| ২৮ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের  হত্যাকাণ্ডের ৩ আসামি গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের  হত্যাকাণ্ডের ৩ আসামি গ্রেফতার

গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের হরিনগর(কালিতলা) গ্রামে মতিন তেলি নাম এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন মোঃ শুকুরুদ্দিন (৪২), তার স্ত্রী মোসাঃ পিয়ারা বেগম (৩৫) ও মোঃ পিয়ারুল ইসলাম (২৩)। পুলিশ জানিয়েছে তারা সকল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

গত ২ মার্চ রাত আনুমানিক ৮টায় মতিন তেলি বাড়ির পাশের সাহেবগ্রাম জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে তিনি বাড়ি ফিরেননি। পরদিন ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার স্ত্রী ফেনী ও পরিবারের সদস্যরা লোকমুখে জানতে পারেন, শুকুরুদ্দিনের বাড়ির শয়নকক্ষে মতিনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। লাশ পরীক্ষা করে দেখা যায়, মতিনের ডান গাল, হাতের বাহু, উরু, থুতনি, কপাল ও বাম পায়ে গভীর কাটা দাগ রয়েছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে গোমস্তাপুর থানায় শুকুরুদ্দিন, পিয়ারা বেগম, পিয়ারুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে হত্যার মামলা (মামলা নং-০১/৩৮, ধারা-৩০২/৩৪) দায়ের করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৯ মে মানিকগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, মতিন তেলি তেল বিক্রির পাশাপাশি কবিরাজি করতেন। পিয়ারা বেগমের পেটের ব্যথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার সঙ্গে মতিনের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পিয়ারা এই সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইলে মতিন জোরজবরদস্তি চালাতেন।

ঘটনার দিন (২ মার্চ) পিয়ারা আবার অসুস্থ হলে মতিন তেলি চিকিৎসার জন্য তাদের বাড়িতে আসেন। তিনি শুকুরুদ্দিনকে মিষ্টি কিনতে পাঠান এবং পিয়ারুল বাড়ি না থাকায় পিয়ারার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে গেলে পিয়ারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। পরে বাড়ি ফিরে শুকুরুদ্দিনও তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। তারা ছেলেকে ফোন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মামলার তদন্ত ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে তারা তৎপর রয়েছেন

শ্যামনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দুধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের  হত্যাকাণ্ডের ৩ আসামি গ্রেফতার

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভূরুলিয়া সোনামুগারী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, হরিনগর সাধু পাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, মুন্সিগঞ্জ ধানখালী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরের আয়োজনে শুক্রবার (২৭ জুন) শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রথটি বিকাল ৪ টায় গোপালপুর মন্দির থেকে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে টেনে নিয়ে নকিপুর হরিতল সার্বজনীন মন্দিরে রাখেন। নকিপুর হরিতলা থেকে একটি রথ টেনে ভক্তবৃন্দ বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রাখেন।

 

গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসবের পূর্বে মন্দির চত্তরে মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ কৃষ্ণ সখা দাস ব্রক্ষ্মচারীর সার্বিক পরিচালনায় আলোচনাসভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনাসভার মাঝে মাঝে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরের ভক্তবৃন্দ সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে প্রসাদও বিতরণ করা হয়।

সকল রথযাত্রা উৎসবে ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রথের দড়ি ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে নিয়ে যান গন্তব্য স্থলে।

সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের  হত্যাকাণ্ডের ৩ আসামি গ্রেফতার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জনগণের জানার অধিকার আছে—তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 

বিএনপি নেতার মতে, বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরোক্ষ বার্তা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জামায়াত স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন আগে চায়। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যও সেটিই। নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

কুষ্টিয়ায় আট লক্ষ টাকার ব্যান্ডরোলযুক্ত নকল বিড়ি জব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের  হত্যাকাণ্ডের ৩ আসামি গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় ৪৭ বিজিবির অভিযানে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া আট লাখ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ বড় মসজিদ নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় কতিপয় অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলামের নেতৃত্বে নকল ও চোরাকারবারি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ষোলদাগ বড় মসজিদ নামক স্থান থেকে ৮ লাখ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি, কারিকর বিড়িসহ অন্যান্য বিড়ি আটক করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি। তবে জব্দকৃত বিড়ির মালিককে পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, অভিযানে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। নকল ও অবৈধ পণ্যের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলোরেন্স নীতি চালু রয়েছে। যারা দেশের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জব্দকৃত নকল বিড়ি কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়া হবে। নকলের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

×