| ৮ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোগ— ছোট পরিসরে যাত্রা শুরুর পথে নির্বাচন কমিশন

প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোগ— ছোট পরিসরে যাত্রা শুরুর পথে নির্বাচন কমিশন

প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোগ— ছোট পরিসরে যাত্রা শুরুর পথে নির্বাচন কমিশন

দেশের বাইরে থাকা লাখো বাংলাদেশি নাগরিকের ভোটাধিকার এখন আর কেবল স্বপ্ন নয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং বা প্রক্সি ভোটিং—যে কোনো একটি বাস্তবসম্মত পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভোটের সুযোগ তৈরির পরিকল্পনা করছে ইসি।

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা চাচ্ছি এবার অন্তত শুরুটা হোক। ছোট পরিসরে হলেও যাত্রা শুরু করা জরুরি। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন ছাড়া আমাদের সব চেষ্টা নিরর্থক হয়ে যাবে।”

সেই সেমিনারে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি-সহ অন্তত ২১টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সিইসি বলেন, “আপনাদের উপস্থিতি আমাদের আশাবাদী করে। আমরা বিশ্বাস করি—নির্বাচন কমিশনের সব উদ্যোগে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

সিইসি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রবাসীদের ভোটের বিষয়টি তাঁদের অগ্রাধিকারের শীর্ষে ছিল। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে শুধু আমরা নয়, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি—প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের ভোটাধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এমনকি দেশের রাজনৈতিক নেতারাও এই ইস্যুতে সোচ্চার।”

তিনি আরও বলেন, “প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে যেভাবে অবদান রাখছেন, তেমনভাবেই দেশের গণতন্ত্রে অংশগ্রহণের সুযোগও তাদের প্রাপ্য। আমাদের কাজ হচ্ছে সেই পথটা তৈরি করা।”

নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে কয়েক মাস ধরে এই বিষয় নিয়ে গবেষণা ও পর্যালোচনা চালিয়েছেন বলে জানান সিইসি। “তারা আমাদের নানা ধরনের বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা, রাজনৈতিক পরিবেশ এবং শিক্ষার স্তর বিবেচনায় রেখেই আমরা এগোচ্ছি,”—বলেন তিনি।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন। সিইসি বলেন, “আমরা যত পরিকল্পনা করি, যত পরিশ্রমই করি—দলগুলোর সমর্থন না থাকলে সব কিছুই ব্যর্থ হয়ে যাবে।”

প্রবাসী ভোটিং চালুর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো, খরচ এবং জনআস্থার বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এগোনো হবে বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে অংশগ্রহণকারী সবার কাছে লিখিত মতামতও চেয়েছেন তিনি, যাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আরও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

সিইসি তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশ এই ধরনের ভোটিং ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছে। কেউ সফল হয়েছে, কেউ পারেনি। আমরা সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই চাই অন্তত শুরু হোক। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।”

এই উদ্যোগ শুধু একটি নতুন দিগন্তের সূচনা নয়, এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণের পথে বাস্তব পদক্ষেপ। দেশের গণতন্ত্রকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত একটি বড় অগ্রগতি—এই বার্তাই যেন দিতে চাইলেন দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

 

 

মেটা-বর্ণনা (Meta Description):

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সীমিত আকারে অনলাইন বা পোস্টাল ব্যালট চালুর পরিকল্পনা করছে। সিইসি জানালেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন ছাড়া সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে

শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোগ— ছোট পরিসরে যাত্রা শুরুর পথে নির্বাচন কমিশন

শ্যামনগরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে বক্তব্য রাখছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার(৭ আগষ্ট) বেলা ১২টায় ঊপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ওরিয়েন্টেশনে টাইফয়েড টিকাদান গ্রহণের বয়স, পদ্ধতি, শিক্ষকদের ভূমিকা, শিক্ষার্থীদের করণীয়, টিকাদান গ্রহনে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান ও ডাবলুএইচও এর মেডিকেল অফিসার মোঃ রাশেদ উদ্দীন মৃধা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমান, শ্যামনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান মিঠু, শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্টানে উপজেলার মাধ্যমিক,প্রাথমিক ও মাদ্রাসার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। বয়স ৯ মাস থেকে ১৫ বছর/৯ম শ্রেণি পর্যন্ত। সম্পূর্ণ ফ্রিতে সকল শিশু টিকা পাবেন। স্কুলে ও স্থানীয় ইউপিআই সেন্টারে টিকাদান কেন্দ্র হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে। শ্যামনগর উপজেলায় টাইফয়েড টিকাদান শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৫৭ হাজার ৫৫৭ জন শিশু।

যে যত কথাই বলুক, জামায়াত-এনসিপি ক্ষমতায় আসবে না— মাসুদ কামাল

প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোগ— ছোট পরিসরে যাত্রা শুরুর পথে নির্বাচন কমিশন

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, যে যত কথাই বলুক না কেন, জামায়াত ও এনসিপি কখনোই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, প্রশাসনের ভেতরে জামায়াত-বিএনপি এখনও সমানভাবে সক্রিয়। এনসিপির অবস্থানও দিন দিন বাড়ছে—তদবিরের জোরে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র তদবির করে কিংবা প্রশাসনে ঢুকে কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না।

 

মাসুদ কামাল আরও বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তখন জামায়াতের কেউ থাকলেও এনসিপির কোনো নেতা কি সচিবালয়ে গিয়ে ধমক দিতে পারবে? না, পারবেন না। এই যে এখন তারা যেভাবে উপভোগ করছে, সেটা তখন আর হবে না। জামায়াতের সংগঠন আছে, একটা শক্ত ভিত্তি আছে। কিন্তু এনসিপির কী আছে? শুধু ড. ইউনূস আছেন।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা আজ সচিবালয়ে ঢুকতে পারে না, অথচ এনসিপি কিংবা বৈষম্যবিরোধী সংগঠনের নেতারা দিব্যি ঢুকে পড়ছেন। এসব কীভাবে হয়? কেউ যাতে এই বৈষম্য বা অনিয়ম প্রকাশ না করে, সে জন্য সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে মাসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখনো এমন কোনো পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি যে তারা জামায়াত কিংবা এনসিপিকে ক্ষমতায় বসাবে। সুতরাং যত বড় কথাই বলা হোক, তিন মাস, ছয় মাস বা তিন বছর—এরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

 

সবশেষে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ছবি টাঙানোর সাহস তারা পাচ্ছে এখন যেভাবে ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছে বলেই। কিন্তু যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের সেই সুযোগ থাকবে না। এখন জামায়াতের লোকজন যেসব জায়গায় বসে আছে—বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে—সবই এক সময় চলে যাবে।

ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: নির্বাচন কমিশনার

প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোগ— ছোট পরিসরে যাত্রা শুরুর পথে নির্বাচন কমিশন

আগামী ডিসেম্বরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।

রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ভোটারদের জন্য ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রবাসী ভোটারদের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাদের জন্য ভোট গ্রহণে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট আসনে পোস্টাল ব্যালট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হবে। কারণ, শুধু এক লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য খরচ হতে পারে ৬-৭ কোটি টাকা।

ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তারা চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন।

পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সানাউল্লাহ জানান, এই ব্যালটে প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু প্রতীক থাকবে। এতে সময় বাঁচবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।

রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া, দেশে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

×