| ৬ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিপাকে

সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিপাকে

সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিপাকে
‎ঘটকের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও মিলছে না শিউলি আক্তার পিংকির ২ মাসের কন্যা সন্তানের স্বীকৃতি ও স্ত্রীর অধিকার। দক্ষিণ ধামারণ এর সোবহান শেখের ছেলে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন শেখ তোয়াক্কা করেন না চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের। স্ত্রী-সন্তানের অধিকার ক্ষুন্ন করে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। এ বিষয়ে রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে টঙ্গীবাড়ি থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন ভুক্তভোগী পিংকি যার জিডি নং-১১১৫।

‎ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ মে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার আড়িয়ল দক্ষিণ কুরমিরার দরিদ্র বাবুল সাজীর মেয়ে শিউলী আক্তার পিংকি (৩১) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই থানার ‎অন্তর্গত কাঠাদিয়া-শিমুলিয়ার দক্ষিণ ধামারন গ্রামের সোবহান শেখের ছেলে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন শেখ (৪৬) এর সাথে। এটি পিংকির দ্বিতীয় বিয়ে হলেও জাকিরের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে প্রবাসী এক ছেলের সাথে টেলিফোনে পিংকির বিয়ে হলেও তা আর সংসার জীবনে গড়ায়নি। তবে জাকির শেখ এর আগে ২টি বিয়ে করে এবং তার পূর্বের সংসারের ২টি ছেলে মেয়ে রয়েছে।

‎ভুক্তভোগি পিংকির অভিযোগ- বিয়ের শুরুর ১ মাস সবাই আমার সাথে ভাল ব্যবহার করলেও যখন আমি গর্ভবতি হই, তখন থেকেই জাকির ও তার ছোট বোন ছানোয়ারা আক্তার(৩৫) এবং আগের সংসারের ২ ছেলেমেয়ে সহ পরিবারের সবাই দিন রাত আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং মারধর সহ আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। যা সইতে না পেরে এক পর্যায়ে আমি এক কাপরে বাবার বাড়ি চলে আসি।

‎পিংকির অভিযোগ- মূলত আমার স্বামীর আগের ঘরের ২টি সন্তান থাকা সত্ত্বেও কেনো আমি নিজে সন্তান নিলাম, এটাই ছিল আমার একমাত্র অপরাধ। এমনকি এই সন্তানটি অবৈধভাবে গর্ভপাত করানোর জন্যও আমার স্বামী ও তার বোন আমাকে জোড় করে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সব শেষে ৪ মাসের গর্ভাবস্থায় এসব অত্যাচার সইতে না পেরে আমি বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেই। তখন জাকির আমাকে হুমকি দিয়েছিল ভবিষ্যতে যেনো এই সন্তানের পিতৃপরিচয় না চাই। আমার সন্তান ও আমাকে সে জানে মেরে ফেলার অশংকা করছেন। জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং শভা সাথে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। তাই তার ও শিশু কন্যার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে টঙ্গীবাড়ি থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন তিনি।

এ বিষয় একাধিক বিবাহকারী স্বামী জাকির হোসেন শেখের সেল ফোন ০১৭৬৬২৮০xxx নাম্বারে একাধিক ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।

‎এদিকে টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, জিডির বিষয়টি তদন্ত করে ভুক্তভোগি ও তার শিশু সন্তানের আইনগত অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়টি দেখা হবে।

নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস: এনসিপির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের তীব্র অভিযোগ

সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিপাকে

জাতীয় পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কক্সবাজার সফরের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস করা হয়েছে, যা একেবারে প্রাইভেসি লঙ্ঘন এবং গোপনীয়তার কঠোর অবমাননা। তারা বলছেন, এই ধরনের ফুটেজ ফাঁসের ফলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে।

 

মঙ্গলবার তারা ইনানীর রয়্যাল টিউলিপ সী পার্লে হোটেলে অবস্থান করছিলেন, যেখানে তাদের অবস্থান নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারির মধ্যে ছিল। কিন্তু গোপনীয়ভাবে তোলা সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এনসিপি নেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন।

 

এনসিপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, “আমাদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

 

এদিকে, এই ঘটনায় উখিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন এমন গোপন ফুটেজ ফাঁসের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

 

পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে এখনও এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের তথ্য ফাঁস রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তেজিত করতে পারে এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করে।

হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বামদের বর্ণচোরা ষড়যন্ত্র: অভিযোগ ঢাবি শিবির সভাপতির

সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিপাকে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ছাত্রশিবিরের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো বর্ণচোরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

 

ফরহাদ বলেন,

আজকের মব সৃষ্টির ফ্রেমিংটা ১৯৭১ বনাম ২০২৪ নয়। বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দাঁড় করিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা। শাহবাগ ও বাকশালকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি আরও বলেন,

আমরা শাহবাগ ও বাকশালের বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনো আছি। সামনে আবার এ ধরনের ষড়যন্ত্র হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।

শিবির সভাপতি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসন টিকিয়ে রাখতে বাম সংগঠনগুলো নানা তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন,

মতিউর রহমান নিজামীসহ অন্যদের ফাঁসির আদেশ ছিল বিচারিক হত্যাকাণ্ড। এর দায় শুধু শেখ হাসিনার নয়, শাহবাগের ফ্যাসিবাদীদের দোসরদেরও।

এ সময় তিনি দাবি করেন,

যারা টিএসসিতে বিক্ষোভ করেছে, তারা সবাই বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের পদধারী। ১০-১২টি সংগঠন থেকে মাত্র ২০-২৫ জন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।

এর আগে ঢাবির টিএসসিতে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবির আয়োজন করেছিল তিনদিনব্যাপী কর্মসূচি ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’। এ আয়োজনে জামায়াত নেতা গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ কয়েকজনের ছবি রাখা হয়েছিল। বামপন্থী সংগঠনগুলোর তীব্র আপত্তির মুখে সেসব ছবি সরিয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শিবির ও বাম সংগঠনগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ হয়।

বজ্রপাতরোধে শ্যামনগরে সড়কের পাশে তালের চারা রোপন

সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিপাকে

ছবি- শ্যামনগরে গ্রামীন সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রণী খাতুন।

সোমবার(৪ আগষ্ট) বিকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বজ্রপাতরোধে গ্রামীণ সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করা হয়।

শ্যামনগর পৌরসভা সদরের কালমেঘা ও হাটছোলা গ্রামীণ সড়কে তালের চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা ঃ রণী খাতুন।

 

উদ্বোধনকালে তিনি বলেন তালগাছ বজ্রপাত নিরোধক। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর অসংখ্যা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে। তিনি এলাকাবাসীকে রোপনকৃত চারা বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি সেখান থেকে নানা মুখি সুবিধা গ্রহণের আহব্বান জানান।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কাজী আরিফুল হক, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন,এস এম আহসান উল্যা, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুম বিল্যা স্থানীয় কৃষকবৃন্দ প্রমুখ।

 

জানা যায় খরিপ-২ এর কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় দুটি সড়কের পাশে দুই শতটি করে তালের চারা রোপন করা হয়েছে।

×