| ৫ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

নোয়াখালীতে পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার

নোয়াখালীতে পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার

‎জেলা গোয়েন্দা শাখা, নোয়াখালী কর্তৃক বেগমগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭২ (বাহাত্তর) বোতল ফেন্সিডিলসহ ১জন মাদক কারবারি গ্রেফতার।

‎রোববার (০৬ এপ্রিল ) নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক রাত্র ৯টা ৫০মিনিটের সময় গোপন সূত্রে জানতে পায়, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ মডেল থানাধীন, চৌমুহনী পৌরসভাস্থ, পৌর ০৪নং ওয়ার্ড, চৌমুহনী পূর্ব বাজার সোনালী ব্যাংক পিএলসির সামনে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ক্রয়-বিক্রয় করছে।

‎উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে ডিবি টিম উপস্থিত হইয়া ওসি ডিবি নোয়াখালী মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন এর নেতৃত্বে এসআই(নি.) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত আসামীকে গ্রেফতার করেন এবং তার হেফাজত হইতে ০২(দুই) বোতল ফেন্সিডিল এবং আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তাহার কাছে আরো ৭০(সত্তর) বোতল ফেন্সিডিল বেগমগঞ্জ মডেল থানাধীন চৌমুহনী পৌরসভাস্থ, পৌর ৭নং ওয়ার্ড, জনৈক হাজী শরীফ এর বাড়ির দক্ষিন পার্শ্বে ধৃত আসামী জসিম উদ্দিন প্রঃ সুজন এর সেমিপাকা ভাড়াটিয়া টিনসেট দোকান ভিতরে রয়েছে মর্মে জানান উক্ত সূত্রের ভিত্তিতে আসামীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া আসামীর দেখানো মতে ঘটনাস্থল হইতে ৭০(সত্তর) বোতল ফেন্সিডিলসহ সর্বমোট ৭২ (বাহাত্তর) বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করেন।

‎গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন প্রকাশ সুজন(৩০), পিতা-আব্দুল হাই, মাতা-জহুরা খাতুন, সাং-ছাতারপাইয়া, কোঠের বাড়ী,, ০১নং ওয়ার্ড, ০১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন, থানা-সেনবাগ, জেলা-নোয়াখালী।


‎প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি পেশাদার মাদক কারবারি। ধৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত।

‎নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি ডিবি  মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন জানান এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

দুমকিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশা দমন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নোয়াখালীতে পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “এডিস মশা দমন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

 

সভাপতিত্ব ও মূল প্রবন্ধঃ

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মোঃ ইজাজুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসাদুজ্জামান মিয়া মুন্না। তিনি ডেঙ্গুর কারণ, প্রতিরোধের উপায় ও এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

 

বিশেষ অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরাঃ

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

 

কর্মশালার উদ্দেশ্যঃ

সভায় বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সচেতনতা বৃদ্ধি। এডিস মশা জন্ম নেয় জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে। তাই বাড়ির আঙিনা ও আশপাশে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। বক্তারা সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান।

নোয়াখালীতে ৪ ছিনতাইকারী আটক

নোয়াখালীতে পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার

‎নোয়াখালীর সেনবাগে ৪ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।

‎সোমবার ( ৪ আগস্ট ) নোয়াখালীর সেনবাগে ৪ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধৃত করে গণধোলাই দেওয়ার সময় সেনবাগ থানা পুলিশ আটক করে, নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে । প্রকাশ, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক এর দিক নির্দেশনায় সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মিজানুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে এসআই(নিরস্ত্র) সনৎ বড়ুয়া, এসআই(নিরস্ত্র) মোহাম্মদ জাকির হোসেন, এএসআই(নিরস্ত্র) তরুণ কান্তি শর্মা ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ৩ আগস্ট তারিখে সেনবাগ থানাধীন ৭নং মোহাম্মদপুর ইউপিস্থ ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে মেসার্স আলাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনের সামনে রাস্তার উপর সিএনজি যোগে যাত্রীবেশে ৪জন ছিনতাইকারী ভিকটিম বকুল নাহার প্রঃ মনোয়ারা বেগম এর নিকট হতে ১টি ৬আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, মূল্য অনুমান-৬০,০০০/-(ষাট হাজার) টাকা, ১টি OPPO স্মার্ট মোবাইল, মূল্য অনুমান-১৮,০০০/-(আঠার হাজার) টাকা, নগদ-২০০/-(দুইশত) টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়ে পালানোর সময় ভিকটিমের চিৎকারে  স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারীদের পেছন পেছন ধাওয়া করে খলিল মিয়ার হাটে বেরিকেট দিয়ে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সংবাদ প্রদান করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনরোষ হইতে ছিনতাইকারীদের উদ্ধার পূর্বক হেফাজতে নিয়ে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হইতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।


‎আটককৃতরা হলো- ১। মোঃ হক সাহেব প্রঃ খালেক(৪০), পিতা-মৃত আব্দুর সহিদ, মাতা-জাহানারা খাতুন, সাং-ধর্মপুর(রশিদ ড্রাইভারের বাড়ী), থানা-নোয়াখালী সদর(সুধারাম), ২। মোঃ নুর নবী(৪৫), পিতা-তছির আহম্মেদ, মাতা-সোহাগের নেছা, সাং-পূর্ব চরখেলা কোপা(আালাউদ্দিন কোম্পানীর বাড়ী), থানা-রামগতি, জেলা-লক্ষ্মীপুর, ৩। ফজলে রাব্বি প্রঃ রনি(২৮), পিতা-মৃত মানিক মিয়া, মাতা-হোসনে আরা বেগম, সাং-ধর্মপুর(হাজীরহাট, মজু মাস্টার বাড়ী), থানা-নোয়াখালী সদর(সুধারাম), সর্ব জেলা-নোয়াখালী, ৪। মোঃ জুয়েল হোসেন(৩৩), পিতা-মোঃ বাদশা মিয়া, মাতা-রিজিয়া বেগম, সাং-সিংহখালী (তহসিলদার বাড়ী), থানা-ভান্ডারিয়া, জেলা-পিরোজপুর, বর্তমান সাং-পূর্ব কুলগাঁও(জাবেদের ভাড়া বাসা), অক্সিজেন, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।


‎সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মিজানুর রহমান জানান, ছিনতাই এর ঘটনায় ভিকটিমের দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে সেনবাগ থানার মামলা রুজু পূর্বক আসামীদেরকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পান্থ হত্যা মামলা মেনন ইনু ও পলককে আদালতে গ্রেপ্তার দেখানো হলো

নোয়াখালীতে পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ হত্যার অভিযোগে কদমতলী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

সকালেই তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফ হোসেন তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের কড়া প্রহরায় আদালতের সামনে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের।

আদালতের সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় মেনন, ইনু এবং পলক—এই তিনজনই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ইনু জানান, তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে, ফলে কিছু সময় থেমে যান তারা। পরে আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় উঠে কাঠগড়ায় দাঁড়ান তারা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন অনুমোদন করেন।

এরপর পুলিশের প্রহরায় তাদের পঞ্চম তলার লিফট হয়ে হাজতখানায় পাঠানো হয়।

 মামলার পটভূমি: ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকার কদমতলী এলাকায় জুলাই আন্দোলনের সময় তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ গুলিবিদ্ধ হন। অভিযোগ অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় আসামিদের ছোড়া গুলিতে মাহাদীর মুখ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর কদমতলী থানায় এই হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে রাশেদ খান মেনন (৭ নম্বর), ইনু (৮ নম্বর), ও পলক (৯ নম্বর) হিসেবে এজাহারভুক্ত আসামি।

×