
কক্সবাজারে কাজের খোঁজে গিয়ে অপহৃত সিলেটের ৫ শ্রমিক
কক্সবাজারে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পাঁচজন শ্রমিক নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবার বলছে, গত ১২ এপ্রিল তাঁরা বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ পাওয়া মোবাইল লোকেশন বলছে, তাঁরা মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন দমদমিয়া এলাকার দিকে অবস্থান করছিলেন, যা দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচার চক্রের জন্য কুখ্যাত।
নিখোঁজদের পরিবার সোমবার রাতেই উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। নিখোঁজ একজন শ্রমিকের ভাই বলেন, “ওরা সোজা কাজের জন্যই গিয়েছিল, কিন্তু এখন এমন অবস্থায় পড়ে গেছে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।”
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে দমদমিয়া এলাকা শনাক্ত করা গেছে। এই অঞ্চলটি মানব পাচারকারীদের জন্য পরিচিত। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।”
নিখোঁজরা সবাই পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং আগে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের পরিবার বলছে, ১২ এপ্রিল সকালবেলা তারা সিলেট থেকে রওনা দিয়ে ১৩ এপ্রিল কক্সবাজার পৌঁছান এবং সেদিন দুপুরে পরিবারের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনে কথা হয়। এরপর থেকে কারও মোবাইল চালু নেই।
নিখোঁজ ৫ জন হলেন – গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বাবুল মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (২৫), লতিফ মিয়ার ছেলে সোহেল আহমদ (২২), মৃত আবদুল জলিলের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০), নাসির উদ্দিনের ছেলে তৌফিক আহমদ (১৮), ও মতিন মিয়ার ছেলে জাবেদ হোসেন (২৪)।
নিখোঁজ হাবিবুরের বড় ভাই শামীম আহমদ বলেন, “আমার ভাই কক্সবাজারে আগেও কাজ করেছে, কিন্তু এবার যে এলাকায় ওদের লোকেশন মিলেছে, সেটা খুবই বিপজ্জনক জায়গা। আমরা চাই দ্রুত ওদের উদ্ধারে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় কয়েক বছর ধরেই মানব পাচার চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে জানান একাধিক সূত্র