| ২৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

“বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনুসের রূপরেখা: সংস্কার, উদ্ভাবন ও গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা”

“বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনুসের রূপরেখা: সংস্কার, উদ্ভাবন ও গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা”

“বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনুসের রূপরেখা: সংস্কার, উদ্ভাবন ও গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা”

সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কার

  • সংবিধান সংস্কার কমিশন: ২০২৪ সালের অক্টোবরে গঠিত এই কমিশন একটি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের জন্য কাজ করছে। প্রস্তাবিত সংবিধানে মৌলিক অধিকার, তথ্যের অধিকার, গোপনীয়তা, খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

  • জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ (NCC): এই প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের তিনটি শাখার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

  • নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন: নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.এম.এম. নাসির উদ্দিন। এই কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

  • জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এই কমিশন গঠিত হয়েছে।


 আইন-শৃঙ্খলা ও মানবাধিকার

  • অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া এই অভিযানটি শেখ হাসিনার সমর্থকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১১,০০০-এর বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  • মানবাধিকার রক্ষা: ড. ইউনুস গোপন আটক কেন্দ্র বন্ধ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন।


 প্রযুক্তি ও অবকাঠামো উন্নয়ন

  • Starlink ইন্টারনেট চুক্তি: SpaceX-এর সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়েও ইন্টারনেট সংযোগ বজায় রাখবে।

  • গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়: ২০২৫ সালে ঢাকার দিয়াবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত এই গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়টি সামাজিক ব্যবসা ও উদ্ভাবনী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেবে।


 জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

  • জলবায়ু ন্যায্যতা: জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ড. ইউনুস উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ প্রদান করে এবং দরিদ্র দেশগুলোর সঙ্গে “বাজারের মতো” দরকষাকষি না করে।

  • বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ: ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক বাংলাদেশে তাদের অর্থায়ন দ্বিগুণ করে ২ বিলিয়ন ইউরো করতে চায়, যা সবুজ জ্বালানি, নিরাপদ পানি, যোগাযোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবহৃত হবে। AP News


 নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা

  • জাতীয় নির্বাচন: ড. ইউনুস ঘোষণা দিয়েছেন যে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ, খুলনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

“বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনুসের রূপরেখা: সংস্কার, উদ্ভাবন ও গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা”

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে ফের উত্তাল খুলনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টা থেকে কেএমপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে খানজাহান আলী রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সম্প্রতি খানজাহান আলী থানা এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটক করে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ এই এসআই’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি তাদের। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেফতার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন থামেনি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, খুলনায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান রোধে প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে তারা দাবি করেন। সব অপরাধের দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। তা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। একই দাবিতে বিএনপিও আগে আল্টিমেটাম দেয়।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ঘিরে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

শ্যামনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দুধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

“বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনুসের রূপরেখা: সংস্কার, উদ্ভাবন ও গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা”

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভূরুলিয়া সোনামুগারী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, হরিনগর সাধু পাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, মুন্সিগঞ্জ ধানখালী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরের আয়োজনে শুক্রবার (২৭ জুন) শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রথটি বিকাল ৪ টায় গোপালপুর মন্দির থেকে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে টেনে নিয়ে নকিপুর হরিতল সার্বজনীন মন্দিরে রাখেন। নকিপুর হরিতলা থেকে একটি রথ টেনে ভক্তবৃন্দ বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রাখেন।

 

গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসবের পূর্বে মন্দির চত্তরে মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ কৃষ্ণ সখা দাস ব্রক্ষ্মচারীর সার্বিক পরিচালনায় আলোচনাসভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনাসভার মাঝে মাঝে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরের ভক্তবৃন্দ সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে প্রসাদও বিতরণ করা হয়।

সকল রথযাত্রা উৎসবে ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রথের দড়ি ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে নিয়ে যান গন্তব্য স্থলে।

সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

“বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনুসের রূপরেখা: সংস্কার, উদ্ভাবন ও গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জনগণের জানার অধিকার আছে—তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 

বিএনপি নেতার মতে, বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরোক্ষ বার্তা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জামায়াত স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন আগে চায়। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যও সেটিই। নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

×