| ২৮ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

সাপ্তাহিক ছুটি ও রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

সাপ্তাহিক ছুটি ও রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

সাপ্তাহিক ছুটি ও রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ৯ মে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং আজ ১০ মে শনিবার, রাখাইন সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি পেয়ে হাজারো ভ্রমণপিপাসু ছুটে এসেছেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই সৈকতের প্রতিটি অংশে দেখা গেছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ কেউ গরম উপেক্ষা করে সাগরের নোনা জলে গা ভাসিয়ে নিচ্ছেন প্রশান্তি, কেউবা উপভোগ করছেন সূর্যাস্তের অপার সৌন্দর্য। এদিন কুয়াকাটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পর্যটকদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে সৈকতসংলগ্ন ব্যবসা। যেমন ডাব, লেবুর শরবত, নানা ধরনের ঠান্ডা পানীয় খাবার বিক্রি করে ভালো লাভ করছেন স্থানীয় বিক্রেতারা। সেই সঙ্গে জমে উঠেছে হস্তশিল্প ও কুড়ানো শামুক-ঝিনুক বিক্রির দোকানগুলোও।
পর্যটকেরা শুধু সৈকতেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না; ঘুরে দেখছেন গঙ্গামতি, লেবুরবন, কাউয়ারচর, গঙ্গামতি লেক, মিশিপাড়া বৌদ্ধবিহার ও কুয়াকাটা বৌদ্ধমন্দিরসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজী জানান, কুয়াকাটায় প্রায় ২ শতাধিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ রুম ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে মোটামুটি ব্যাপক বুকিং হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সাপ্তাহিক ছুটি এবং রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায় এর বুদ্ধ পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে পর্যটকের চাপ থাকায় পর্যটন পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে এবং পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন।

আজ শনিবার, ১০ মে, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায় এর বুদ্ধ পূর্ণিমা। স্থানীয়রা মনে করছেন, এ রাখাইনদের ধর্মীয় কার্যক্রমকে ঘিরে পর্যটকদের আগমন আরও বাড়বে এবং কুয়াকাটার পর্যটন খাতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ, খুলনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

সাপ্তাহিক ছুটি ও রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে ফের উত্তাল খুলনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টা থেকে কেএমপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে খানজাহান আলী রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সম্প্রতি খানজাহান আলী থানা এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটক করে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ এই এসআই’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি তাদের। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেফতার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন থামেনি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, খুলনায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান রোধে প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে তারা দাবি করেন। সব অপরাধের দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। তা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। একই দাবিতে বিএনপিও আগে আল্টিমেটাম দেয়।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ঘিরে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

শ্যামনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দুধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

সাপ্তাহিক ছুটি ও রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভূরুলিয়া সোনামুগারী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, হরিনগর সাধু পাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, মুন্সিগঞ্জ ধানখালী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরের আয়োজনে শুক্রবার (২৭ জুন) শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রথটি বিকাল ৪ টায় গোপালপুর মন্দির থেকে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে টেনে নিয়ে নকিপুর হরিতল সার্বজনীন মন্দিরে রাখেন। নকিপুর হরিতলা থেকে একটি রথ টেনে ভক্তবৃন্দ বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রাখেন।

 

গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসবের পূর্বে মন্দির চত্তরে মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ কৃষ্ণ সখা দাস ব্রক্ষ্মচারীর সার্বিক পরিচালনায় আলোচনাসভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনাসভার মাঝে মাঝে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরের ভক্তবৃন্দ সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে প্রসাদও বিতরণ করা হয়।

সকল রথযাত্রা উৎসবে ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রথের দড়ি ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে নিয়ে যান গন্তব্য স্থলে।

সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

সাপ্তাহিক ছুটি ও রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জনগণের জানার অধিকার আছে—তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 

বিএনপি নেতার মতে, বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরোক্ষ বার্তা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জামায়াত স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন আগে চায়। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যও সেটিই। নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

×