
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আগামী এপ্রিল মাসে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা বলা হলেও, তা কতটা যুক্তিসঙ্গত সে প্রশ্ন তুলেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তার মতে, রমজান, এসএসসি পরীক্ষা ও এপ্রিলের বৈরী আবহাওয়া বিবেচনায় এ সময় নির্বাচন আয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।
শুক্রবার (৬ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অর্থাৎ রমজানের আগেই যদি নির্বাচন হতো, তাহলে সেটি আরও অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হতে পারত। তিনি মনে করেন, এই বিষয়টি আরও আলোচনার দাবি রাখে। কারণ, যদি জনগণ আস্থা ও স্বস্তির সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তবে সেই নির্বাচন অর্থবহ হবে না।
তিনি আরও বলেন, যেসব সংস্কারের দাবি উঠেছে, তা যদি আগামী সংসদে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে তা হবে টেকসই। এজন্য জাতীয় সংসদ এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন একসাথে আয়োজনের দাবি জানান তিনি।
বন্দর ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জোনায়েদ সাকি। তার ভাষায়, সমালোচকদের ‘প্রতিহত’ করার মতো বক্তব্য কারও আস্থা আনার মতো নয়। বরং এসব বক্তব্য যারা লিখে দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, একজন প্রধান উপদেষ্টার উচিত সকলের আস্থার জায়গা থেকে কথা বলা। সংলাপ ও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি না করে হুমকির ভাষা রাজনৈতিক অস্থিরতাই বাড়াতে পারে।