| ৪ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখলে নিতে মরিয়া ইসমাইল বাহিনী

সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখলে নিতে মরিয়া ইসমাইল বাহিনী

টেকনাফ সদরের বড় হাবিব পাড়া এলাকায় জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । দাড়ালো অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসমাইল  ও তার বাহিনী। এটি গত
শুক্রবার সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জমির মালিক নাহিদুল হাসান বাদী হয়ে সাবরাং উত্তর নয়াপাড়া এলাকার মোঃ ইসমাইল, তার পুএ মাহমুদ ও রবিকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পরিকল্পিতভাবে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় সাবরাং উত্তর নয়াপাড়া এলাকার মোঃ ইসমাইল, তার পুএ মাহমুদ ও রবিসহ একদল সন্ত্রাসী আমাদের জমি জোর পূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা করার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধর করার চেষ্টা চালায়। আমাদের দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমিতে ঘেরা দিয়ে জোর পূবক দখল করা হচেছ।এই খবরে টেকনাফ মডেল থানার এসআই নাজমুল হাসানের নেতৃত্ব একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতির কারনে জমিটি সম্পূর্ণভাবে দখল করতে পারেনি বলে অভিযোগকারী জানায়।

অভিযেগকারী নাহিদুল হাসান বলেন, আমার চাচা আহমদ হোছন ও জালাল আহমদ ৪৪০ নং দলিল মূলে খরিদা করেন।  বিএস ৮৪৫ খতিয়ানে বি.এস দাগ ২০০৫৬ ও ২০০৫৮ দাগের রেকর্ড ও দখলীয় জমি।
বিগত ২৬/০৭/১৯৯৮ সালে ৯৬৬ দলিল মূলে আমরা খরিদ করিয়া বিএস ৩৩৯৩ সৃজিত খতিয়ান আমাদের নামে সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ৮৪৫ খতিয়ানে আমার বাবা নুর আহম্মদ চেয়ারম্যানের রেকর্ডীয় জমি হয়। উক্ত জমি দীঘ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসতেছি। উক্ত জমির দিয়ারা জরিপ কালীন সময়ে আমাদের পাশ্ববর্তী অজিয়র রহমানের নামে দিয়ারা রেকর্ড চূড়ান্ত করে দেয়। পরবর্তীতে অজিয়র রহমানের ওয়ারিশগণ থেকে গত ১৮/০২/২৫ ইং তারিখ ৪৭৪ দলিল মূলে আমরা খরিদ করি। উক্ত জমি নিয়ে ১০৪২৮ নং দিয়ারা খতিয়ান আমাদের নামে সৃজিত হয়।
তিনি আরো জানান, গত ৭ এপ্রিল টেকনাফ ভুমি অফিসের সামনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও মারধর করার চেষ্টা করেন। এমনকি আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে আমি থানায় তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও করেছি।

এছাড়া ১৬ জানুয়ারি সাবরাং উত্তর নয়াপাড়া এলাকার আলী মিয়ার ভোগ দখলীয় জমি হইতে দুইটি বড় আকারের গাছ কেটে বসতভিটা জবরদখল চেষ্টা করেছিল। সেসময় আলী মিয়া তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। উক্ত ইসমাইল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আরো একাদিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এবং ফের জবরদখলের আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ সেরা ১০ টি ল্যাপটপ

বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা বলায় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতার তীব্র প্রতিবাদ

সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখলে নিতে মরিয়া ইসমাইল বাহিনী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ছবি-সংগৃহীত

দিল্লি পুলিশের একটি চিঠিতে বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ হিসেবে উল্লেখ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনাকে “অপমানজনক, দেশদ্রোহী এবং অসাংবিধানিক” হিসেবে আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত দিল্লির চানক্যপুরী থানার অধীন লোদি কলোনির এক তদন্ত কর্মকর্তার লেখা চিঠি থেকে। আটজন বাংলাদেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের পর দিল্লির বঙ্গ ভবনের অফিসার ইন চার্জের কাছে “বাংলাদেশি জাতীয় ভাষা”-র অনুবাদক চেয়ে পাঠানো হয় চিঠিটি। বঙ্গ ভবন হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দিল্লিস্থ সরকারি অতিথি ভবন।

রবিবার (৩ আগস্ট) সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)-এর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে বিতর্কিত চিঠিটি প্রকাশ করা হলে বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পোস্টে লেখেন,

“দেখুন কীভাবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলছে!”

তিনি আরও লেখেন,

“বাংলা শুধু আমার মাতৃভাষা নয়, এটাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বামী বিবেকানন্দের ভাষা। এই ভাষাতেই রচিত হয়েছে ভারতের জাতীয় সংগীত ‘জন গণ মন’ এবং জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’। কোটি কোটি ভারতীয়র মাতৃভাষা বাংলা—এই ভাষাকে এখন ‘‘বাংলাদেশি ভাষা’’ বলা হচ্ছে!”

মমতা এই ঘটনাকে “কেলেঙ্কারিপূর্ণ” আখ্যা দিয়ে বলেন,

“এটি দেশের সমস্ত বাংলাভাষী মানুষকে অপমান করার সামিল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দেশের প্রতিটি নাগরিককে এই ভাষা-অপমানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।”

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তৃণমূলের শীর্ষ নেতারাও। দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কুনাল ঘোষ এবং ব্রাত্য বসুসহ অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জুলাই গণহ’ত্যা মা’ম’লা: শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ ট্রাইব্যুনালে

সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখলে নিতে মরিয়া ইসমাইল বাহিনী

শেখ হাসিনা : ছবি-সংগৃহীত

জুলাই গণহত্যা মামলায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মামলাটির মূল অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে।

এর আগে, গতকাল মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তারা শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

গতকালই জুলাই অভ্যুত্থানে আহত খোকন চন্দ্র বর্মনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তিনি শেখ হাসিনাকে ‘জুলাই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং বিভীষিকাময় ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

বর্তমানে শেখ হাসিনা ও কামাল পলাতক থাকলেও মামুন কারাগারে আটক রয়েছেন।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়মে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখলে নিতে মরিয়া ইসমাইল বাহিনী

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

×