| ২৮ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

হিলি স্থলবন্দর এর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট  অ্যাসোসিয়েশন

হিলি স্থলবন্দর এর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট  অ্যাসোসিয়েশন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে সম্প্রতি সময়ে আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছে বাংলাহিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার বাংলাহিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সন্মেলনে বক্তব্যর মাধ্যমে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি বাণিজ্য কমে যাওয়ার কারণগুলো ব্যাখ্যা করেন, সংগঠনটির সভাপতি মোঃ ফেরদৌস রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। বে-সরকারি অপারেটর হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের হয়রানি ও শুল্ক স্টেশন এর বৈষম্যর কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর দিয়ে সম্প্রতি সময়ে আমদানি বাণিজ্য কমে এসেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৪০০ গাড়ি প্রবেশ করতো সেখানে বর্তমানে গাড়ির সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৭-২০ ঘরে। যা অত্যান্ত দুঃখ জনক বিষয়! তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ও হিলি স্থলবন্দরের আমদানি বাণিজ্য ফিরিয়ে আনতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, হিলি কাস্টমস কর্তৃক এইসএস কোর্ড একেক সময় একেক রকম নির্ধারত করার কারণে ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। হিলি পানামা পোর্টের অভ্যান্তরের দুটি পণ্য মাপার স্কেল নষ্ট থাকার কারণে পণ্যের ওজনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। হিলি পানামা পোর্টের চেয়ারম্যান সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ আছে তিনি হিলি বন্দর দিয়ে আমদানিকারক হিসেবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে পারবে না। তারপরও তিনি এসব কিছু তোয়াক্কা না করে ইতিপূর্বে নিজে পাথর আমদানি করেছেন। এছাড়াও বন্দরের শ্রমিকদের সেকশনটা বে-নামে সরকারের কাছ থেকে ডেকে নেন পানামা পোর্টের চেয়ারম্যান। বন্দরের আমদানিকারকদের কাছ থেকে পোর্টের অভ্যান্তরীন শ্রমিকদের জন্য মজুরি নেওয়া হলেও তাদের ন্যায্য মূল্য দেয়া হচ্ছে না। ফলে ভারত থেকে বন্দরে প্রবেশ করা গাড়িগুলো সময় মতো লোড আনলোড না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত নাইট চার্জ গুনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলে ধরা হয় সংবাদ সন্মেলনে।

হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিনুর ইসলাম শাহিন বলেন, আমি নিজে এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে জিরা আমদানি করি। হিলি পানামা পোর্ট অভ্যান্তরে মানসম্মত শেড না থাকার কারণে নাইট চার্জ দিয়েও আমাদের পণ্যগুলো অরক্ষিত অবস্থায় পরে থাকে এবং শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্য না দেওয়ার কারণে আমদানিকৃত গাড়ি সময় মতো লোড আনলোড না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। বন্দরের শ্রমিকরা আমাদের কাছে বারংবার অভিযোগ করেছে যে তাদের ন্যায্যমূল্য দেওয়া হচ্ছে না। আমরা এসব বিষয়ে নৌ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাইনি। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা ও হিলি স্থলবন্দরকে বাঁচাতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অন্য দিকে হিলি পানামা পোর্ট অভ্যান্তরে শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্য দেওয়া হচ্ছে না বিষয়ে জানতে চাইলে কোন শ্রমিক গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলতে রাজি হয় নাই। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরের শ্রমিক নেতা বলেন, পানামা পোর্ট অভ্যান্তরে শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্য দেওয়া হয় না এটা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। কিন্তু আমি নিজেও কিছু বলতে পারবো না। আমার লাইফ গ্যারেন্টি কে দিবে। গত দুই বছর আগে পানামা পোর্টের চেয়ারম্যান শ্রমিকদের সেকশন ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নিজে ডেকে নিয়েছেন কিন্তু বে-নামে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এসময় অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমান চৌধুরী , সিএম মানিক মিয়াসহ  অনেকে  উপস্থিত ছিলেন।

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ, খুলনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

হিলি স্থলবন্দর এর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট  অ্যাসোসিয়েশন

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে ফের উত্তাল খুলনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টা থেকে কেএমপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে খানজাহান আলী রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সম্প্রতি খানজাহান আলী থানা এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটক করে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ এই এসআই’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি তাদের। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেফতার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন থামেনি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, খুলনায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান রোধে প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে তারা দাবি করেন। সব অপরাধের দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। তা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। একই দাবিতে বিএনপিও আগে আল্টিমেটাম দেয়।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ঘিরে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

শ্যামনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দুধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

হিলি স্থলবন্দর এর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট  অ্যাসোসিয়েশন

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভূরুলিয়া সোনামুগারী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, হরিনগর সাধু পাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, মুন্সিগঞ্জ ধানখালী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরের আয়োজনে শুক্রবার (২৭ জুন) শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রথটি বিকাল ৪ টায় গোপালপুর মন্দির থেকে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে টেনে নিয়ে নকিপুর হরিতল সার্বজনীন মন্দিরে রাখেন। নকিপুর হরিতলা থেকে একটি রথ টেনে ভক্তবৃন্দ বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রাখেন।

 

গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসবের পূর্বে মন্দির চত্তরে মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ কৃষ্ণ সখা দাস ব্রক্ষ্মচারীর সার্বিক পরিচালনায় আলোচনাসভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনাসভার মাঝে মাঝে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরের ভক্তবৃন্দ সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে প্রসাদও বিতরণ করা হয়।

সকল রথযাত্রা উৎসবে ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রথের দড়ি ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে নিয়ে যান গন্তব্য স্থলে।

সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

হিলি স্থলবন্দর এর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট  অ্যাসোসিয়েশন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জনগণের জানার অধিকার আছে—তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 

বিএনপি নেতার মতে, বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরোক্ষ বার্তা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জামায়াত স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন আগে চায়। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যও সেটিই। নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

×