| ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষায় কথা বলছে ছাত্রশিবির: নাছির উদ্দীন নাছির

ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষায় কথা বলছে ছাত্রশিবির: নাছির উদ্দীন নাছির

ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষায় কথা বলছে ছাত্রশিবির: নাছির উদ্দীন নাছির

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির অভিযোগ করেছেন, অতীতে ছাত্রলীগের যেসব সন্ত্রাসীরা হুমকি দিত, এখন সেই একই ভাষায় হুমকি দিচ্ছে ছাত্রশিবির ও নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা।

রবিবার (১ জুন) এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ছাত্রদলের কার্যক্রমে বাধা প্রদান করেছে ছাত্রশিবিরের নেতারা। ঘটনাস্থলে হাতাহাতির মতো কিছু ঘটলেও, এর বাইরে কোনো সহিংসতা হয়নি। অথচ ছাত্রদলের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এমনকি সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতেও অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

নাছির বলেন, “যারা একসময় ছাত্রলীগের বড় বড় পদে ছিলেন, তারাই এখন ছাত্রশিবির ও নতুন গঠিত রাজনৈতিক দলের হয়ে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন। এর ফলে বোঝা যায়, তারা মূলত ছাত্রলীগেরই পুনরাবৃত্তি। অতীতে যেভাবে ছাত্রলীগ হুমকি দিত, ঠিক সেই ভাষাতেই এখন সাদিক কায়েম এবং ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি কথা বলছেন।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কমার্স কলেজে এক পূর্ব নির্ধারিত চুক্তি ছিল—কোনো ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসের ভেতরে বুথ স্থাপন করবে না। কিন্তু মধ্যরাতে ছাত্রশিবির সেই কমিটমেন্ট ভেঙে বুথ স্থাপন করে, যার ফলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।”

নাছির উদ্দীন আরও বলেন, “এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত রাবেয়া তাহসিন মুনের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তার ছবি এডিট করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক মানসিক হয়রানির শিকার করা হয়েছে। তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছেন যে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।”

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “দু-একটি গণমাধ্যম যাচাই-বাছাই ছাড়া এই মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে এবং ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সেই খবর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিয়ে মব তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন।”

নাছির শেষ করেন এই বলে, “রাবেয়া তাহসিন মুনের মানসিক বিপর্যয়ের জন্য ছাত্রশিবির, নাগরিক পার্টি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ দায়ী। অথচ সত্যটি হচ্ছে, মুন ছিলেন বিএনপি আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনের কর্মী। তাকে ঘিরে যে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।”

জুলাই যো’দ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড়: আদর্শচ্যুত নেতৃত্বে আস্থাহীনতা

ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষায় কথা বলছে ছাত্রশিবির: নাছির উদ্দীন নাছির

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে পথচলা শুরু করেছিল ‘জুলাই আন্দোলনের’ ছাত্রনেতারা। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাদের মধ্য থেকেই অনেকে জড়াচ্ছেন চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির মতো অপরাধে। এতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাদের নেতৃত্ব, আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতা ও অর্থের মোহে অনেকেই আদর্শচ্যুত হচ্ছেন। যারা একদিন জাতিকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারাই এখন অভিযোগের মুখে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, “নির্লোভ থাকার পরীক্ষায় ফেল করেছে কিছু জুলাই যোদ্ধা। বয়স, অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের ভারসাম্য না থাকায় তারা রাজনীতির চোরাবালিতে হারিয়ে যাচ্ছে।”

অন্যদিকে অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন মনে করেন, “ক্ষমতার আগে অভিজ্ঞতা জরুরি। এখনই নেতৃত্বে যেতে চাওয়ার লোভ অনেককে ধ্বংস করছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিভক্তি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে।”

এই বাস্তবতা অস্বীকার করেন না জুলাই আন্দোলনের অনেকে। তাদের বক্তব্য, সবাই নয়, কিছু ব্যক্তি দুর্নীতিতে জড়িয়েছে, যারা আদর্শের নয় বরং ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “সরকারের উচিত ছিল দায়িত্বশীল অভিভাবকসুলভ ভূমিকা রাখা। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সেই সহযোগিতা পাইনি। যদিও সত্য অভিযোগ আছে, তেমনি প্রচার-প্রচারণার প্রোপাগান্ডাও রয়েছে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, “বিপ্লবের পর সংগঠন গড়ে না তোলার ব্যর্থতা রাষ্ট্রের। কেউ কেউ দুর্নীতির সাথেও জড়িয়েছে, যা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।”

উল্লেখ্য, এনসিপি গঠনের পর থেকেই জুলাই যোদ্ধারা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্নিত হন। এর প্রভাবে তাদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে গড়ে ওঠা ভাবমূর্তি ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

তবে জুলাই হিরোদের দাবি, সরকারের দিক থেকে প্রয়োজনীয় অভিভাবকসুলভ ভূমিকা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহনশীল আচরণ পেলে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক এড়ানো যেতো।

ইমরান খানের দলের ১০৮ নেতাকর্মীর কা’রা’দণ্ডপি টিআইর প্রতিবাদ

ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষায় কথা বলছে ছাত্রশিবির: নাছির উদ্দীন নাছির

ইমরান খান : ছবি-সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর ১০৮ নেতাকর্মীকে সাম্প্রতিক এক রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে ইমরান খান গ্রেপ্তার হন। এরপর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতা। সেনা ক্যাম্প ও সরকারি স্থাপনায় হামলার পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটে অন্তত ১০ জনের। ওই ঘটনার পর থেকেই পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে শুরু হয় দমনপীড়ন, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ঘোষিত রায়ে, বিরোধীদলীয় নেতা ও ইমরানপন্থী রাজনৈতিক জোটের মুখপাত্র ওমর আইয়ুব খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পিটিআইয়ের ছয়জন সংসদ সদস্যকে তাদের আসন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে আদালত।

এই রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পিটিআই। এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, “পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল, যেখানে শুধুমাত্র রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি আনুগত্যের কারণে বিরোধী দলের নেতাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”

দলটি আরও জানায়, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।

এই রায় পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে এমন সময় যখন ইমরান খান কারাবন্দি এবং দেশজুড়ে তার দলের ওপর চলছে কঠোর চাপ।

বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান

ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষায় কথা বলছে ছাত্রশিবির: নাছির উদ্দীন নাছির

ডা. শফিকুর রহমান : ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ায় তাকে বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এ সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল, নায়েবে আমীরসহ দলের শীর্ষ নেতারাও তার সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে, গত ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন তাৎক্ষণিকভাবে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় বড় কোনো জটিলতা ধরা না পড়লেও, ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা দেখা দেয়।

পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে তার হার্টে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে তিনটি গুরুতর এবং দুটি আংশিক ব্লক। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী গুরুতর ব্লকগুলো অপসারণে বাইপাস সার্জারি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও, ডা. শফিকুর রহমান দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন এবং সার্জারির পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে দলের পক্ষ থেকে নিয়মিত আপডেট জানানো হবে।

×