| ৮ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের পর জামায়াতের বড় জয়, ফিরে পেল দাঁড়িপাল্লা

নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের পর জামায়াতের বড় জয়, ফিরে পেল দাঁড়িপাল্লা

দীর্ঘ আইনি লড়াই ও রাজনৈতিক চাপ সামলে অবশেষে নিজেদের পুরোনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। বুধবার (৪ জুন) নির্বাচন কমিশন (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে এ সিদ্ধান্ত জানায়।

 

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, “জামায়াতে ইসলামীর আবেদন এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় পর্যালোচনা করে কমিশনের পক্ষ থেকে দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দিতে একমত হওয়া হয়েছে।”

 

সূত্র জানায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি রায়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন পুনরায় কার্যকর করতে হবে। সেই নির্দেশনার আলোকে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে।

 

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ জানান, “আমরা আমাদের আইনি অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। সিইসি আমাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী ছিলাম, শেষ পর্যন্ত সেই আশারই প্রতিফলন ঘটেছে।”

 

এর আগে গত রোববার (১ জুন) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই রায়ের ফলে নির্বাচন কমিশনের ওপর সাংবিধানিক দায়িত্ব পড়ে জামায়াতকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং তাদের আগের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরিয়ে দেওয়ার।

 

অনেক নাটকীয়তা ও আলোচনা-সমালোচনার পর জামায়াত ইসলামী আবারো দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের পথ পেল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন এক সমীকরণ তৈরি করতে পারে।

 

অন্যদিকে, ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এটিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের বিজয় হিসেবে দেখছেন, কেউবা অতীতের ইতিহাস মনে করে সংশয় প্রকাশ করছেন।

 

তবে যা-ই হোক, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হয়েছে—আইন, বিচার এবং সংবিধানের আলোকে দলগুলোর অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়।

 

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও সক্রিয় হতে যাচ্ছে—এবং সেই আগের চিহ্ন, দাঁড়িপাল্লা নিয়েই তারা মাঠে নামবে আগামী নির্বাচনগুলোতে।

শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের পর জামায়াতের বড় জয়, ফিরে পেল দাঁড়িপাল্লা

শ্যামনগরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে বক্তব্য রাখছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার(৭ আগষ্ট) বেলা ১২টায় ঊপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ওরিয়েন্টেশনে টাইফয়েড টিকাদান গ্রহণের বয়স, পদ্ধতি, শিক্ষকদের ভূমিকা, শিক্ষার্থীদের করণীয়, টিকাদান গ্রহনে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান ও ডাবলুএইচও এর মেডিকেল অফিসার মোঃ রাশেদ উদ্দীন মৃধা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমান, শ্যামনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান মিঠু, শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্টানে উপজেলার মাধ্যমিক,প্রাথমিক ও মাদ্রাসার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। বয়স ৯ মাস থেকে ১৫ বছর/৯ম শ্রেণি পর্যন্ত। সম্পূর্ণ ফ্রিতে সকল শিশু টিকা পাবেন। স্কুলে ও স্থানীয় ইউপিআই সেন্টারে টিকাদান কেন্দ্র হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে। শ্যামনগর উপজেলায় টাইফয়েড টিকাদান শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৫৭ হাজার ৫৫৭ জন শিশু।

যে যত কথাই বলুক, জামায়াত-এনসিপি ক্ষমতায় আসবে না— মাসুদ কামাল

নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের পর জামায়াতের বড় জয়, ফিরে পেল দাঁড়িপাল্লা

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, যে যত কথাই বলুক না কেন, জামায়াত ও এনসিপি কখনোই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, প্রশাসনের ভেতরে জামায়াত-বিএনপি এখনও সমানভাবে সক্রিয়। এনসিপির অবস্থানও দিন দিন বাড়ছে—তদবিরের জোরে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র তদবির করে কিংবা প্রশাসনে ঢুকে কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না।

 

মাসুদ কামাল আরও বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তখন জামায়াতের কেউ থাকলেও এনসিপির কোনো নেতা কি সচিবালয়ে গিয়ে ধমক দিতে পারবে? না, পারবেন না। এই যে এখন তারা যেভাবে উপভোগ করছে, সেটা তখন আর হবে না। জামায়াতের সংগঠন আছে, একটা শক্ত ভিত্তি আছে। কিন্তু এনসিপির কী আছে? শুধু ড. ইউনূস আছেন।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা আজ সচিবালয়ে ঢুকতে পারে না, অথচ এনসিপি কিংবা বৈষম্যবিরোধী সংগঠনের নেতারা দিব্যি ঢুকে পড়ছেন। এসব কীভাবে হয়? কেউ যাতে এই বৈষম্য বা অনিয়ম প্রকাশ না করে, সে জন্য সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে মাসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখনো এমন কোনো পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি যে তারা জামায়াত কিংবা এনসিপিকে ক্ষমতায় বসাবে। সুতরাং যত বড় কথাই বলা হোক, তিন মাস, ছয় মাস বা তিন বছর—এরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

 

সবশেষে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ছবি টাঙানোর সাহস তারা পাচ্ছে এখন যেভাবে ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছে বলেই। কিন্তু যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের সেই সুযোগ থাকবে না। এখন জামায়াতের লোকজন যেসব জায়গায় বসে আছে—বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে—সবই এক সময় চলে যাবে।

ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: নির্বাচন কমিশনার

নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের পর জামায়াতের বড় জয়, ফিরে পেল দাঁড়িপাল্লা

আগামী ডিসেম্বরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।

রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ভোটারদের জন্য ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রবাসী ভোটারদের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাদের জন্য ভোট গ্রহণে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট আসনে পোস্টাল ব্যালট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হবে। কারণ, শুধু এক লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য খরচ হতে পারে ৬-৭ কোটি টাকা।

ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তারা চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন।

পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সানাউল্লাহ জানান, এই ব্যালটে প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু প্রতীক থাকবে। এতে সময় বাঁচবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।

রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া, দেশে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

×