
ভারতীয় ভিসা জটিলতার কারণে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে। আগের তুলনায় তিনভাগের একভাগে নেমে এসেছে যাত্রী চলাচল, যার ফলে সরকার রাজস্ব আয় হারাচ্ছে এবং শ্রমজীবী মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এক সময়ের ব্যস্ত ও কোলাহলময় হিলি চেকপোস্ট এখন প্রায় জনশূন্য। আগে প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন যাত্রী যাতায়াত করতেন, যা এখন কমে ১০০ জনের নিচে নেমে এসেছে। রাজস্বের ক্ষেত্রেও বড় ধাক্কা লেগেছে—আগে যেখানে প্রতিদিন ২-২.৫ লাখ টাকা রাজস্ব আসত, এখন তা ৫০-৬০ হাজারে ঠেকেছে।

চেকপোস্টে কর্মরত শতাধিক শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই বর্তমানে কাজ হারিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। আগে তারা প্রতিদিন ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতেন, কিন্তু এখন অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।
একজন চিকিৎসা-গন্তব্য যাত্রী জানান, “আমি অনেক কষ্টে ঢাকায় গিয়ে মেডিকেল ভিসা পেয়েছি। চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে হচ্ছে, কিন্তু চেকপোস্টে এসে দেখি থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে ।”

আরেক ভুক্তভোগী বলেন, “আমরা আগে নিয়মিত আত্মীয়দের দেখতে বা বেড়াতে যেতাম। এখন ভিসা বন্ধ থাকায় কেউ পার হতে পারছে না। ভারত এমন বৈরী নীতি মেনে চলবে, তা প্রত্যাশিত নয়।”
হিলি ইমিগ্রেশন অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “৫ আগস্টের আগে ইস্যু করা ভিসাধারীরা এখনও চলাচল করছেন, তবে সংখ্যাটা খুবই কম। ফলে সরকারের রাজস্বেও বড় প্রভাব পড়ছে।”
স্থানীয়রা ও ব্যবসায়ীরা উভয়েই ভারতের হাইকমিশনের প্রতি দ্রুত ভিসা কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন।