| ৬ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

কেয়ারীঘাটে অগ্নিকাণ্ড: নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি’র সহযোগিতা

কেয়ারীঘাটে অগ্নিকাণ্ড: নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি’র সহযোগিতা

কেয়ারীঘাটে অগ্নিকাণ্ড: নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি’র সহযোগিতা

টেকনাফের দমদমিয়া কেয়ারীঘাট সংলগ্ন ট্যুরিস্ট স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

(১৮ এপ্রিল) রাত আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কেয়ারীঘাট এলাকায় ট্যুরিস্ট কোম্পানীর বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন জলতে দেখতে পেয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান তাৎক্ষনিক গাড়ি থামিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ, স্থাপনায় আসবাবপত্র বের করতে গিয়ে আটকে পড়া ২-৩ জনকে উদ্ধার এবং দমদমিয়া বিওপি হতে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করেন।

এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করে স্থানীয় জনবসতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়া থেকে প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হয়।

টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেওয়া হলে ফায়ার সার্ভিস ঘটস্থলে উপস্থিত হয়ে বিজিবি সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মেইন স্টোর এর আগুন প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

বিজিবি’র তৎপরতায় কোন প্রকার প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

এছাড়াও বিজিবি কর্তৃক স্থাপনার বিভিন্ন মালামাল ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয় এবং উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। আগুনের সুত্রপাত কোথায় থেকে তা এখনো জানা যায়নি

পটুয়াখালী ভার্সিটির, রিজেন্ট বোর্ডের নতুন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ এর মনোনয়ন।

কেয়ারীঘাটে অগ্নিকাণ্ড: নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি’র সহযোগিতা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ডের নতুন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদকে মনোনীত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১-এর ১৮(১)(এ) ধারা অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৩তম সভার সুপারিশক্রমে, ভাইস-চ্যান্সেলরের ক্ষমতাবলে তাঁকে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া পদে ৪ আগস্ট ২০২৫ থেকে আগামী তিন বছরের জন্য অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদকে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।

ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পএের মাধ্যমে এ নিয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। নবনিযুক্ত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ বলেন, পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়া আমার জন্য এক বিরাট সম্মানের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে গঠনমূলক অবদান রাখতে পারব। শিক্ষা, গবেষণা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব এবং এ দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এ উপলক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ একজন মেধাবী, অভিজ্ঞ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক। তাঁর একাডেমিক দক্ষতা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রিজেন্ট বোর্ডের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমরা আশা করি, তাঁর যোগদান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য আরও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

পবিপ্রবি পরিবার নবনিযুক্ত রিজেন্ট বোর্ড সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাঁর দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছে।

সাতক্ষীরায় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে গবেষণা

কেয়ারীঘাটে অগ্নিকাণ্ড: নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি’র সহযোগিতা

সাতক্ষীরায় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে গবেষণা

সাতক্ষীরার উপকূলীয় জনপদে কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এমন তথ্য উঠে এসেছে এক অনুসন্ধানে।

জেলার শ্যামনগর উপজেলার ১৪টি গ্রামের ৩১ জন কৃষকের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই গবেষণাটি পরিচালনা করে বেসরকারি উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক)।

বুধবার (০৬ আগস্ট ২০২৫) বেলা ১১টায় শ্যামনগর প্রেসক্লাব হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষকরা জানান, প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনে কীটনাশকের ব্যবহার এখন বাস্তবতা হলেও এর অন্ধ ও অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং আর্থ-সামাজিক কাঠামোয় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এই অঞ্চলের কৃষকদের উপর পরিচালিত অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষায় আমরা পেয়েছি কীটনাশক ব্যবহারের কারণ, উৎস, পদ্ধতি, স্বাস্থ্যঝুঁকি, পরিবেশগত ক্ষতি এবং আর্থিক বিপর্যয়ের একটি উদ্বেগজনক চিত্র।

 

বারসিক উপকূলীয় অঞ্চলের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার এর সভাপতিত্বে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন বারসিকের কর্মসূচী কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, কীটনাশক ব্যবহারের কারণ ও উৎস খুজঁতে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি ধান ও সবজি ফসলে মাজরা পোকা, লেদা পোকা, জাব পোকা, ছিদ্রকারী পোকা এবং বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগ দমনের লক্ষ্যে কীটনাশকের ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রচলিত কীটনাশক হিসেবে কৃষকরা এসাটপ, কট, ভিত্তাক, এ্যমিস্টার টব, ডেল এক্সপার্ট, ইনসিপিও, তুবা, সাম, তালাফ, গম বিষ, কালো গুড়া বিষ, সবিক্রম, এন্টাকল, ক্যারাটে, তাসলা, ফোলিকুর, জোয়াস, রিপকট, জাহিম, (ফার্মকট, মিমটক্স, কনজাপ্লাস, বাইফোরান, কারবেন্ডাজীম+ম্যানকোজেব, মর্টার- এই গুলো সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ) এগুলো ব্যবহার করে আসছে।

