| ৮ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

আ.লীগের ভেতরের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস: রাজনৈতিক অস্থিরতায় টার্গেট ছিল বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি নেতারা

আ.লীগের ভেতরের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস: রাজনৈতিক অস্থিরতায় টার্গেট ছিল বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি নেতারা

 

রাজধানীসহ সারাদেশে রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে দেশজুড়ে অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল সুব্রত বাইন ও তার বাহিনী। তাদের টার্গেটে ছিল বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে আনা। গোয়েন্দা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে জড়িত ছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নিষিদ্ধ নেতা।

 

এই গোপন পরিকল্পনায় সুব্রত বাইনের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ। হুন্ডির মাধ্যমে প্রতিবেশী একটি দেশ থেকে বিপুল অর্থ এনে তা ব্যবহার করা হচ্ছিল পেশাদার শ্যুটার ও কিলার নিয়োগে। এসব তথ্য উঠে এসেছে তাদের রিমান্ডে দেওয়া জিজ্ঞাসাবাদে।

 

মঙ্গলবার রাতে হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনকে ৮ দিন এবং মোল্লা মাসুদসহ বাকি তিন আসামিকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। আদালতের আদেশে তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে।

 

আসামিরা হলেন—সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, আরাফাত ইবনে নাসির ওরফে শ্যুটার আরাফাত এবং এমএএস শরীফ। আদালতে হাজিরের সময় কঠোর নিরাপত্তায় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাদের আনা হয়।

 

আদালতে দাঁড়িয়ে সুব্রত বাইন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “সত্য লিখবেন, যা দেখেছেন তাই লিখবেন। আমারও পরিবার আছে। ১৯৮৭ সাল থেকে কোনো প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু আয়নাঘরে বন্দি থাকা, রড দিয়ে মারধরের ঘটনা কেউ জানে না।”

 

রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক বলেন, আসামিদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের রিমাণ্ডে রেখে আরও অস্ত্র ও সহযোগীদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

 

আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ বাদল মিয়া জামিন চেয়ে বলেন, “সুব্রত বাইন আজ মিডিয়ার সৃষ্টি। তাকে একাধিকবার ভারতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশে তার নাম তালিকাভুক্ত হয়।”

 

রিমান্ডে নেওয়ার পর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা চার আসামিকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শ্যুটার আরাফাত ও শরীফ প্রথমে অস্ত্র ও গুলির ব্যাপারে তথ্য দেন। তারা জানান, সীমান্ত এলাকা থেকে সংগ্রহ করা অস্ত্র ঢাকার মগবাজার, শাহবাগ, গুলশান ও বাড্ডার সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এসব সন্ত্রাসীরা সম্প্রতি সুব্রত বাইন ও মাসুদের দলে যোগ দেয়। তাদের তালিকায় বেশিরভাগই উঠতি বয়সী এবং সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির সদস্য।

 

জিজ্ঞাসাবাদে সুব্রত ও মাসুদ জানান, তারা রাজনৈতিকভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল—টার্গেট কিলিংয়ের পর এক দলের নেতাকে অন্য দলের দায়ে অভিযুক্ত করে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরি করা, যাতে আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসে।

 

তারা আরও জানান, প্রতিবেশী দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নিষিদ্ধ নেতা নিয়মিতভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। এই টাকা যশোর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে লেনদেন হতো। কুষ্টিয়ায় তাদের একটি বড় আস্তানাও ছিল, যেখান থেকে ঢাকায় বহু অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।

 

এক পর্যায়ে গোয়েন্দারা জানতে চান—বিএনপির সমর্থক হয়েও কেন আওয়ামী লীগের হয়ে মিশনে নামলেন? জবাবে সুব্রত বলেন, “২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরই আমাকে তালিকাভুক্ত করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। এরপর বিএনপির সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারিনি। বরং তারা আমাকে এড়িয়ে চলে। তাই আমি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলি এবং বিএনপিসহ সমমনাদের টার্গেট করি।”

শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

আ.লীগের ভেতরের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস: রাজনৈতিক অস্থিরতায় টার্গেট ছিল বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি নেতারা

শ্যামনগরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে বক্তব্য রাখছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার(৭ আগষ্ট) বেলা ১২টায় ঊপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ওরিয়েন্টেশনে টাইফয়েড টিকাদান গ্রহণের বয়স, পদ্ধতি, শিক্ষকদের ভূমিকা, শিক্ষার্থীদের করণীয়, টিকাদান গ্রহনে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান ও ডাবলুএইচও এর মেডিকেল অফিসার মোঃ রাশেদ উদ্দীন মৃধা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমান, শ্যামনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান মিঠু, শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্টানে উপজেলার মাধ্যমিক,প্রাথমিক ও মাদ্রাসার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। বয়স ৯ মাস থেকে ১৫ বছর/৯ম শ্রেণি পর্যন্ত। সম্পূর্ণ ফ্রিতে সকল শিশু টিকা পাবেন। স্কুলে ও স্থানীয় ইউপিআই সেন্টারে টিকাদান কেন্দ্র হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে। শ্যামনগর উপজেলায় টাইফয়েড টিকাদান শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৫৭ হাজার ৫৫৭ জন শিশু।

যে যত কথাই বলুক, জামায়াত-এনসিপি ক্ষমতায় আসবে না— মাসুদ কামাল

আ.লীগের ভেতরের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস: রাজনৈতিক অস্থিরতায় টার্গেট ছিল বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি নেতারা

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, যে যত কথাই বলুক না কেন, জামায়াত ও এনসিপি কখনোই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, প্রশাসনের ভেতরে জামায়াত-বিএনপি এখনও সমানভাবে সক্রিয়। এনসিপির অবস্থানও দিন দিন বাড়ছে—তদবিরের জোরে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র তদবির করে কিংবা প্রশাসনে ঢুকে কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না।

 

মাসুদ কামাল আরও বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তখন জামায়াতের কেউ থাকলেও এনসিপির কোনো নেতা কি সচিবালয়ে গিয়ে ধমক দিতে পারবে? না, পারবেন না। এই যে এখন তারা যেভাবে উপভোগ করছে, সেটা তখন আর হবে না। জামায়াতের সংগঠন আছে, একটা শক্ত ভিত্তি আছে। কিন্তু এনসিপির কী আছে? শুধু ড. ইউনূস আছেন।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা আজ সচিবালয়ে ঢুকতে পারে না, অথচ এনসিপি কিংবা বৈষম্যবিরোধী সংগঠনের নেতারা দিব্যি ঢুকে পড়ছেন। এসব কীভাবে হয়? কেউ যাতে এই বৈষম্য বা অনিয়ম প্রকাশ না করে, সে জন্য সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে মাসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখনো এমন কোনো পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি যে তারা জামায়াত কিংবা এনসিপিকে ক্ষমতায় বসাবে। সুতরাং যত বড় কথাই বলা হোক, তিন মাস, ছয় মাস বা তিন বছর—এরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

 

সবশেষে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ছবি টাঙানোর সাহস তারা পাচ্ছে এখন যেভাবে ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছে বলেই। কিন্তু যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের সেই সুযোগ থাকবে না। এখন জামায়াতের লোকজন যেসব জায়গায় বসে আছে—বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে—সবই এক সময় চলে যাবে।

ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: নির্বাচন কমিশনার

আ.লীগের ভেতরের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস: রাজনৈতিক অস্থিরতায় টার্গেট ছিল বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি নেতারা

আগামী ডিসেম্বরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।

রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ভোটারদের জন্য ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রবাসী ভোটারদের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাদের জন্য ভোট গ্রহণে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট আসনে পোস্টাল ব্যালট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হবে। কারণ, শুধু এক লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য খরচ হতে পারে ৬-৭ কোটি টাকা।

ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তারা চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন।

পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সানাউল্লাহ জানান, এই ব্যালটে প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু প্রতীক থাকবে। এতে সময় বাঁচবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।

রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া, দেশে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

×