| ৪ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

ভুট্টার হলুদ আভায় ঝলমল বালিয়াকান্দির কৃষকের উঠান

ভুট্টার হলুদ আভায় ঝলমল বালিয়াকান্দির কৃষকের উঠান

ভুট্টার হলুদ আভায় ঝলমল বালিয়াকান্দির কৃষকের উঠান

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। পুরো বালিয়াকান্দি উপজেলায় এবার কয়েক জাতের ভুট্টা লাগিয়েছে চাষিরা। যেমন- পাঠান, মহাজাদু, রকেট,জমিদার, শাহিন শাহ,সহ অনেক জাতের ভুট্টার আবাদ করেছে কৃষক।

আবহাওয়া অনুকূল ঘাটতি থাকায়, ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে কিছু কৃষকের ।

বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় গত বছর ২ শত কিছু বেশি হেক্টর জমিতে ভুট্টা হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এবার অতিরিক্ত ৩৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। এই বছর আগের কয়েক বছরগুলোর তুলনায় বেশি ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা।

ভুট্টার হলুদ আভায় ঝলমল বালিয়াকান্দির কৃষকের উঠান

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ ফেরদৌস মন্ডল, বিল্লাল হোসেন, আবুল কাশেম মন্ডল, ইছাহক আলী জানান, বিগত কয়েক বছরে ভুট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় এ বছর অনেক অঞ্চলের চাষিরা দিন দিন ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। আমরা কেউ কেউ গত বছর পরীক্ষামুলক ভুট্টা চাষ করি। ১ পাখি, দেড় পাখি করে। তবে এই চাষ লাভবান হওয়ায় এবছরে ৫ পাখি ৭ পাখি ভুট্টা চাষ করেছি। আলহামদুলিল্লা অনেক ভালো ফলন পেয়েছি। এতে আমরা অনেক খুশি। এ ছাড়া মাঠে যেসকল জায়গা পরিত্যাক্ত পড়ে ছিলো সেসব জায়গাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক হারে ভুট্টা আবাদ হয়েছে।

উপজেলার নবাবপুর, জঙ্গল, জামালপুর, বহরপুর ইউনিয়নের ভুট্টা চাষিরা বলেন, আগে এই এলাকায় গম, কাউন,চীনা, ধান, মিষ্টি কুমড়া, হলুদ, মরিচ ও পাট চাষ বেশি হতো, কিন্তু এবার ভট্টা চাষ বেশি হওয়ার কারনে দামও কম।

বহরপুরের কৃষক মোঃ লালন সর্দার জানায়, ১ বিঘায় ভুট্টা তোলা পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়, এবং ভুট্টা বিক্রি হলে ৩৩ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আসে প্রতি বিঘায়।

এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানায়, গত মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৩৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষমাত্রা পূরণ করে এবছরে বালিয়াকান্দি উপজেলায ৩৫০ হেক্টর জমিতেই ভুট্টা আবাদ করা হয়েছে। কৃষকদের লাভ ও আগ্রহের কারণে এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানায়, এবছরে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ৮০ জন কৃষককে ভুট্টার প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ভুট্টা চাষ করার জন্য ১ কেজি করে উন্নত জাতের ভুট্টার বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি মোট ১ হাজার ৬ শত কেজি ও এমওপি ১০ কেজি করে মোট ৮ শত কেজি প্রদান করা হয়েছে। ভুট্টা করার শুরু থেকে চার থেকে পাঁচবার পানি দিতে হয় এবং তিন থেকে চারবার সার দিতে হয়। কৃষক অনেক যত্ন সহকারে ভুট্টার আবাদ করায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় প্রান্তিক কৃষকের মুখে হাঁসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।

সুন্দরবন রক্ষায় নারীর অংশগ্রহণে বিকল্প জীবিকার উদ্যোগ

ভুট্টার হলুদ আভায় ঝলমল বালিয়াকান্দির কৃষকের উঠান

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনায় লিডার্সের আয়োজনে বৃহস্পতিবার(৩ জুলাই) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা হলরুমে অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল ১০ জন নারীকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বিভিন্ন ট্রেডে বিকল্প জীবিকায় সহায়তা হিসাবে মাথা পিছু ১০ হাজার করে মোট ১ লক্ষ টকার চেক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন। তিনি বলেন, এই ধরণের উদ্যোগ শুধু নারীর ক্ষমতায়ন নয়, বরং পরিবেশ রক্ষায়ও একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। স্থানীয় নারীদের সম্পৃক্ততা সুন্দরবন রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লিডার্সের ব্লু কার্বন প্রকল্পের টিম লিডার রেখা খাতুন। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, টেকসই উন্নয়নের জন্য সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীকে বিকল্প জীবিকা এবং সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এই নারীরা এখন শুধু উপার্জনের পথেই হাঁটছেন না, তারা পরিবেশ সংরক্ষণের অংশীদারও হয়ে উঠছেন।

কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত নারীদের মাছ চাষ, কাঁকড়া চাষ, জৈব সার তৈরি, সবজি চাষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসার মতো পরিবেশবান্ধব ট্রেডে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা পূর্বে প্রদান করা হয়েছে। জানা যায় পরবর্তীতে তাদের বিকল্প জীবিকায় আরও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে।

ছবি- শ্যামনগরে সুন্দরবন রক্ষায় নারীর অংশগ্রহণে বিকল্প জীবিকার উদ্যোগ স্বরুপ অর্থ সহায়তার চেক প্রদান করছেন ইউএনও রণী খাতুন।

সড়ক দুর্ঘটনায় লিভারপুল ফরোয়ার্ড দিয়েগো জোতার মৃ’ত্যু

ভুট্টার হলুদ আভায় ঝলমল বালিয়াকান্দির কৃষকের উঠান

দিয়েগো জোতা : ছবি-সংগৃহীত

লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়েগো জোতা (২৮) স্পেনে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে স্পেনে মহাসড়কে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আগুন ধরে গেলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি ও তার ভাই। খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা।

জোতার জন্ম পর্তুগালের পোর্তোয়। পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করেন পাসোস দে ফেরেইরাতে। এরপর খেলেছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও উলভারহ্যাম্পটনের হয়ে। লিভারপুলে যোগ দিয়ে জিতেছেন এফএ কাপ, লিগ কাপ এবং সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা।

পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়েও বড় অবদান রয়েছে জোতার। ২০১৯ ও ২০২৫ সালে উয়েফা নেশন্স লিগ শিরোপা জয় করেছেন তিনি। হঠাৎ এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে লিভারপুল শিবির ও ফুটবল বিশ্বে।

দেব-রুক্মিণীকে ঘিরে গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন দেব বলিউডের দিকেই নজর!

ভুট্টার হলুদ আভায় ঝলমল বালিয়াকান্দির কৃষকের উঠান

টলিউডের জনপ্রিয় জুটি দেব ও রুক্মিণী মৈত্রকে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জনের শেষ নেই। সম্প্রতি নিন্দুকরা দাবি তুলেছিলেন, দীর্ঘ ১২ বছরের সম্পর্ক নাকি ভাঙনের পথে! তবে এই গুঞ্জনে জল ঢেলে সুপারস্টার দেব স্পষ্ট জানালেন, সম্পর্ক নিয়ে তাঁকে কোনও কৈফিয়ত দিতে হবে না।

দেব বলেন, ‘গত ১২ বছর ধরে সম্পর্কে আছি, কখনও তা নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করিনি। এখন কেন উত্তর দিতে হবে? কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না!’

তবে এখানেই থেমে থাকেননি দেব। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এবার রুক্মিণীর সঙ্গে মুম্বাইতেই নিজের ঠিকানা খুঁজছেন তিনি। মুম্বাইয়ে বাড়ি কেনার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন এই অভিনেতা।

দেবের ভাষায়, ‘মুম্বাই থেকে প্রচুর কাজের অফার আসছে। মাসে অন্তত ১০ দিন ওখানে থাকতে হয়। সিনেমার ডাবিং, কালার কারেকশন, মিউজিক রাইটস—সবই এখন মুম্বাই কেন্দ্রীক। হোটেলে থাকতে খরচ বেশি, তাই নিজের ফ্ল্যাট কিনতে চাই।’

এদিকে প্রেমিকা রুক্মিণীও নাকি অনেক দিন ধরেই মুম্বাইয়ে শিফট করতে চাইছেন। দেব বলেন, ‘রুক্মিণী জাতীয় স্তরের অভিনেত্রী, ওর মুম্বাইতে কাজ করা উচিত। একা সাহস পাচ্ছিল না, তাই এবার আমি-ও পাশে থাকছি।’

প্রসঙ্গত, টলিউডের টোটা রায়চৌধুরি, যিশু সেনগুপ্ত বা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দেবও এবার বলিউডের দিকেই পা বাড়াচ্ছেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সব মিলিয়ে দেব-রুক্মিণী জুটিকে ঘিরে ভক্তদের প্রত্যাশা এবার নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

×