 

শ্যামনগরের বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যবহারকারীর পরিচয় ও মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা বলছে, কৃষকরা নিজেরাই এসব কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। কৃষক নজরুল ইসলাম, আজিজেল কয়াল, গহর কয়াল, গোপাল মন্ডল, উত্তম মন্ডল, কেনা মন্ডল, প্রভাস মন্ডল, কওছার প্রমুখ কৃষকগণ প্রায় সবাই সরাসরি স্প্রে কাজে অংশ নিয়েছেন। সরাসরি কীটনাশক স্প্রে করার ফলে এসব কৃষকদের চোখে চুলকানি, ছানি, ঝাপসা দেখা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, হাত-পা ঝিনঝিন করা, শারীরিক দুর্বলতা, চর্মরোগ ও লিভারের জটিলতা দেখা দিয়েছে।

 

শুধু শারীরিক অসুস্থতা নয় এসব কৃষকরা আবার অর্থনৈতিক ভাবেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোন কোন কৃষকের চিকিৎসার ব্যয় ৮০০ টাকা থেকে ৯০,০০০ টাকা পর্যন্ত গড়িয়েছে। অধিকাংশ পরিবারই নিজস্ব সঞ্চয় ও আত্মীয়দের সহায়তায় চিকিৎসা খরচ চালিয়েছেন। অনেকেই এখনো চিকিৎসাধীন। আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশ ও প্রাণিজগতের ক্ষতি হিসেবে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ফসলি জমিতে বিষক্রিয়ার কারণে লাউ, বেগুন ইত্যাদি ফসলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুকুরের মাছ মারা গেছে। বাসাবাড়িতে তেলাপোকা মারতে গিয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হয়েছেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক মো. নজরুল ইসলাম, মো. খলিল গাজী, বারসিক এর কর্মসূচী কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিলন, যুব সংগঠক স.ম ওসমান গনী সোহাগ, কমিউনিটি ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর দিলরুবা ইয়াসমিন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ প্রমুখ।

 

তারা আরও বলেন যে গবেষণায় এটা প্রতিয়মান হয় কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নয়, বরং পরিবেশ ও গ্রামীণ অর্থনীতিতেও ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

 

এসব সমস্যা থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণের জন্য কীটনাশক ব্যবহারের আগে কৃষকদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, কীটনাশকের লেবেলের ভাষা সহজীকরণ ও গণমাধ্যমে প্রচার করা, কীটনাশক স্প্রে করা কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতিবন্ধী কৃষকদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করা সহ বিকল্প নিরাপদ জৈব কৃষি পদ্ধতি ও স্থানীয় কৃষকদের জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়েছে এই অঞ্চলের কৃষকরা।

এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাসে ২৫০০ টাকা বৃত্তি দেবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক

কেয়ারীঘাটে অগ্নিকাণ্ড: নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি’র সহযোগিতা

দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করেছে। এই বৃত্তি পেলে শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক বা এইচএসসি পর্যায় পর্যন্ত দুই বছরের জন্য আর্থিক সহায়তা পাবেন।

 

বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে দুই বছরে মোট ৬০ হাজার টাকা পাবেন। এর পাশাপাশি প্রতি বছর পাঠ্যবই কেনার জন্য ২৫০০ টাকা এবং পোশাকের জন্য ১০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।

 

যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরের স্কুলের শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৫ থাকতে হবে। গ্রামীণ বা অনগ্রসর এলাকার শিক্ষার্থীদের জিপিএ থাকতে হবে ন্যূনতম ৪ দশমিক ৮৩। সরকারি বৃত্তি ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে বৃত্তি গ্রহণকারী শিক্ষার্থী এই বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন না। মোট বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য এবং গ্রামীণ অনগ্রসর এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৯০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।

 

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, মা-বাবার ছবি এবং এসএসসি পরীক্ষার নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্রের স্ক্যান কপি।

 

শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করা যাবে। ডাকযোগে বা সরাসরি কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদনের শেষ তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৫। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের যে কোনো শাখা বা মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। চূড়ান্ত ফলাফল পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।

 

আবেদন করতে ভিজিট করুন: https://app.dutchbanglabank.com/DBBLScholarship/

×