
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি দেশের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচন করবেন। শুধু দলের নয়, দেশের মানুষের চাওয়ার জায়গা থেকেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৮ জুন) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন জামায়াত আমির।
সভায় স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন,
বাংলাদেশে রাজতন্ত্র নেই, কিন্তু গত ১৫ বছরে যা হয়েছে, তা রাজতন্ত্রেও হয় না। আমাকে সাড়ে ১৬ বছর আপনাদের সামনে আসতে দেওয়া হয়নি। তিনবার জেলে নেওয়া হয়েছে, বহু মানুষকে গুম করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেটের রাজনীতিবিদ ইলিয়াস আলী আজও নিখোঁজ।
সে বেঁচে আছে, না মারা গেছে—তার পরিবারও জানে না। বাংলাদেশের মানুষকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে। ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে মানুষকে কথা বলার সাহসও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,
দেশের মানুষকে সাজানো মামলায় ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হতো। কিন্তু আমরা তখনও বলেছি, আমাদের স্বপ্ন মানবিক বাংলাদেশ।
জামায়াত আমিরের ঘোষণা,
৩০০ আসনে নির্বাচন করব। আমি সারা দেশেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। যারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করবে, আমি তাদের সঙ্গেই থাকব।
তিনি নিজেকে “সাধারণ মানুষ” আখ্যা দিয়ে বলেন,
যার ন্যায়বিচারের দাবি আছে, সে ন্যায়ের পক্ষে ভাববে। যদি সৎ নেতৃত্ব আসে, তবে মাত্র পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে। আল্লাহ যেন এমন নেতৃত্ব দেন, যিনি ন্যায়ের উপর অটল থাকবেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন:
সভায় সভাপতিত্ব করেন কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিম, সঞ্চালনায় ছিলেন সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী।
বক্তব্য দেনঃ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের,সিলেট মহানগর আমির মো. ফখরুল ইসলাম,পল্টন থানা জামায়াত আমির শাহীন আহমেদ খান,মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান,সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ইয়ামির আলী,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস,শ্রীপুর জালালিয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শামসুল হক,প্রিন্সিপাল আবুল কালাম আজাদ,সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মনির উদ্দিন চৌধুরী ও কুলাউড়া ব্যবসায়ী সমিতির দফতর সম্পাদক এনামুল ইসলাম
সভায় অংশগ্রহণকারী:
সভায় কুলাউড়ার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিতিরা জামায়াত আমিরের বক্তব্যে মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতির প্রত্যয় দেখতে পান।