| ৪ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

নলছিটিতে গাঁজা চাষের অভিযোগে দুই যুবক গ্রেফতারঃ ১৪টি গাঁজা গাছ উদ্ধার

নলছিটিতে গাঁজা চাষের অভিযোগে দুই যুবক গ্রেফতারঃ ১৪টি গাঁজা গাছ উদ্ধার

নলছিটিতে গাঁজা চাষের অভিযোগে দুই যুবক গ্রেফতারঃ ১৪টি গাঁজা গাছ উদ্ধার

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার একটি শান্তিপূর্ণ গ্রাম ফুলহরিতে হঠাৎই তোলপাড়। গাঁজা চাষের অভিযোগে ওই গ্রামের দুই তরুণ—জুয়েল হাওলাদার (৩২) ও হৃদয় মোল্লা (১৯)—কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে ফুলহরি গ্রামে তাদের নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে এই গ্রেফতার কার্যকর করা হয়।

ডিবি পুলিশ জানায়, গোপন এক সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, গ্রামের একাংশে গোপনে গাঁজা চাষ করা হচ্ছে। এরপরই ফুলহরি গ্রামের জুয়েল ও হৃদয়ের বাড়ির চারপাশে নজরদারি শুরু হয়। রাতে পরিচালিত অভিযানে বসতবাড়ির দক্ষিণ পাশে, পুকুরপাড় ঘেঁষে থাকা ভুট্টা ক্ষেতের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় নানা উচ্চতার মোট ১৪টি গাঁজা গাছ।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুবর্ণ চন্দ্র দে। তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে তথ্য যাচাই করে দেখছিলাম। অবশেষে নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছসহ দুজনকে গ্রেফতার করি। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

ঘটনার পর থেকেই পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, ফুলহরি গ্রামের মতো একটি শান্ত ও কৃষিনির্ভর এলাকায় এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের খবর সত্যিই দুঃখজনক। অনেকে ভাবতেও পারছেন না যে, পরিচিত মুখগুলোর মধ্যেই এমন কেউ লুকিয়ে ছিল, যারা মাদকের সঙ্গে যুক্ত।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে এবং যেকোনো মূল্যে মাদক চক্রের শিকড় উপড়ে ফেলা হবে।

গ্রেফতার দুই যুবকের একজনের বয়স ৩২, অপরজনের ১৯

উদ্ধার করা গাঁজা গাছের সংখ্যা ১৪টি

গাঁজা গাছগুলো ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে লুকানো ছিল

ডিবি পুলিশের তথ্যভিত্তিক অভিযান

মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। কারণ, অপরাধী যত চতুরই হোক, আইনের হাত থেকে কেউই রেহাই পায় না।

বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা বলায় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতার তীব্র প্রতিবাদ

নলছিটিতে গাঁজা চাষের অভিযোগে দুই যুবক গ্রেফতারঃ ১৪টি গাঁজা গাছ উদ্ধার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ছবি-সংগৃহীত

দিল্লি পুলিশের একটি চিঠিতে বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ হিসেবে উল্লেখ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনাকে “অপমানজনক, দেশদ্রোহী এবং অসাংবিধানিক” হিসেবে আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত দিল্লির চানক্যপুরী থানার অধীন লোদি কলোনির এক তদন্ত কর্মকর্তার লেখা চিঠি থেকে। আটজন বাংলাদেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের পর দিল্লির বঙ্গ ভবনের অফিসার ইন চার্জের কাছে “বাংলাদেশি জাতীয় ভাষা”-র অনুবাদক চেয়ে পাঠানো হয় চিঠিটি। বঙ্গ ভবন হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দিল্লিস্থ সরকারি অতিথি ভবন।

রবিবার (৩ আগস্ট) সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)-এর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে বিতর্কিত চিঠিটি প্রকাশ করা হলে বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পোস্টে লেখেন,

“দেখুন কীভাবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলছে!”

তিনি আরও লেখেন,

“বাংলা শুধু আমার মাতৃভাষা নয়, এটাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বামী বিবেকানন্দের ভাষা। এই ভাষাতেই রচিত হয়েছে ভারতের জাতীয় সংগীত ‘জন গণ মন’ এবং জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’। কোটি কোটি ভারতীয়র মাতৃভাষা বাংলা—এই ভাষাকে এখন ‘‘বাংলাদেশি ভাষা’’ বলা হচ্ছে!”

মমতা এই ঘটনাকে “কেলেঙ্কারিপূর্ণ” আখ্যা দিয়ে বলেন,

“এটি দেশের সমস্ত বাংলাভাষী মানুষকে অপমান করার সামিল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দেশের প্রতিটি নাগরিককে এই ভাষা-অপমানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।”

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তৃণমূলের শীর্ষ নেতারাও। দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কুনাল ঘোষ এবং ব্রাত্য বসুসহ অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জুলাই গণহ’ত্যা মা’ম’লা: শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ ট্রাইব্যুনালে

নলছিটিতে গাঁজা চাষের অভিযোগে দুই যুবক গ্রেফতারঃ ১৪টি গাঁজা গাছ উদ্ধার

শেখ হাসিনা : ছবি-সংগৃহীত

জুলাই গণহত্যা মামলায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মামলাটির মূল অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে।

এর আগে, গতকাল মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তারা শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

গতকালই জুলাই অভ্যুত্থানে আহত খোকন চন্দ্র বর্মনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তিনি শেখ হাসিনাকে ‘জুলাই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং বিভীষিকাময় ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

বর্তমানে শেখ হাসিনা ও কামাল পলাতক থাকলেও মামুন কারাগারে আটক রয়েছেন।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়মে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নলছিটিতে গাঁজা চাষের অভিযোগে দুই যুবক গ্রেফতারঃ ১৪টি গাঁজা গাছ উদ্ধার

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

×