মঙ্গলবার, ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কাঠালিয়ার ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতের স্থিতিদেশ উপেক্ষা করার অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

আদালতের স্থিতাদেশ উপেক্ষা করে ভিপি সম্পত্তির অজুহাতে একটি পরিবারের বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভূক্তভূগী কাঠালিয়া সদরের বাসিন্ধা মো. নুর হোসেন ফরাজি।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় , উপজেলার নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার জসিম উদ্দিন, তহশিলদার মোঃ মুসার নেতৃত্বে মোঃ নুর হোসেন ফরাজীর ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তির ঘর ভেঙ্গে দখল করে। কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই গত ১৫ মে বেলা ১১.৩০ দিকে ভূক্তোভূগী পরিবারের বসতঘর ভাঙচুর করে আজ ১৬মে সকাল থেকে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলামের গৃহপরিচারিকা মোঃ শান্তর মা শাহানা বেগম এবং নানি রুনু বেগম সেখানে ঘরিউত্তোলন করছে।

কাঠালিয়া উপজেলার মৃত সুলতান ফরাজী ছেলে মোঃ নূর হোসেন ফরাজীর তফসিল সম্পত্তি কাঠালিয়া মৌজার জেল ৪২ এস এ খতিয়ান ২৭১ এর ১৯৪১,১৯৪২ নং দাগে মোট সম্পত্তি ৩৯ শতাংশ। এই ৩৯ শতাংশ সম্পত্তির ১৯৪১ নং দাগে নুর হোসেনের ভোগ দখলের ৮ শতাংশ সম্পত্তি এবং ১৯৪২ নং দাগে ভোগ দখলের ৫ শতাংশ, মোট ১৩ শতাংশ সম্পত্তি যাহা পূর্বপুরুষ হইতে ভোগ দখল করিয়া আসছিল । কিন্তু দখলীয় সম্পতি কাঠালিয়া এলাকার ভূমি দস্যু ছোবাহান ফরাজী, বাবুল,মনির শান্ত সহ আরো তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ভোগ দখলীয় সম্পত্তি জবরদখল করার চেস্টার বাধা দিলে মোঃ নুর হোসেন ফরাজীকে খুন জখম করার হুমকি দেয়।

এঘটনায় ঝালকাঠি বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৯/৪/২০২৫ তারিখ সোবাহান গং দের বিবাদী করে এমপি ২৬১/২৫ নং ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেন। আদালত কাঠালিয়া থানা পুলিশ কে তফসিল সম্পত্তিতে স্থিতিবস্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আদেশ দেয়। আদালতের আদেশে কাঠালিয়া থানার এএসআই মাসুম বিল্লাহ উক্ত সম্পত্তিতে ০১/০৫/২৫ ইংরেজি ‘তারিখ উভয় পক্ষকে আদালতের আদেশ পালনের জন্য নোটিশ প্রদান করেন।

আরও পড়ুন  ঝালকাঠিতে পবিত্র ঈদ উল ফিতর পালিত

সংবাদ সম্মেলনে মোঃ নুর হোসেন ফরাজী আরো অভিযোগ করেন, তার এমপি ২৬১/২৫ নং মামলার আসামি মোঃ শান্তর মা শাহানা বেগম এবং নানি রুনু বেগম, কাঠালিয়া ভূমি অফিসে এবং ইউএনও জহিরুল ইসলামের বাসায় কাজ করে। কাজ করার সুবাদে গত ১৫ মে বেলা ১১.৩০ মিনিটের সময় ইউএনও, সার্ভেয়ার, তহশিলদার আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময় অনৈতিক চুক্তিতে নুর হোসেনের স্থাপনা ভাঙচুর করে। এঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান নুর হোসেন।

এবিষয়ে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। সরকারি জমির ভিতরে কিছু জমি দখলের চেস্টা করেন মোঃ নুর হোসেন ফরাজী। আমরা সেই সম্পত্তি দখলে বাধা দিয়েছি মাত্র। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

WhatsApp
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
Telegram