| ২৭ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

পিএসএলে খেলবেন মেহেদী হাসান মিরাজ, লাহোর কালান্দার্সে জায়গা পেলেন সিকান্দার রাজার বদলে

পিএসএলে খেলবেন মেহেদী হাসান মিরাজ, লাহোর কালান্দার্সে জায়গা পেলেন সিকান্দার রাজার বদলে

বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছেন।

বিসিবি সোমবার (১৯ মে) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মিরাজ ২২ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পিএসএলে খেলবেন। এটি মিরাজের দ্বিতীয়বারের মতো বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ।

এর আগে, ২০১৭ সালে তিনি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, তবে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। লাহোর কালান্দার্স জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার পরিবর্তে মিরাজকে দলে নিতে আগ্রহী। কারণ, রাজা শিগগিরই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে পিএসএল থেকে বিদায় নেবেন। লাহোর কালান্দার্সের এলিমিনেটর ম্যাচ ২২ মে অনুষ্ঠিত হবে।

যদি তারা জয়লাভ করে, তবে ২৩ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার এবং ২৫ মে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে, মিরাজ এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্লে-অফ ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন। উল্লেখ্য, তরুণ বাংলাদেশি লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেন ইতিমধ্যে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলেছেন। তবে, বর্তমানে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে থাকায় পিএসএলে অংশ নিচ্ছেন না।

এখন, লাহোর কালান্দার্স দলে আরও একজন বাংলাদেশি তারকা, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান রয়েছেন।

কুষ্টিয়ায় আট লক্ষ টাকার ব্যান্ডরোলযুক্ত নকল বিড়ি জব্দ

পিএসএলে খেলবেন মেহেদী হাসান মিরাজ, লাহোর কালান্দার্সে জায়গা পেলেন সিকান্দার রাজার বদলে

কুষ্টিয়ায় ৪৭ বিজিবির অভিযানে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া আট লাখ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ বড় মসজিদ নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় কতিপয় অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলামের নেতৃত্বে নকল ও চোরাকারবারি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ষোলদাগ বড় মসজিদ নামক স্থান থেকে ৮ লাখ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি, কারিকর বিড়িসহ অন্যান্য বিড়ি আটক করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি। তবে জব্দকৃত বিড়ির মালিককে পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, অভিযানে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। নকল ও অবৈধ পণ্যের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলোরেন্স নীতি চালু রয়েছে। যারা দেশের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জব্দকৃত নকল বিড়ি কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়া হবে। নকলের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

শ্যামনগরে দরিদ্র নারীদের মাঝে ছাগল বিতরণ

পিএসএলে খেলবেন মেহেদী হাসান মিরাজ, লাহোর কালান্দার্সে জায়গা পেলেন সিকান্দার রাজার বদলে

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বৃহস্পতিবার(২৬ জুন) সকালে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নকশীকাঁথা মহিলা সংগঠনের বাস্তবায়নে দরিদ্র নারীদের মাঝে বকরি ছাগল বিতরণ করা হয়েছে।

দরিদ্র, অসহায় নারীদের অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করতে উপজেলা পরিষদ চত্তরে শ্যামনগরের বিভিন্ন গ্রামের ২০ জন নারীদের মাঝে ৪০টি বকরি ছাগল বিতরণ করা হয়।

ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রণী খাতুন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক, উপজেলা ভেটেনারী সার্জন ডাঃ সুব্রত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা ওসিসি প্রোগ্রাম অফিসার প্রনব কুমার বিশ্বাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রকল্প সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন নকশীকাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বিশেষ বরাদ্ধ থেকে এ ছাগল বিতরণ করা হয়।
ছাগল পেয়ে নারীরা বলেন একটি ছাগল পালন করে আরও বেশি ছাগলের বাচ্চা তৈরী ও বিক্রীর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করবেন।

ওবায়দুল কাদেরের আমলে দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়, ফাঁস হলো কমিশনের খেলা

পিএসএলে খেলবেন মেহেদী হাসান মিরাজ, লাহোর কালান্দার্সে জায়গা পেলেন সিকান্দার রাজার বদলে

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে ওবায়দুল কাদের ছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর মন্ত্রীদের একজন। দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছর তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নিজের মুখে বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিলেও বাস্তবে তার নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়টি পরিণত হয়েছিল একটি শক্তিশালী কমিশন সিন্ডিকেটে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওবায়দুল কাদের ঘুষ নয়, কমিশনের মাধ্যমে দুর্নীতির পথ তৈরি করেছিলেন। সড়ক ও সেতু বিভাগের যেকোনো কাজ পেতে হলে ঠিকাদারদের ২০ শতাংশ কমিশন দিতে হতো। এ কমিশন প্রকল্প বাজেটের মধ্যেই যোগ করা হতো, যাতে তা আইনগতভাবে ধরা না পড়ে। এমনকি ছোট কাজেও কমিশন বাধ্যতামূলক ছিল।

সড়ক বিভাগে ১২ বছরে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সওজ বা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে নির্মাণকাজে। এর ৭২ শতাংশ কাজ পেয়েছে মাত্র ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, যারা কাদেরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং নিয়মিত কমিশন দিয়ে আসছিল।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণ খাতে প্রতি কিলোমিটার ব্যয় ভারত ও ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশি। মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকল্প প্রস্তাবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হতো, যার বড় অংশ যেত কমিশন হিসেবে।

সরকারি ক্রয় আইন অনুযায়ী, প্রকল্প অনুমোদন ও কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকার কথা থাকলেও, বাস্তবে দেখা যায় কমিশন না দিলে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হতো। শুধু ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কমিশনের টাকা না দেওয়ার অভিযোগে।

মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ছিল এমনভাবে সাজানো, যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে অর্থ লেনদেন ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়। ডিপিপি প্রস্তুতের সময়েই ঠিক করে রাখা হতো কে কাজ পাবে, কোন খাতে কত টাকা যাবে এবং কত কমিশন বরাদ্দ থাকবে। প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনেও ঘুষ দিতে হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের, তার স্ত্রী, ভাই ও আত্মীয়দের নামে অনেক প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি ও তার পরিবার উপকৃত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাও এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কেবল অর্থ নয়, প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং অনুমোদনের প্রতিটি ধাপে দুর্নীতির বিস্তৃতি ছিল ভয়াবহ। কখনো হাওরের জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক বানানো হয়েছে, যার ব্যবহার নেই বললেই চলে। কোথাও আবার পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে।

সবমিলিয়ে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওবায়দুল কাদেরের মন্ত্রণালয় ছিল কমিশন নির্ভর এক দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দু। যেখানে যোগ্যতা নয়, কমিশনই ছিল কাজ পাওয়ার প্রধান শর্ত।

×