| ৬ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি, কাঁচা চামড়া পাচার ও পুশ ইন ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা

সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি, কাঁচা চামড়া পাচার ও পুশ ইন ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্তজুড়ে কাঁচা চামড়া পাচার রোধে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই মৌসুমে কাঁচা চামড়ার অবৈধ পাচার জাতীয় অর্থনীতিতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে—এমন সতর্ক বার্তার প্রেক্ষিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে।

সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারি ও টহল চালাচ্ছে বিজিবিঃ

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে কাঁচা চামড়া ভারতে পাচারের প্রবণতা বেড়ে যায়। এই পাচার দেশের চামড়া শিল্প ও অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে টহল ও নজরদারি।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, “সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কাঁচা চামড়া পাচার এবং ভারতের দিক থেকে পুশ ইন প্রতিহত করতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, ঈদের দিনেও বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চোরাচালান রোধে টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 

 

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ঃ

চামড়া যাতে বৈধ চ্যানেলে ব্যবহার হয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে, সে লক্ষ্যেই বিজিবি কাজ করছে। এ বিষয়ে শরীফুল ইসলাম বলেন, বিজিবি স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করছে, যাতে কোরবানির পশুর চামড়া অবৈধ পথে পাচার না হয়।

তিনি আরও জানান, জাতীয় স্বার্থে যেকোনো ধরনের চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস: এনসিপির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের তীব্র অভিযোগ

সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি, কাঁচা চামড়া পাচার ও পুশ ইন ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা

জাতীয় পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কক্সবাজার সফরের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস করা হয়েছে, যা একেবারে প্রাইভেসি লঙ্ঘন এবং গোপনীয়তার কঠোর অবমাননা। তারা বলছেন, এই ধরনের ফুটেজ ফাঁসের ফলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে।

 

মঙ্গলবার তারা ইনানীর রয়্যাল টিউলিপ সী পার্লে হোটেলে অবস্থান করছিলেন, যেখানে তাদের অবস্থান নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারির মধ্যে ছিল। কিন্তু গোপনীয়ভাবে তোলা সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এনসিপি নেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন।

 

এনসিপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, “আমাদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

 

এদিকে, এই ঘটনায় উখিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন এমন গোপন ফুটেজ ফাঁসের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

 

পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে এখনও এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের তথ্য ফাঁস রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তেজিত করতে পারে এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করে।

হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বামদের বর্ণচোরা ষড়যন্ত্র: অভিযোগ ঢাবি শিবির সভাপতির

সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি, কাঁচা চামড়া পাচার ও পুশ ইন ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ছাত্রশিবিরের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো বর্ণচোরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

 

ফরহাদ বলেন,

আজকের মব সৃষ্টির ফ্রেমিংটা ১৯৭১ বনাম ২০২৪ নয়। বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দাঁড় করিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা। শাহবাগ ও বাকশালকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি আরও বলেন,

আমরা শাহবাগ ও বাকশালের বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনো আছি। সামনে আবার এ ধরনের ষড়যন্ত্র হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।

শিবির সভাপতি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসন টিকিয়ে রাখতে বাম সংগঠনগুলো নানা তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন,

মতিউর রহমান নিজামীসহ অন্যদের ফাঁসির আদেশ ছিল বিচারিক হত্যাকাণ্ড। এর দায় শুধু শেখ হাসিনার নয়, শাহবাগের ফ্যাসিবাদীদের দোসরদেরও।

এ সময় তিনি দাবি করেন,

যারা টিএসসিতে বিক্ষোভ করেছে, তারা সবাই বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের পদধারী। ১০-১২টি সংগঠন থেকে মাত্র ২০-২৫ জন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।

এর আগে ঢাবির টিএসসিতে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবির আয়োজন করেছিল তিনদিনব্যাপী কর্মসূচি ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’। এ আয়োজনে জামায়াত নেতা গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ কয়েকজনের ছবি রাখা হয়েছিল। বামপন্থী সংগঠনগুলোর তীব্র আপত্তির মুখে সেসব ছবি সরিয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শিবির ও বাম সংগঠনগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ হয়।

বজ্রপাতরোধে শ্যামনগরে সড়কের পাশে তালের চারা রোপন

সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি, কাঁচা চামড়া পাচার ও পুশ ইন ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা

ছবি- শ্যামনগরে গ্রামীন সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রণী খাতুন।

সোমবার(৪ আগষ্ট) বিকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বজ্রপাতরোধে গ্রামীণ সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করা হয়।

শ্যামনগর পৌরসভা সদরের কালমেঘা ও হাটছোলা গ্রামীণ সড়কে তালের চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা ঃ রণী খাতুন।

 

উদ্বোধনকালে তিনি বলেন তালগাছ বজ্রপাত নিরোধক। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর অসংখ্যা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে। তিনি এলাকাবাসীকে রোপনকৃত চারা বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি সেখান থেকে নানা মুখি সুবিধা গ্রহণের আহব্বান জানান।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কাজী আরিফুল হক, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন,এস এম আহসান উল্যা, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুম বিল্যা স্থানীয় কৃষকবৃন্দ প্রমুখ।

 

জানা যায় খরিপ-২ এর কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় দুটি সড়কের পাশে দুই শতটি করে তালের চারা রোপন করা হয়েছে।

×