয়। তবে অদক্ষ শ্রমিকরাও সাধারণ ফিজিক্যাল লেবার হিসেবে স্থায়ী চাকরি পাচ্ছেন।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত জীবনের স্বপ্নে দেশের তরুণরা যদি বৈধ ও সঠিক পথে বিদেশে যান, তাহলে দেশের জন্যও তা হবে লাভজনক। কারণ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি।

 

সততা, দক্ষতা এবং স্বচ্ছ পরিকল্পনায় বিদেশে যাওয়ার পথ অনেক সহজ হতে পারে। কিন্তু অন্ধবিশ্বাস, তাড়াহুড়া আর দালালের ফাঁদে পা দিলেই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে যেতে পারে।

 

সঠিক প্রস্তুতি, তথ্য যাচাই এবং নির্ভরযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমেই রোমানিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তা একজন তরুণের জীবন বদলে দিতে পারে। হাজারো তরুণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছে ইউরোপের এই পূর্বাঞ্চলীয় দেশটি।

 

বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপে স্বল্প খরচে নিরাপদ চাকরির খোঁজে রয়েছেন, তাদের জন্য রোমানিয়া হতে পারে ২০২৫ সালের সবচেয়ে বড় সুযোগ।

ঝিনাইদহ সীমান্তে আটক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ভাগ্নে রিয়াজ উদ্দীন

রোমানিয়ায় মাত্র ৩ লাখ টাকায় চাকরি, বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে আটক রিয়াজ উদ্দীন

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জেলেপোতা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা ডা. দীপু মনির ভাগ্নে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় জনতা রিয়াজ উদ্দীনকে তিন দালালের সঙ্গে আটক করে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেন। আটক দালালরা হলেন—সীমান্ত এলাকার চিহ্নিত দালাল ফয়েজ উদ্দীন ও মিনহাজ উদ্দীন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে রিয়াজ উদ্দীন ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে আটক করে টাকার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে মহেশপুরের দালালদের হাতে তুলে দেন।

শনিবার দুপুরে সীমান্ত থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ভেতরে জেলেপোতা গ্রামের বাসিন্দারা তিন দালালের সঙ্গে রিয়াজ উদ্দীনকে দেখে আটক করেন এবং পুলিশে খবর দেন। পরে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, দীপু মনির ভাগ্নে রিয়াজ উদ্দীনসহ তিন দালালকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে শ্যামনগর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

রোমানিয়ায় মাত্র ৩ লাখ টাকায় চাকরি, বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ছামিউল ইমাম আযম মনিরের সভাপতিত্বে ও গাজী আল ইমরানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা কামাল, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলাল হোসেন, রিপোর্টাস ক্লাবের আহবায়ক জি এম খলিলুর রহমান, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম, সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুন্নবী ইসলাম ইমন, সিনিয়র সাংবাদিক প্রকৌশলী আফজালুর রহমান, হুসাইন বিন আফতাব সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে ভিডিও ধারণের অপরাধে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ‌।

শ্যামনগরের সাংবাদিক সমাজ চাঁদাবাজি, দূর্নীতি ও সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।

মানববন্ধনে শ্যামনগরের শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

শ্যামনগরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ভারতীয় পাতার বিড়ি ও ক্যান্সারের ওষুধ সহ অন্যান্য মালামাল আটক

রোমানিয়ায় মাত্র ৩ লাখ টাকায় চাকরি, বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পাতা বিড়ি ও ক্যান্সারের ওষুধসহ বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চারজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) গভীর রাত থেকে ভোরের দিকে উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের খাল এলাকায় কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর ইফতেখারের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে ভারত থেকে অবৈধ পথে আনা ১৫ বস্তা মালামাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ক্যান্সারের ওষুধের মধ্যে রয়েছে, KI Malam , B-Tex , Deferasirox , Baat Ki Dawa , Meltiioxsalen এবং Valgan ।

এছাড়া জব্দকৃত অবৈধ ভারতীয় পাতা বিড়ির মধ্যে রয়েছে,বিড়ি ৬৬ হাজার ৪০০ পিস, বাপ্পা বিড়ি ১০ লাখ পিস এবং চাচা বিড়ি ১ লাখ ৩৪ হাজার পিস। মোট ১২ লাখ ৮০০ পিস বিড়ি উদ্ধার হয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লক্ষাধিক টাকা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার কৈখালী গ্রামের আজিজুল হক (৩৮), ভেটখালী গ্রামের আশরাফ হোসেন (২৮), বোষখালী গ্রামের সোবহান মোল্লা (৪০) এবং কৈখালী গ্রামের মোঃ দেলোয়ার (৪৮)।

অভিযান শেষে আটককৃত আসামি ও জব্দ মালামাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শ্যামনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

×